৪ আগষ্ট ২০১৬ বৃহস্পতিবার - রাত ১১টায় এনা বাসে - সকাল ৪:৩০ মিনিটে শ্রীমংগল
প্রথম দিন - ৫ আগষ্ট ২০১৬ শুক্রবার - লাউয়াছড়ার জীবন চিত্র, মাধবপুর লেক, বধ্যভূমি ৭১ এবং নভেম ইকো রিসোর্ট ভিজিট শেষ করে ৬ টায় হবিগঞ্জ বিরতিহীনে (ভাড়া-১২০ টাকা) রাত ৮টায় সিলেট কদমতলি নেমেই প্রথমে ঢাকা ফেরার টিকিট করে ফেললাম ৬ আগষ্ট ২০১৬ শনিবার রাত ১০ টা ৩০ মিনিট । কদমতলি থেকে সিএনজি নিয়ে সুরমা রিভার ক্রুস ৫৫০টাকায় ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত (ডিনার + নদী ভ্রমন + লোকাল শিল্পীর গান) , - এর পর ক্লান্ত হয়ে চলে আসলাম হোটেল হেরিটেজ (৯০০টাকা - Free WiFi + hot & cold water + free breakfast )
দ্বিতীয় দিন - ৬ আগষ্ট ২০১৬ শনিবার - সকাল ৬ টায় ঘুমথেকে উঠে গোসল সেরে যাত্রাশুরু জাফলং এর উদ্দেশ্যে - ৮ টায় কদমতলি থেকে বাসে (ভাড়া - ৬৫টাকা ) জাফলং, মামার বাজার ১০ টায় । হেটে বাল্লাঘাট - ১০ টাকায় খেয়া পার - হেটে জিরো পয়েন্ট - মায়াবী ঝর্ণা (১৫ মিনিটের মত সময় লাগল)
বি: দ্র: - খাসিয়া পল্লি থেকে কাচা বাজার (টমেট - মরিচ - পাপড়িকা) করেছিলাম - টমেটর স্বাদ খাওয়ানো ছাড়া বলে বুঝান যাবেনা
খাশিয়া পল্লি বোট ঘাট :
জিরো পয়েন্ট
মায়াবী ঝর্ণা:
যারা বলে ইশ আমি যদি ছেলে হতাম !!!! তাদের জন্য এই ছবি -- ভ্রমন পাগলী - মায়াবী ঝর্না - জাফলং
সংগ্রামপুঞ্জি বা সেনগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা বা মায়াবী ঝর্ণা:
সাম্প্রতিককালে সিলেটে ঘুরে দেখার মত আরো কিছু নতুন দর্শনীয় স্থান উন্মোচিত হয়েছে। তেমনই একটি হলো সংগ্রামপুঞ্জি বা সেনগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা বা মায়াবী ঝর্ণা এবং আরেকটি হলো উৎমাছড়া। জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ১৫-২০ মিনিটের হাঁটা দূরত্বে অবস্থিত এ ঝর্ণাটি ভারতের সীমান্তে পড়েছে। তবে বিএসএফের প্রহরায় চাইলেই বাংলাদেশীরা এ ঝর্নার চূড়া পর্যন্ত উঠতে পারে। কয়েক ধাপবিশিষ্ট এমন ঝর্না কমই দেখতে পাওয়া যায়। ঝর্ণার খানিকটা দূর থেকেই এর মেঘালয়ের পাহাড় বেয়ে বয়ে যাওয়ার গর্জন কানে আসবে। সামনে যেতেই চোখে পড়বে গাছ, পাথর আর পানির অপূর্ব মেলবন্ধন। পাহাড়ের গা-বেয়ে বেশ কয়েকটি ধারায় নেমে আসছে দুগ্ধ সাদা পানির স্রোত। কখনো সবুজ ঝোপের ভেতর দিয়ে, কখনোবা নগ্ন পাথরের বুক চিরে নেমে আসে এ পানি। ঝরনার জল এসে জমা হয়ে ছোট্ট পুকুরের মতো সৃষ্টি হয়েছে, যার তিন দিকেই রয়েছে বড় বড় পাথরের চাই। চাইলে সেই শীতল জলে ডুবে থাকতে পারেন অথবা করতে পারেন চূড়ায় ওঠার অ্যাডভেঞ্চার। ঝর্ণার তৃতীয় ধাপ থেকে কিছু পানি নিচে গড়িয়ে পড়ে, আর কিছু চলে যায় বাম দিকের সুড়ঙ্গে। সুড়ঙ্গমুখের কিছুটা অংশ পর্যন্ত দৃষ্টি চলে, বাকিটা অন্ধকার। সুড়ঙ্গ পথের কোনো হদিস কারো জানা নেই। ঠাঁই পাওয়া যায় না বলে ওই পথে যাওয়া সম্ভব নয়। পিচ্ছিল পাথর আর পানি টপকে উপরে উঠতে চাই সাহস, সতর্কতা আর অবশ্যই ভালো গ্রিপের জুতা। বর্ষার সময়ে সৌন্দর্যপ্রেমী সবাই ছুটে চলে সিলেট পানে। তাই একদম নির্জনতার স্বাদ হয়তো মিলবে না তখন। তবে এখনও মাধবকুণ্ড বা বিছনাকান্দির মতো পরিচিতি না পাওয়ায় ভিড় তুলনামূলক কম হয়। ফিরতি পথে সন্ধ্যার মুখে ঘুরে আসতে পারেন হজরত শাহ পরানের (র.) মাজার।
কখন যাওয়া উচিতঃ
জলপ্রপাতে বর্ষাকালে বেশি পানি থাকে। তাই বর্ষাকাল ঝর্ণাতে যাওয়ার উপযুক্ত সময়।
আরো কিছু ছবি : মায়াবী ঝর্ণা
লাউয়াছড়ার কিছু ছবি: লাউয়াছড়ার জীবন চিত্র
মাধবপুর লেক :মাধবপুর লেক
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১