ভার্জিনিয়া ইউ এস এ এর প্রথম সারির ধনী রাষ্ট্র হলেও এর রাজধানী রিচমন্ড কে খুব একটা জমকালো শহর বলা চলে না। বরং একি রাজ্যের অন্য অনেক শহরের তুলনায় এর চাকচিক্য অনেক কম। তবে এটাও ঠিক, চাকচিক্য বেশি থাকলে সীমিত আয়ের মানুষের থাকতে খবর হয়ে যেত।
একটা বড় শহরের প্রধান বৈশিষ্ট্য মনে হয়, , মেট্রো রেল এর সার্ভিস থাকা। বলাই বাহুল্য, এখানে সেটা নেই। পাবলিক পরিবহন বলতে আছে খালি বাস সার্ভিস। তবে মেট্রো না থাকার কারণেই মনে হয় বাস সার্ভিস এখানে অনেক ভাল। প্রায় পুরা শহর বাস দিয়ে কভার করা যায়।
এই শহরের আরেকটা জিনিষ যেটা চোখে পড়বে, টা হোল প্রচুর পরিমাণ চার্চ। আমাদের দেশে যেমন মসজিদের ছড়াছড়ি, এখানে তেমনি চার্চের ছড়াছড়ি। পুরা আমেরিকাকে যদি ইস্ট আর ওয়েস্ট এ ভাগ করা হয়, তাইলে ভার্জিনিয়া পড়ে ইস্ট এ। আর ইউ এস এ তে, সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী ইস্ট এর মানুষ বেশি রক্ষণশীল। আর রিচমন্ড এর মানুষ মনে হয় আরেকটু বেশি ই রক্ষণশীল। লাস ভেগাস আর সান ফ্রান্সিসকো এর নাম শুনে রিচমন্ড এলে কিছুটা ধাক্কাই খেতে হয় বৈকি।
এখানে চার্চগুলার আরেকটা দারুণ জিনিষ না বললেই না। প্রতিটা চার্চের একটা কমিউনিটি দল থাকে। এরা মূলত দেশি বিদেশী বিভিন্ন মানুষের সাথে নেটওয়ার্কিং এর কাজ অরে। আমাদের মত যারা বাইরে থেকে এদেশ এ আসে, তাদের জন্য এই নেটওয়ার্কিং কমিউনিটি খুবি উপকারী। এদের কারণেই অনেক জায়গায় বেড়াতে যাওয়া হয়েছে, এরা না থাকলে যেটা কখনোই সম্ভব হোত না। আর যদি ওদের স্বার্থের কথা ভাবেন, যোটুকু আমি বুঝি, দল ভারি করলে মনে হয় এরা ভাল ফান্ড পায় অথরিটি থেকে। তবে এটা আমার নিজস্ব চিন্তা, বেঠিক ও হতে পারে।
একজন ছাত্রের জন্য রিচমন্ড থাকাটা একটু কঠিন , কারণ এখানে বাসা ভারা তুলনামূলক বেশি। প্রশ্ন আসতেই পারে, চাকচিক্যহীন শহর এ জীবন যাত্রার মান বেশি কেন। প্রথম কারণ, হাজার হোক এটা রাজধানী। আর এই শহর ওয়াশিংটন ডিসি এর খুব কাছে। ডিসির যত কাছাকাছি যাওয়া যাবে, খরচ কিন্তু ততই বাড়বে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



