somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

চেংকু প্যাঁক
নাস্তিকরা বঁদড়ামি করবো আর আমি নিশ্চিন্তে বেহেশতে চইলা যাওয়ার ধান্দা করমু ! কক্ষনো না, বরং আমি এই কুলাংগার গুলারে জাহান্নাম পর্যন্ত ধাওয়া করমু, ওগো লগে জাহান্নামে ঢুকমু, ওগো আগুনের চাপাতি দিয়া কুপামু.......এর পরে আমার কইলজা ঠান্ডা হইবো।

মুসলমানদেরকে নিজেদের উন্নতির জন্য ইসরাইলীদের কপি পেস্ট করতে হবে -এটা খুবই আপত্তি জনক কনসেপ্ট

২১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বেশ কিছুদিন হল, ইসলামী কিছু চিন্তাবিদ এক নতুন ধারার ইসলাম প্রচার করছেন। তারা বলতে চাচ্ছেন যে, মুসলমানরা খুব বোকার হদ্দ স্টূপিড আর ইসরাইলীরা খুব স্মার্ট, খুব ইনোভেটিভ, খুব ট্যালেন্টেড, খুব জ্ঞানী-গুনী। সারা দুনিয়া নাকি তারা চালায়। তারা নাকি খালী হুকুম করে, আর বাকি সবাই তা পালন করে। তাই মুসলমানদের এখন বনু ইসরাইলীকে নাকি ফলো করতে হবে। বাচ্চা গর্ভে আসলেই নাকি ইসরাইলী মায়েরা কি মাছ টাছ খায় আরও কি কি নাকি করে, আর তাতেই নাকি খুব মেধাবী মেধাবী পাংখা ইসরাইলী শিশু জন্ম নিয়ে সারা দুনিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।

আসুন, ইতিহাস থেকে বনু ইসরাইলী এবং মুসলিমদের সম্মান-মর্যাদা এবং ইনোভেটিভনেস-ট্যালেন্টনেস এগুলো একটু চেক করি।

মুসা(আ) এর সময় বনী ইসরাইলীরা সংখ্যায় মোটামুটি ১২ লক্ষ ছিল। তৎকালীন দুনিয়ার হিসেবে সংখ্যাটা নেহায়েত কম নয়। এরপর নিশ্চয় তাদের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে আনুপাতিক হারে।

কিন্তু ইসরাইলীরা কি সম্মানের সাথে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পেরেছে? পারেনি। দেখুন কিভাবে:

ঈসা(আ) এর জন্মের ৫৩৭ বছর আগে ব্যাবীলনিয়ান কিং নেবুচাদনেজার ( বুখতে নাজার ) ইসরাইলীদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হন , তিনি জেরুজালেম অধিকার করেন এবং সুলাইমান(আ) এর হাতে তৈরীকৃত প্রথম টেম্পল সম্পূর্ণ ধ্বংস করেন (যা প্রায় ৪১০ বছর টিকে ছিল)। প্রায় ৬ লক্ষ ইসরাইলীকে তার আর্মি তার নির্দেশে হত্যা করে, অন্যরা পালীয়ে যায়।

এরপর ইসরাইলীরা আবার জেরুজালেম অধিকার করে নিলে ৭০ এ.ডি. (ঈসা(আ) এর জন্মের ৭০ বছর পর) তে রোমান আর্মি জেনারেল টাইটাস জেরুজালেম দখল করেন। প্রায় দশ লক্ষ ইসরাইলী কে হত্যা করা হয় এবং কয়েক লক্ষকে দাস-দাসী বানানো হয়। তাদের সেকেন্ড টেম্পল টি তিনি ধ্বংস করেন। [প্রথম টেম্পল ধ্বংস হবার পর তারা তা রিবীল্ড করে সেকেন্ড টেম্পল তৈরী করেছিল] এরপর থেকে তারা আর ইসরাইলে জায়গা পায়নি, ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত।

ইসলামে এর ইক্যুইভ্যালেন্ট ঘটনা কি? ইক্যুইভ্যালেন্ট ঘটনা হল মক্কা-মদীনার ধ্বংস ফরেইন পাওয়ার এর হাতে, রাইট? কিন্তু মুসলমানরা সেই রসূলুল্লাহর মক্কা বিজয়ের পর গত ১৪০০ বছরে এক সেকেন্ড এর জন্য মক্কা মদীনাকে হারায়নি। ফরেইন আর্মি মক্কায় ঢুকে একটা মাছিও মারতে পারেনি।

তো ইসরাইলীরা যদি এতই পাংখা ইনোভেটিভ ট্যালেন্টেড হয়, তবে প্রায় ৫০ লক্ষ ( বা কোটি ) পপুলেশন নিয়েও ব্যবীলীয়ন কিং নেবুচাদনেজার এর আর্মিকে তারা প্রতিহত করতে পারলোনা কেন? নেবুচাদনেজার তো আর এক-দেড় লাখের বেশী সোলজার নিয়ে আক্রমন করেনি?
যেখানে মাত্র এক তৃতীয়াংশ আর্মি হলেও একটা শহর রক্ষা করা যায়, তার মানে মাত্র ৫০ -৬০ হাজার ইসরাইলী এক হলেও কিন্তু নেবুচাদনেজারকে আটকানো যেতো, কিন্তু পারলোনা তো?
তখন তাদের পাংখা পাংখা ইনোভেটিভ ট্যালেন্টেড ইসরাইলী বীরপুরুষরা কই ছিল?

একই কথা তো টাইটাস এর ক্ষেত্রে ও খাটে। তাদের পাংখা পাংখা ইনোভেটিভ ইসরাইলী রা কি করছিল যখন তাদের চোখের সামনেই সুলাইমান এর টেম্পল ভাঙ্গে মাটিতে মিশিয়ে দেয়া হল। তাও দুই দুই বার।

তারা নতুন কোন পদ্ধতি ইণোভেইট করতে পারলোনা কেন? যথেষ্ঠ জনবল এবং অর্থবিত্ত থাকা সত্ত্বেও?

আচ্ছা, একটু দেখেন হাদা বোকা (!!) মুসলমানদের কাহিনী। মুসলমানরা নাকি ইনোভেট করতে পারেনা, ট্যালেন্ট নাই, কালা পারে নাহ!!!

১৫০০ বছরের এত্ত কাহিনী আছে, শুধু গুরুত্বপূর্ণ কয়টা উল্লেখ করবো।

উমর বিন আল খাত্তাব(রা) এর আমলে খালীদ বিন ওয়ালীদের অধীনে প্রায় ৪০ হাজার (সবোর্চ্চ এসটিমেট) মুসলিম যোদ্ধা পারসিয়ানদের ২-৪ লক্ষ বিশাল সেনাবাহিনীর মুকাবেলা করে। এটা ছিল কাদিসিয়ার যুদ্ধ। ওই যুদ্ধ কাদিসিয়াতে(বর্তমান ইরাক) সংগঠিত হয় এবং পারসিয়ানরা পরাজিত হয়ে পালীয়ে যায়। সমগ্র ইরান এর ফলস্বরূপ মুসলমানদের হস্তগত হয়। এ যুদ্ধ শেষ না হতেই উমার(রা) খালীদকে নির্দেশ দেয় সম্পূর্ণ সেনাবাহিনী নিয়ে সিরিয়ায় চলে গিয়ে বাইজেন্টাইন(রোমান) দের মুকাবেলা করতে।

ইরাকের মরুভূমি পার করে খালীদ সিরিয়ায় চলে আসেন এবং দেড় - ৩ লক্ষ বাইজেন্টাইন আর্মির মুকাবেলা করেন ইয়ারমুকের প্রান্তরে। ৬ দিনের ক্রমাগত যুদ্ধে বাইজেন্টাইনরা পরাজিত হয়ে পালীয়ে যায় এবং সমগ্র সিরিয়া মুসলমানদের হস্তগত হয়। মাত্র ৫০ বছরের মধ্য স্পেন থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত মুসলমানদের হাতে চলে আসে।

এছাড়াও ফিরাজ এর যুদ্ধে খালীদ মাত্র ১৫ হাজার সৈন্য নিয়ে বাইজেন্টাইন - পারসিয়ান জয়েন্ট আর্মির(১-৩ লক্ষ) মুকাবেলা করে ওদের পরাজিত করেন।

মুসলমানরা কি ইসরাইলীদের মতন ঘরে বসে ছিল যে কখন বাইজেন্টাইন রা বা পারসিয়ানরা আমাদের আক্রমন করবে, তখন আমরা মুকাবেলা করবো, নাকি নিজেরাই প্রি-এম্পটিভ স্ট্রাইক করেছে? ইনোভেটিভনেস কাদের বেশী?
পারসিয়ানদের হাতিকে মুকাবেলা করার জন্য মুসলমানরা এক নতুন পদ্ধতি ইনোভেইট করে, সেটা হল উটের গায়ে ঢোলা কাপড় পরিয়ে দেয়া। উট চলা শুরু করলে তা দেখে হাতি ভয় পেয়ে যেতো এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে পারসিয়ানরা উল্টা তাদের হাতির কারণেই বিপদে পড়তো।
ইয়ারমুকের যুদ্ধে মুসলমানরা পেরে উঠছিলনা, কারণ বাইজেন্টাইন রা হেভী আরমার ব্যবহার করতো এবং শক্ত লৌহবর্ম দ্বারা শরীর প্রটেক্টেড হওয়ায় এদেরকে হত্যা করা ছিল খুব কঠিন। মুসলিমদের লৌহবর্ম ছিল পাতলা এবং ফ্লেক্সিবল, তাই দুর্বল। সহজেই আক্রান্ত করা যেতো।

তো খালীদ বিন ওয়ালীদ(রা) এক নতুন বুদ্ধি ইনোভেইট করেন। তিনি বের করেন, যে মুসলিম ক্যাভালরী ( ঘোড়সওয়ার) খুব দ্রুত মুভ করতে পারে, কিন্তু বাইজেন্টাইন ক্যাভলরী খুব আস্তে মুভ করে, কারণ হেভী মেটাল বহন করার কারণে ঘোড়াগুলো এত ওজন নিতে পারেনা।

[যুদ্ধে নরমালী আগে থাকে পদাতিক ইনফ্যান্ট্রী, পিছে ক্যাভলরী, যুদ্ধ শুরু হবার কিছু পরে ক্যাভালরী একশনে যায় ]

তো যুদ্ধের শেষ দিন (৬ষ্ঠ দিন) তিনি সম্পূর্ণ মুসলিম ক্যাভালরী এক করে, মুসলিম ইনফ্যান্ট্রীর সামনে এনে বাইজেন্টাইন ইনফ্যান্ট্রীকে ডান দিন থেকে ক্যাভালরী দিয়ে আক্রমন করে বসেন। মানে বাইজেন্টাইন ইনফ্যান্ট্রী সামনে থেকে মুসলিম ইনফ্যান্ট্রীকে এবং বাম পাশ থেকে মুসলিম ক্যাভালরীকে মুকাবেলা করতে হয়। এতে বাইজেন্টাইন ইনফ্যান্ট্রী বাম দিক থেকে হঠাত করে ভেঙ্গে পড়ে এবং পুরো ইনফ্যান্ট্রী শেষ হয় যায়। [পদাতিক বাহিনীর জন্য ঘোড়সওয়ার মোকাবেলা করা খুব কঠিন, খালীদ এই এডভানটেজটা নেন, কারণ ঘোড়সওয়ারা যুদ্ধের শুরুতে কিছু সময় অলস বসে থাকে।]

বাইজেন্টাইনরা ট্র্যাপটা বুঝতে পারে একটু পরেই, কিন্তু তারা তাদের ক্যাভালরী দিয়ে মুসলিম ক্যাভালরীকে আক্রমন করতে গিয়ে দেখে , যে তাদের ক্যাভালরী দৌড়াতে পারেনা, কালা পারে নাহ (হেভী আরমার, তাই মুভমেন্ট স্লো)। তাদের ক্যাভালরী পৌঁছানোর আগেই তাদের ইনফ্যান্ট্রী শেষ হয়ে যায়। এরপর পালানো ছাড়া আর উপায় থাকেনা, সুনিশ্চিত পরাজয়। এত বড় ইনোভেশন যুদ্ধের ময়দানে কি ইসরাইলী মাছ খাওয়া মহিলার সন্তান করছিল ? জবাব চাই

[খালীদ বিন ওয়ালীদ আসলে মুসলমানদের এক দুর্বলতাকে , তাদের সবলতায় রূপ দিয়েছিলেন, শৈল্পিক সৌন্দর্য]

তাহলে দেখা গেল যেই বাইজেন্টাইন আর পারসিয়ানরা ইসরাইলীদের নাকানী চুবানী খাইয়েছে, সেই পারসিয়ানদের আর বাইজেন্টাইনদের মুসলমানরা পরাজিত করে তাদের ক্যাপিটালই দখল করে নিয়েছে। পারসিয়ানরা সম্পূর্ণ মুসলমান হয়ে গেছে আর রোমানরা থাকতে না পেরে পশ্চিমে চলে গেছে। হেহে , সম্মান কার? ইনোভেটিভ কে? ট্যালেন্ট কে?

সালাহউদ্দিন আইয়ূবী হাত্তিন এর যুদ্ধে ক্রূসেডারদের মুকাবেলা করার জন্য ট্র্যাপ ফেলেন। ক্রূসেডার রা তাদের দূর্গ হতে বের হয়ে এক শুষ্ক হাত্তিনের ময়দানে যুদ্ধ করার জন্য আসে। কিন্তু এসেই দেখে পানি নাই, সব পানি সালাহউদ্দিন বিষাক্ত করে রেখেছেন। তার উপর গনগনে রোদ। তো গরম বাড়ানোর জন্য সালাহউদ্দিন ঘাসে আগুন ধরিয়ে দেন, বাতাস ক্রূসেডারদের দিকে বইছিল।
অত্যন্ত ক্লান্ত, শ্রান্ত, তৃষ্ঞার্ত ক্রূসেডার বাহিনী সালাহউদ্দিনের বাহিনীর আক্রমনে তছনছ হয়ে যায়।
সালাহউদ্দিন কি ইসরাইলী ছিল? জবাব চাই।

তুর্কি সুলতান মুহাম্মদ রাতে টেনশনে ঘুমাতে পারতেন না। কিভাবে বাইজেন্টাইন কনস্ট্যানটিনোপল দখল করবেন এই চিন্তায়, কারণ রসূল(স) ভবিষ্যতবানী করেছেন। ঘুমের মাঝখানে জেগে উঠে হৈচৈ বাধিয়ে দিতেন।
তো কনস্ট্যানটিনোপল দখল ছিল খুব দূরুহ কারণ এর দেয়াল ছিল মাত্রাতিরিক্ত পুরু, তাই আর্টিলারী কাজ করতোনা। আর নৌপথে আক্রমন করার রাস্তা ছিল খুব সরু, তাতে লোহার চেইন বাধিয়ে বাইজেন্টাইন জাহাজ পাহারা দিতো। তুর্কি নৌফ্লীট যত শক্তিশালীই হোক, তা অতিক্রম করা ছিল অসম্ভব।
তো, সুলমান মেহমেদ এক নতুন বুদ্ধি ইনোভেইট করেন।

যে কারণে কনস্ট্যানিনোপলবাসী একরাতে দেখতে পায়, যে সরু নৌপথের আশে পাশে আলোর ঝলকানি দেখে যাচ্ছে আর কিছু আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। পরদিন সকালে প্রায় শখানেক তুর্কি জাহাজ কনস্ট্যানটিনোপলের পাশের সমুদ্রে ঢুকে পড়েছে। সেখান থেকেই কনস্ট্যানটিনোপল খেলায় হেরে গেল। খেলা পারলো নাহ।

আসলে ওই সরু নৌপথ বাইপাস করে পাহাড় সমৃদ্ধ ভূমির উপর দিয়ে প্রায় ৭০ টি জাহাজ আগের দিন রাতে সুলতান মুহাম্মদের বাহিনী নিয়ে গিয়েছিল শহরটির দোরগোড়ায়। বাইজেন্টাইন জাহাজ কোন কাজে আসেনি।
এই সুলমান মেহমেদ কি ইসরাইলী ছিল? জবাব চাই

পারছে ইসরাইলীরা? সুলমান মেহমেদ, সালাহউদ্দিন, বা খালীদ বিন ওয়ালীদের মতন কোন ইনোভেটর জন্ম দিতে? পারেনাই। (সুলতান কুতুজ, বাইবার্স, হাইরেদ্দিন বারবারোসা, তারিক বিন যিয়াদ, নূরুদ্দিন এর কথা বললাম না, লজ্জা পাবেন।)

আসলে ইসরাইলীরা যা পারছে, তা হল, শত শত বছর ধরে সুদের ব্যবসা করে, ব্যাংকিং করে টাকা জমিয়ে, ওই টাকা ফরেইন পাওয়ারগুলোর পিছনে ইনভেস্ট করতে। আমেরিকা-ব্রিটেনের পলিটিশিয়ানদের লবীইং করে হাতে পায়ে ধরে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করছে। বেশীদিন হয়নাই ১৯৪৮ সালে। এটা কি সম্মান হলো?

মুসলমানরা কারো হাতে পায়ে ধরে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেনাই, সুদের ব্যবসা করে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেনাই। কাউকে শোষণ করা নাই।

অতিরিক্ত আমোদ-প্রমোদ করতে গিয়ে মুসলমানরা গত দুশো বছরে একটু পিছিয়ে পড়েছিল, কিন্তু তাই বলে তো আর মক্কা-মদীনা হারায় নি, তাই বলে তো আর নিজ ভূমি থেকে উৎখাত হয়ে দেশে দেশে উদ্বাস্তু হয়ে ইভেন এক মাসও ঘুরতে হয়নি, রাইট?
মাত্র ৭০ বছরেই ইসলাম আবার ফিরে আসছে, মুসলিম দেশগুলো টেকনোলজীতে অনেক এডভান্সড হয়ে গেছে, অর্থনীতিতে উন্নত হয়েছে। অথচ এটা করতে অন্যদের ৪০০ বছর লেগেছিল। উত্থান পতন তো ইতিহাসের নিয়ম। তাই এটা তো দোষের কিছুনা।

আর এত ইনোভেটিভ যারা, তাদের প্রায় ২০০০ বছর কেন সারা ইউরোপে পালিয়ে বেড়াতে হল? পাংখা ট্যালেন্ট তখন কই ছিল? হিটলার যখন ধরে ধরে............. থাক আর শেষ করলাম না।

তাই সারাদিন ইসরাইলীদের এত প্রশংসা কেন? আর মুসলমানদের এত বদনাম কেন? ইসরাইলী মিডিয়ার উপর এত আস্থা কেন? মুসলিমদের সাথে তো তাদের কোন তুলনাই হয়না।

তারা নাকি কি কি সিলিকন ওয়াদী করে, কি নাকি হাইটেক স্টার্ট আপ তারা, কি সব নাকি আয়রণ ডোম টোম করে উল্টাই ফেলছে… রাইট?
….
----এইসব হল ভুং ভাং চাপা। আসলে ইসরাইল ছোট্ট একটা দেশ, আম্রিকা তাকে বছরে ৩-৪ বিলিয়ন ডলার দেয়, সব টেকনোলজী দেয়। কপি করে পেস্ট করে, আর কিছুনা। এতই যদি ইনোভেটিভ হইতো, তাহলে ক. মাইক্রোসফট , খ. এপল, গ. এমাজন, ঘ. উবার ঙ. ইউটিউব --গত ১৫ বছরের এইসব ওয়ার্ল্ড রিনাউন্ড ইনোভেশন সব তো তেল আবীব থেকে আসতো, আম্রিকা থেকে আসে কেন? এক পাইছে ফেইসবুকরে তা নিয়ে এত নাচার কি আছে ভাই? এইটাও তো পিউর আমেরিকান প্রডাক্ট। আর আয়রন ডোম মাত্র ২০-২৫ ভাগ ক্ষেত্রে কাজ করে। খুব নিম্ন মানের রকেট রেও তাই এত ভয়। হেহে

--- আমেরিকা রে ইনোভেটিভ বললে মানি, কিন্তু ইসরাইল ? ব্লাড টেস্ট কইরা দেখেন তো, এলকোহল কি পরিমানে বেশী আছে নাকি?

=-=-> ইসরাইলী লবী আইপ্যাক নাকি খুব শক্তি শালী, আমেরিকা চালায়্ তারা, সারা দুনিয়া চালায় !!
----- আগে গত ১২ বছর ঠিক তাই মনে করতাম। তবে এখন যা বুঝি, তাহল তারা শক্তিশালী, কিন্তু যত গর্জে, তত বর্ষে না। শুধু মাত্র আমেরিকার ইসরাইল রিলেটেড পলিসি ওরা ডিক্টেইট করে। কিন্তু সারা দুনিয়ায় আমেরিকান পলিসি ওদের কথামতন হয়না। গতবার তো ওবামার সাথে তাদের সম্পর্ক যথেষ্ঠ খারাপ ছিল। আমরা আননেসেসারী তাদের ভয় পাই। সারা দুনিয়া, আমেরিকা-রাশা-চায়না-ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন-ব্রিটেন-জাপান, সবাই মিলেঝুলে চালায়, কেউ কারো থেকে কম না। ইসরাইল এরও শেয়ার আছে এবং প্রভাব আছে, কিন্তু সব তারাই চালায়, এটা সর্বৈব মিথ্যা। খুব অল্প পরিমান চালায় তারা, স্পেশালী ইসরাইল রিলেটেড ফরেইন পলিসির ক্ষেত্রে তাদের প্রভাব আছে যেটা স্বাভাবিক।

==--==--তাইলে ইসরাইলে যে এত সাইন্টিস্ট, ডক্টর, ইঞ্জিনিয়ার বেশী? এত সুনাম।

-------ব্রিটিশ ফুটবল-ক্রিকেট টীমের মতন আরকি, সব সুনাম মিডিয়ায় কিন্তু খেলতে গেলে কালা পারেনাহ। আসলে তারা সুদের টাকা জমাইয়া এডুকেশনে ইনভেস্ট করছে, এই আরকি। আর ১৬০০-২০০০ এ্‌ই সময়ে তারা তো ইউরোপে ছিল, তাই ইউরোপীয়ান টেকনোলজী মুসলিমদের আগে পেয়ে গেছে। আর মাইনরিটি হওয়ায়, পারসিকিউটেড হওয়ায় খুব জীবন বাজী রেখে নিজেদের একটু ডেভেলপড করছে, এই আরকি। এই জন্য একটু বেশী সাইন্টিস্ট থাকতে পারে। কিন্তু তার মানে এইনা, যে বনু ইসরাইলীরা জাতিগতভাবে বেশী মেধাবী। বরং মেধায় দুনিয়ার সব এথনিকাল নেশনই প্রায় সমান। যে ডেভেলপ করতে চায়, সে টাইম এবং মানি ইনভেস্ট করলে ডেভেলপ করতে পারে, এই আরকি।

যারা নিজেদের ক্যাপিটাল ফরেইন দখল মুক্ত রাখতে পারেনা, পর্যাপ্ত জনবল ও অর্থ থাকার পরেও, তারা কিভাবে মেধাবী হয়? যারা প্রায় ৭০০ পুরুষ জিন্দা থাকা সত্ত্বেও যুদ্ধ করতে এগিয়ে আসেনা, বরং আত্ম সমর্পন করে সব মাথা হারায়, তারা কিভাবে ইনোভেটিভ হয় (বনু কুরাইজা, মদীনা, আহযাবের যুদ্ধের পর)? যারা মুহাম্মদ(স) আগমনী বার্তা পেয়ে, তাকে কাছে পেয়েই বিরোধিতা করে সবকিছু হারিয়ে উৎখাত হতে হয়, তারা কিভাবে ট্যালেন্টেড হয়? এগুলো তো অহংকার (যা স্টূপিডিটি থেকে আসে’) তার নিদর্শন। এগুলো তো মূর্খতার নিদর্শন।

তাদেরকে বড়জোর ধূর্ত, কূটনা বলা যেতে পারে, কিন্তু ইনোভেটিভ, ট্যালেন্টেড, ইনটেলিজেন্ট ???!!! রিয়েলী? মুসলমান আছেন তো?

ওয়াশীংটন বেকে বসলে ‘সাকুতে তেলআবীব‘ হইতে তো এক মাসও লাগবেনা, বুঝেন?

উন্নতির জন্য নিজের দোষত্রূটি জানা আবশ্যক, এটা সত্য। মুসলমানরা ভুল করলে তা মুসলমানদেরকে জানতে হবে, একনলেজ করতে হবে, নাহলে শুধরাবে কিভাবে? আত্মসমালোচনা দরকার আছে।

কিন্তু এখন আত্মসমালোচনার নামে কিছু কিছু নেগেটিভ মাইন্ডেড মুসলমান সারাদিন ইসলামকে এক্সাজেরেট ওয়েতে ক্রিটিসাইজ করতে থাকেন । সেই সাথে ইসরাইলীদের প্রশংসায় মহামুগ্ধ হন। এটা আসলে আত্মপ্রবঞ্চনা। মুসলমানদেরকে নিজেদের উন্নতির জন্য ইসরাইলীদের কপি পেস্ট করতে হবে -এটা খুবই আপত্তি জনক কনসেপ্ট। যদিও তাদের কথায় কিন্তু এটাই মনে হয়। বরং দুরাবস্থা কাটানোর জন্য সঠিক ভাবে ইসলামকে মেনে চলা এবং জাগতিক বিষয়ে জ্ঞান লাভ করাই যথেষ্ঠ । ইসরাইলকে কপি পেস্ট করে সুদের টাকা দিয়ে আমেরিকার হাত পা টিপে ইসলাম প্রতিষ্ঠাই কি আপনারা চান? সেটাই কি আপনাদের কথায় মনে হচ্ছে না?

বাঘের বাচ্চা যখন বলে : ভেড়া খুব ইনোভেটিভ , কি সুন্দর ইনোভেটিভ ওয়েতে ঘাস খাচ্ছে? আহা আমি যদি খেতে পেতাম? কি সব ছাই পাতা মাংস খাই…. তখন কেমন লাগে বলেন তো?

@রেজাউল ভাই, ফেসবুক
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮
১০টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×