রিচমন্ড শহরে বাংলাদেশীদের সংখ্যা খুব বেশি নয়, আবার কম ও নয়। বাংলাদেশী খাবার পাওয়া যায় খালি একটা রেস্টুরেন্ট এই, নাম দারুল কাবাব। এর পাশেই আছে একটা বাংলাদেশী মুদির দোকান তাজ হালাল।
ঐতিহাসিক ভাবে রিচমন্ড এর গুরুত্ব কম নয়। আমেরিকার সিভিল ওয়ার এর সময় কনফেদেরেট দের রাজধানী ছিল কিন্তু এই রিচমন্ড ই। অবশ্য তাদের আরও একটা রাজধানী ছিল, সেটা আলাবামার মন্টেগোমারীতে। সেই যুদ্ধ সংক্রান্ত স্মারক শহরের অনেক যায়গাতেই ছড়িয়ে আছে। তবে, সবচেয়ে বিখ্যাত মনে হয় বেলে আইল পার্ক। এর বাইরে রিচমন্ড শহরের আরেকটা মাইকফলক যেটা হতে পারে, আমেরিকার প্রথম পাঁচ তারকা হোটেল কিন্তু এই রিচমন্ডেই হয়েছিল, নাম জেফারসন হোটেল। আমেরিকার এক প্রেসিডেন্ট এর নাম অনুযায়ী।
লাস ভেগাস এর নাম শুনে রিচমন্ড এ এসে থাকলে কিঞ্চিত হতাশ হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। এখানকার মানুষ যেহেতু রক্ষনশীল, আমার ধারণা নাইট ক্লাব অথবা এই টাইপ জিনিষ কম। মানুষজন ও আচার আচরণ এ অনেক শালীন। শর্টস পড়ে হয়ত অনেকে ঘুরে বেড়ায়, কিন্তু আমেরিকার ক্ষেত্রে সেটা স্বাভাবিক।
কেউ যদি ঢাকা তেই সারাজীবন কাটিয়ে এখানে আসেন, হুট করে মনে হবে শুনশান কোন গলিতে এসে পড়লেন। ঢাকায় এক ফার্মগেট এর ওভারব্রিজ এর উপর দিয়ে যত মানুষ যাওয়াআসা করে, তাদের সবাইকেও যদি এই শহরে ছেড়ে দেয়া হয়, তাইলেও মনে হয় শহরের জনগণ ডাবল হয়ে যাবে। শহরের কেন্দ্রীয় যে বাণিজ্যিক এলাকা, সেটা মূলত একটা ছোট অংশ জুড়ে। বাকি সারা শহর এ ছিমছাম, থাকার জন্য আমার কাছে মনে হয় খুবি আরামদায়ক যায়গা। আশে পাশে নদী, সাগর,পাহাড় , পর্বত সবই আছে। যাদের ভাল টাকা পয়সা আছে, তারা সবাই মূলত শহর থেকে দূরে থাকে। অনেকের আবার শহর থেকে ১০০ মাইল দূরে, বাগান বাড়ি টাইপ ও কিছু আছে। সেখানে পাশাপাশি ২-৪ টা গাড়ী ছারাও স্পিড বোট শোভা পেতে দেখেছি।
প্রথম পর্ব

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



