ষোলো বছর আগে পশ্চিমবঙ্গেও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্যে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী ‘দেশীকোত্তম’ গ্রহণকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে দেশে কালে কালে মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির ভাব গড়ে তোলার জন্য নিবেদিত হওয়ার কথা বলেছিলেন। ভূগোলের গতি ছাড়িয়ে তিনি নিজেকে প্রসারিত করেছেন বিশ্ব ভাবনায়। দেশজ ভাবনার সীমারেখা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশ্বভাবনাকে সামনে রেখে সিদ্ধান্ত জানাতেও পিছপা নন তিনি। বিশ্বজুড়ে দ্বন্দ্ব, হানাহানি, সংঘাত, সংঘর্ষ, অস্ত্র ও বারুদেও ঝনাৎকারের বিপরীতে শান্তির বার্তা তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন পুরো বাংলাদেশে। প্রতিটি মানুষকে তার নিত্যদিনের অত্যাবশ্যক প্রয়োজন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা নিশ্চিতকরনে অকুতোভয় বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী। নিজ দেশে শিক্ষার প্রসারে শেখ হাসিনা যুগান্তকারী নানা পদক্ষেপও নিয়েছেন। বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা যেমন করেছেন, তেমনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আধুনিকায়নও করেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নজির আর নেই। পাকিস্তানী হানাদারদের অস্ত্রবল হার মেনেছিল বাঙালীদের সংঘবদ্ধ শক্তিবলে। একাত্তরের পরাজিত শক্তির দেশকে হিংসায় উন্মত্ত করে তোলার বিষদাঁত ভেঙ্গে দিয়ে তাদের বিচারের আওতায় শুধু আনা নয়, সাজাও প্রদান করেছেন। অস্ত্র সম্ভারে সজ্জিত জঙ্গীদের নির্মূলে সাফল্য তাঁকে সাহসী করে তুলেছে। অবৈধ দখলদাররা গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছে। সেই অবস্থান থেকে দেশকে উদ্ধার করার কাজটি শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা দেশনায়ক থেকে আজ বিশ্বনায়কে পরিণত হতে যাচ্ছেন। দেশের গতি পেরিয়ে তিনি বিশ্বের গাড়িতে নিজেকে সমাসীন করে তুলেছেন। তাই চলতি বছর ‘পলিসি লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ পুরস্কারের পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বীকৃতি স্বরূপ আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছেন। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির অগ্রগতির নায়ক শেখ হাসিনা বিশ্বনায়ক অভিধার দিকে ক্রমশ এগিয়ে চলেছেন। যা জাতি হিসেবে বাঙালীর জন্য গৌরবের।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪