somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রিচমন্ড , ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ--তৃতীয় পর্ব (ভিখারী কথন)

১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশে থাকতে প্রায়ই শোনা যায় যে, পশ্চিমারা ভিক্ষাবৃত্তি ঘৃণা করে। ভিক্ষা করার চেয়ে ওরা না খেয়ে মরে যাওয়াকে ভাল মনে করে ইত্যাদি। কথায় কতটুকু সত্য আছে কে জানে, তবে আমি নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে না হয় কিছু শেয়ার করি।
রিচমন্ডে এখনো পর্যন্ত ২ ধরণের ভিক্ষুক দেখেছি। এক ধরণের ভিক্ষুক সম্পর্কে কম বেশি আমরা সবাই জানি। এরা গান গেয়ে অথবা অন্য কোনভাবে পথচারীদের বিনোদন দেয়ার বিনিময়ে কিছু কামিয়ে নেয়। হলিউডি ফিল্মে এদের প্রায়ই দেখা যায়।
২য় যে কিছিমের ভিখারী আমি দেখেছি, সেটা আমার আসাতে ছিল না। সুস্থ সবল মানুষ কাগজ একটায় “আমি অসহায়, আমাকে সাহায্য করলে ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করবে” এই টাইপ কথা লিখে দাঁড়িয়ে থাকে। ওই লেখাটাই যা, ওদের হাবেভাবে কিন্তু করুণা আমদানি করটা কঠিন ই বটে। আয়েশ করে এক হাতে প্ল্যাকার্ড ধরে, আরেক হাতে বিড়ি ফুঁকতে থাকে। পাশে ব্যাগ এ থাকে এই বড় কোকের বোতল। অনেকের হাতে থাকে বিশাল লাঞ্চ এর প্যাকেট। কারো কারো গায়ে থাকে পাঙ্ক টাইপ ট্যাটু। সচরাচর এরা মুখে কখনো ভিক্ষা চাবে না, তবে আপনি কিছু দিলে আপনাকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিবে। পোশাক আশাকেও এরা বেশ কেতাদুরস্ত। অন্তত আমাদের মত ভেতো বাংগালীদের থেকে অন্তত ফিটফাট। ণিজেদের দেশের ভিখারিদের সাথে তুলনা করে একটু থমকে যেতে হয়। দেশে মনে হয় আমরা করুন কথা শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেসি, তাই হাত/পা বিহীন কোন মানুষ ভিক্ষা খুঁজলেও কোন বিকার হতো না। শুরুতে বরং এসব কেতা দুরস্ত মানুষদের ভিক্ষা করতে দেখেই যেন কেমন যেন খারাপ লাগত। ভাবতাম, কি না বিপদে পরে এই ভাল মানুষগুলা হাত পাতসে। পরে যখন আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে গেলাম, তখন বুঝলাম যে, সারাদিনের ভিক্ষার টাকা এরা রাতে মদ গাঁজার পিছেই ব্যয় করে। এদিক থেকে বাংলাদেশের ভিখারীদের সাথে এদের তেমন কোন তফাত নাই।
দ্বিতীয় পর্ব
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×