somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প: বোকা

১৭ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৮:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রতি বছর খিলগাঁওস্থ আমাদের পাড়ার ক্লাবের বাৎসরিক পিকনিক হয়।

এবার ভেনু জয়দেবপুর। ব্যাপক পরিকল্পনা। খিলগাঁও পল্লীমা সংসদের উপরে কাপড়ের ব্যানার টাঙানো হয়। মুখে মুখে জানানো হয় সবাইকে। হাতে লেখা আমন্ত্রণপত্রের ফটোস্ট্যাট কপি পাঠানো হয় মুরুব্বীদের নামে।

কিন্তু তাতেও খুব সাড়া নেই। বছর চারেক আগেও লোকে নিজেরা ছুটে আসতো পিকনিকের নাম শুনলে। মজা তো হতোই, আয়োজকদের পকেটে উল্টো কিছু পয়সা থেকে যেত। ইদানিং ছোট হয়ে যাচ্ছে পৃথিবী, তার চেয়ে ছোট হচ্ছে পাবলিকের পকেটের সাইজ। লোকের পিছনে ধন্যা দিতে দিতে ক্লান্ত। তারা পিকনিকে যাবে কি যাবেনা আমতা আমতা করতে থাকে। কেউ অফিসের সস্তা পিকনিক দিয়ে কাজ সারে। কেউ পরীক্ষার অজুহাতে ফিরিয়ে দেয়। আর পাড়ায় আগাছার মতো নতুন ক্লাব গজিয়েছে। তারা আমাদের আগেই অনেক কে পটিয়ে ফেলেছে।


৪০ সীটের বাস। ৪০টা লোক পেলে আমাদের খরচ উঠে আসে। ১০ টা ফ্যামিলি প্রায় নিশ্চিত হয় - আন্ডাবাচ্চা বুড়া জোয়ান সহ মোট ২৬ জন এখন পর্যন্ত। যদিও ক্যাশ না পাওয়া পর্যন্ত ভরসা নাই, বাকির নাম ফাকি। এবারের চাঁদা গতবারের সমান - বড়দের মাথাপিছু ৩০০ টাকা আর বাচ্চাদের ২০০।

এই সামান্য টাকায় ঢাকায় একদিনের রিক্সা ভাড়াই হয় না কিন্তু চাঁদা শুনলে ওদের ধারণা আমরা যেন পয়সা মেরে বড় লোক হয়ে যাচ্ছি। অনেকে গলা শুকায়, কেউ কেউ ক্লাসিক ভঙ্গীতে কম হাতে টাকা গুঁজে বলে, "আরে, তুমি সোলমান সাহেবের ছেলে না, আমরা তো অনেক লোক, আরে রাখো যা আছে।"

সুতরাং বাধ্য হয়েই আবারও বহিরাগতলোক নিতে হচ্ছে। অবশ্য ভাত দেবার মুরাদ না থাকলেও কিল দেবার গোসাই অনেকে। তারা আমাদেরকে মনে করিয়ে দিয়েছে বহিরাগত কোন ছেলের কারনে কয়েকবছর আগে মেয়েঘটিত ঝামেলা হয়েছিল।


আমরা পিকনিক করবই। রাত জেগে দেয়ালে দেয়ালে বিজ্ঞাপন লাগানো শুরু হয়। পোস্টার কাগজে হাতে লেখা বিজ্ঞাপন। নিচে দুটো ফোন নম্বর - আমার আর ক্লাবের এসিস্টেন্ট সেক্রেটারী পিকুর ।

পিকু পরিশ্রমী ছেলে। তার মতো পরিশ্রমী ছেলে পাওয়া ভার। সে বলে, "ইস যদি আর দু চারটে লোকও পেতাম! আমিও মোবাইল খুলে বসে আছি যদি নতুন কাউকে পাই। কিন্তু কাজ হয় না।

পিকনিকের ঠিক একদিন আগে বিধাতা মুখ তুলে চায়। রাত আনুমানিক ১০টার দিকে এক লোকের ফোন পাই। আমি খুশী হয়ে বলি, "ভাই আপনার নাম"?
-"মতিন, আব্দুল মতিন পাটোয়ারী"
-"কোথায় থাকেন"?
-"খিলগাঁও তালতলা মেসে। ভাইজান, পিকনিকের বিজ্ঞাপন দেখলাম। আমার খুব খায়েশ পিকনিকে যাওয়ার। যোগ দেওয়ার কি সময় আছে"?
-"কয়জন"?
-"আমি একলা। আনমেরিড"
সে বলে তার সুবিধা হয় যদি চাঁদাটা ২০০ টাকা করা যায়। দাম দরের আগে আমি তার খোঁজ খবর জানতে চাই। ব্যাচেলর লোক নিয়ে একটু দোনমনায় থাকি।

পরদিন ক্লাবের অফিসে পিকু, সেলিম আর মুরুব্বী নুরুল ইসলাম চাচার সঙ্গে কথা হয় আব্দুল মতিনের। লোকটাকে সবাই সহজ সরল এবং গ্রহনযোগ্য বলে রায় দেয়।


সরল শব্দ দিয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে লোকটা ব্যাসিক্যাল্যি ক্ষেত। একটু ভয়েই পেয়েছিলাম তার আনাড়ী প্রশ্নের ধরন দেখে। জানতে পারি বাবার পরিচিত কাউকে ধরে একটা চাকুরী পেয়ে এসেছে ঢাকায় কয়েক মাস আগে। গ্রামের পলিটিক্স করতো। এখানে একলা থাকে বলে মেসের সবাই পিকনিকে যাওয়ার বুদ্ধি দিয়েছে।

গ্রামের ভাবসাব এখনো লোকটার চেহারায় আছে। সাধারণত গেঁয়ো লোকজন কোন কিছু না বুঝলে শহরের মত ভনিতা করেনা, খুব সোজাসুজি কথা বলে। চাঁদার রসিদটা বুঝে পেয়ে সে যেমন ফ্যাক করে বলে উঠেছিল,
"পিকনিকে কি কি করবেন একটু বুঝায়ে বলেন, আমি আগে শহরের পিকনিকে যাই নাই"?
একটু থেমে আবার বলে, "আচ্ছা ভাই পিকনিকের এই চান্দা তো খাবার সহ । ঠিক না"?
আয়োজকের ভুমিকায় থেকে হাসতে মানা। লোকটা কেন ২০০ টাকা দিতে চেয়েছিল বুঝতে পারি। নিরুত্তাপ ভাবে বললাম,
"হ্যা, অবশ্যই খাবার সহ। বাবুর্চি যাবে, জয়দেবপুরে গিয়ে খাসির মাংস,পোলাও রান্না হবে, এছাড়া মুরগীর রোস্ট, কাবাব এসব থাকবে। আর সকালে পাউরুটি জেলী কলা আর কোকের নাস্তা। বিকালে চা টোস্ট ইত্যাদি"।

লোকটা যেন হজ্জ্ব করতে যাবে এমন খুশী হয়ে আমাকে হ্যান্ডশেক করে বিদায় নেয়।


শনিবার সকালে সবাই ফুর্তির মুডে বাসের সামনে। আবাবীল পরিবহনের বাস ভাড়া হয়েছে। বাসটা ছাড়ছে আমাদের ক্লাবের অফিসের উল্টাদিকের রাস্তা থেকে।

মতিন সাহেব আধাঘন্টা আগে এসে হাজির। ফোল্ডিং চেয়ারে পা ছড়িয়ে বসে আছে। নীল চকচকে শার্ট, কাল প্যান্টে ইন করা। পকেটে লাল ফিতায় ঝুলছে পিকনিকের আইডি কার্ড। আর একটা প্রিন্টেড সবুজ টাই মরা গিট্টু দিয়ে বাঁধা গলায়। সবই ঠিক। কিন্তু আইকিউর প্রশ্নের গড়মিলের মতো পায়ে বাটা কোম্পানীর ফিতাহীন বাদামী চামড়ার স্যান্ডেল!

এ যুগে এমন হাস্যকর কাজ অনেক দিন দেখিনি।

পলিন ভাইয়ের সদ্য হানিমুনফেরত স্ত্রী আমাকে ফিস ফিস করে বলে, "এই আদমীটাকে কোথা থেকে ধরে আনলেন"? আসমা আপা, সুরাইয়া আপা, পিনু সব চিমটা চিমটি করে, "নামেও মতিন কাজেও মতিন"! একজন আমাকে বলে, "মনে হয় গয়না নৌকা থেকে নেমে বঙ্গ থেকে সুট টাই যোগাড় করেছে কিন্তু জুতা কেনার সময় পয়সায় কুলায় নাই"।

যা হোক আমরা সবাই ভদ্র, তাই সরাসরি তাকে কিছু বলি না। অন্যভাবে চিন্তা করলে, পিকনিকে এমন একটা মজার চিড়িয়া পাওয়া কপালই - আনন্দ ফুর্তির বোনাস একটা কিছু পেয়ে মন্দ লাগছে না।

লোকটা তখনো দাঁড়িয়ে। আর বাসে ভাল জায়গাগুলো দখল করে নেয় অন্যরা। পিছনে ঝাঁকি বেশী বলে কেউ বসে না। শেষ মেষ এই সীটটায় বসে থাকে মতিন সাহেব।

লোকটা এক অর্থ ভদ্র। নন এসি বাস। সে ঘাম মুছছে কিন্তু অভিযোগ নেই। পিকু সৌজন্য রক্ষার্থে জিজ্ঞেস করে, "সব ঠিক আছে তো ভাইয়া"। সে দাঁত কেলিয়ে কৃতজ্ঞ ভাবে বলে, "জ্বী"।


বাসে গান বাজছে। পোলাপান জেমস থেকে শুরু করে পুরানো বাংলা চটুল গান দিয়ে সিডি বার্ণ করে নিয়ে আসে। মুরব্বীদের উপেক্ষা করে বাজায় - "ও সাগর কন্যারে কাঁচা সোনা গায়".. লোকটার মনে হয় কমন পড়েছে গানটা। লোকটাকে মুখচোরা ভেবেছিলাম। কিন্তু তাও না। পিছন থেকে সে প্রায় গলা ছেড়ে গাইতে থাকে সঙ্গে সঙ্গে।

আমি দুষ্টু বুদ্ধিটা গোপন করে সিরিয়াস হয়ে বলি, "মতিন ভাই, আপনার গলা তো হেভী, মাইক দেই আরাম করে গান"। পিকুটা এক কাঠি ওপরে। সে ততক্ষনে ঘোষনা করে দেয়, "এবার আমাদের অতিথি আব্দুল মতিন পাটোয়ারী সাহেব সঙ্গীত পরিবেশন করবেন"।এটা শুনতে পেয়ে বাসের সামনের পোলাপান এক সঙ্গে চেচাতে থাকে, মতিন ভাই! মতিন ভাই...

মতিন সাহেব তাতে বরং খুশীই হয়। যেন অন্যরা ক্লোজআপ ওয়ানের মতো তাকে এসএমএস দিয়ে গাইতে বলছে। সে মাইক মুখে চেপে গাইতে থাকে - "বেদের মেয়ে জুছনা আমায় কথা দিয়েছে".. । গলায় কর্কশ মসজিদের ওয়াজ টাইপের সুর। ..সবাই হাসতে গড়া গড়ি যায়। তালি বাজায়।

মতিন সাহেব মনে হয় আরও ফুলে ওঠে। বলে, "মাশাল্লাহ! আপনাদের কি ভাল লাগছে? আমি তাইলে আরেকটা গান শোনাই'?
-"জ্বী মতিন ভাই, আরেকটা, আরেকটা.."
-"সব সখিরে পার করিতে"..."চুমকি চলেছে একা পথে"..জুকবক্সের মতো মতিন ভাই চালাতে থাকে।


পিকনিকে এভাবে মতিন ভাই ব্যাপক হিট হয়। সার্কাসের ভাল্লুকের মতো মতিন ভাইকে ঘিরে সব হৈ চৈ করে। এমন লোক পাওয়া দুর্লভ। বোকারা খুব শিগগির অন্যদের রসিকতা টের পায়। পেলে মহা ক্ষেপে যায়। মতিন সাহেব যেন তাকে নিয়ে রসিকতা বুঝতেই পারে না। আর মেয়েরাও কম ত্যাদড় না। তারা বুঝে গেছে তাদের অনুরোধ সে ফেলতে পারে না।

এদিকে দুপুরে একটা গন্ডগোল হয়। কিছু লোক সুযোগে একাধিক রোস্ট পাতে টানায় রোস্টের ঘাটতি পড়ে যায়। আসলে রোস্ট থাকে হিসাব করা। সেলিম ভাই এটা সামলায় এবার মেয়েদের একজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। অনাকাঙ্খিত স্বজন প্রীতির ঘটনায় অনেকে ক্ষিপ্ত। মুরুব্বী নুরুল ইসলাম রোস্ট চেয়ে পায়নি, সে ক্ষেপে গিয়ে বলে, "তোমরা কেমন অর্গানাইজার যে খাবার কম পড়ে? পয়সা কি কম দিয়েছি"।

মাথায় রক্ত চড়ে যায়।মনে মনে বলি, "চাচা, আপনে অর্গানাইজ করে দেখায়েন পরের বার"। অবশ্য দোষ আমাদেরই। তাই চুপ থাকি।


আমি,সেলিম,পিকু সহ আয়োজকেরা রোস্ট ছাড়াই খেতে বসি। বেচারা মতিন সাহেব! তাকে বলি, মতিন ভাই,হিসাবে একটু সমস্যা হয়েছে, মহিলা আর বাচ্চাদেরকে রোস্ট দিয়ে বাঁচলে আমরা খাবো। সে মাথা নাড়ে, না, না ঠিক আছে ভাই।

বিকেলে চা নাস্তার আগে মেয়েদের মিউজিক্যাল চেয়ার শুরু হয়। মীরা ভাবী ডাকে, "আসেন মতিন ভাই"। ভাবীদের স্বামীরা এবং মেয়েদের অভিভাবকেরাও বুঝে গিয়েছে লোকটা এত সরল যে তাদের স্ত্রীকন্যারা বিপথে যাবার সম্ভাবনা নেই।

মতিন সাহেব ইত:স্তত করে। আমি বললাম, "অসুবিধা নাই, যান, আপনার কপাল। ভাবীদের নজর পেয়েছেন। বিয়ে সাদীর সুবিধা হবে। আর নিজের নিজেরাই তো, লজ্জা কী?"।

তবে বাঙালী যাতে মজা পায় যেন বাড়াবাড়ি করে ফেলে। সকাল থেকে একই রকম ভাড়ামীকে কে আধিক্যেতা মনে হতে থাকে। আশ্চর্য হলো মতিন সাহেবের নিজের কিন্তু আপত্তি নেই। সে ঠিকই মিউজিক্যাল চেয়ারে বসে পড়ে। যদিও কোন দিন খেলেছে বলে মনে হয় না।


ফিরতে ফিরতে রোদ পড়ে সন্ধা হতে থাকে। দারুণ সফল এক পিকনিক শেষে সবাই যখন খুব ভাল মেজাজে। খোশ মেজাজে লটারীতে কে কি জিতেছে সেটা নিয়ে কথা চলছে।

সেই সময় দ্রুত গতিতে চলমান বাসটা বিকট শব্দ করে আছড়ে পড়ে শালবনের গাছে। রাস্তায় একটা শিশু দাড়িয়ে ছিল। বাসের ড্রাইভার তাকে বাঁচাতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী গাছে আঘাত করে।

দুর্ঘটনাস্থলের আধা মাইল দুরে জয়দেবপুর থানা সদর হাসপাতাল। অধিকাংশ আহতদের প্রাথমিক সুশ্রুশার পর ছেড়ে দেয়া হয়।

শুধু পিকুর অবস্থা শঙ্কটাপন্ন। তার ডান কাঁধ ছড়ে গেছে, ডান হাতের হাড় চুর্ণ হয়ে যাওয়া প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। আমার কিছু হয়নি, কিন্তু আমি পরিস্থিতি সামলাতে উদভ্রান্ত।

একদিকে ঢাকায় মোবাইলে কল করি। অন্যদিকে হান্ডমাইকে সবাইকে বলে চলি - "আপনাদের মধ্যে কেউ এ পজিটিভ রক্ত থাকলে দয়া করে রক্ত দিন। পিকুর শরীরে ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তাকে দেরী হলে বাঁচানো যাবে না"।

১০
আমার নিজের গ্রুপ বি। এ পজিটিভ কমন গ্রুপ, পাওয়া যাওয়া উচিত। কিন্তু বাস দুর্ঘটনার শকটা কাটাতে পারেনি অনেকেই। তাই সাড়া নেই। আর পিকুকে নিয়ে কারো চিন্তা করার মত মানসিক অবস্থা নেই। অনেকেই রক্ত দিতে ভয় পায়। কেউ উপদেশ দিচ্ছে - দ্রুত সন্ধানীকে খবর দিয়ে দিলেই তো সমস্যা মিটে যায়।

এমন সময় এলোমেলো ভীড় থেকে মতিন সাহেবকে হাত তুলে দৌড়ে বের হয়ে আসে। বলে, "ভাই, আমার রক্ত কি মিলবে পিকু ভাইয়ের সাথে?"।
-"আপনার কি গ্রুপ"। মতিন সাহেব চুপ মাথা নাড়ে সে গ্রুপ কি বোঝে না।
নার্স পরীক্ষায় জানায় সে এ পজিটিভ। মতিন সাহেব বলে, "পিকু ভাইকে বাঁচান, এখুনি যত রক্ত লাগে নেন"।

সারাদিন যে লোকটিকে এত হেনস্তা করা হয়েছে তার এমন সরল পরিচয়ের অন্যপিঠে মানবিক হৃদয় আমার চোখ ভিজিয়ে দিতে থাকে।

১১
রক্ত পিক করা শুরু হয়েছে। মতিন সাহেব চোখ বুজে আছে। সে কখনো রক্ত দেয়নি। ভীত। সে কাঁপছে, আর ঘামছে..

এর মধ্যে হঠাৎ মতিন সাহেব আমার দিকে ঘাড় বাকিয়ে তাকিয়ে বলে, "ভাই আমার রক্ত কতটা নিতে হবে? আমি আর কতক্ষণ বাঁচবো? না বাঁচলে আমার ব্যাগের ভিতরের ঠিকানাটা মাকে দিয়েন।"

আমি বিপদেও হেসে বলি, "আপনার শরীর থেকে মাত্র এক প্যাকেট রক্ত নেবে..বাকি অন্যদের কাছ থেকে যোগাড় হচ্ছে."

উনি পৃথিবীর সবচেয়ে হৃদয়বান বোকার মতো হেসে বলে, "আমি তো আবার ভাবলাম, আমার শরীরের রক্তের যতটা দরকার টেনে নিয়ে উনাকে বাঁচানো হবে", তারপর অভয় দিয়ে বলে ওঠে, "যদি লাগে আরো নেন"।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৮:১২
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×