৪৩ বছরের অপেক্ষা, অবশেষে এল সেই মহেন্দ্র ক্ষণ। দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদ এর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে আজ। আজ যেন জাতি কলংক মুক্তির দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। ইতিহাসের দায় মেটানোর দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। ন্যায় বিচার পেলো বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও আমাদের বীরাঙ্গনা মায়েরা।
আল বদর প্রধান মুজাহিদ বুদ্ধিজীবী নিধনে ষড়যন্ত্র ও সহযোগিতা করেছেন।এছাড়াও ফরিদপুরের বাকচর গ্রামে হত্যা ও নিপীড়ন এর সাথে যুক্ত ছিলেন এই রাজাকার। বদি ও রুমি হত্যায় প্ররোচনা ও ফরিদপুরের রণজিৎ নাথকে নির্যাতন এর সাথে যুক্ত ছিলেন এই রাজাকার। আর এই প্রতিটি অভিযোগ প্রমানিত হুয়েছে। এই শীর্ষ মানবতা বিরোধী অপরাধী পরবর্তীতে বাংলাদেশের মন্ত্রী হয়েছিলেন। ষে সময় বেশ দাম্ভিকতার সাথে তিনি বলেছিলেন- 'বাংলাদেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই। স্বাধীনতার বিরোধী বলে কেউ নেই। তখনও ছিল না, এখন ও নেই।'
শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরী নতুন চন্দ্র সিংহ হত্যা, মজাফফর ও আলমগিরকে হত্যা, উনসত্তরপাড়া গনহত্যা, সুলতানপুরের বনিকপাড়ায় গণহত্যার সাথে যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও মধ্য গহিরা গণহত্যা, জগতমল্ল পাড়ায় গনহত্যা ও নিজামুদ্দিন ও সালেহউদ্দিনকে নির্যাতনের সাথে যুক্ত ছিলেন এই রাজাকার।আর এই প্রতিটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হয়েছে।এই রাজাকার গর্ব করে বলতেন- তার বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরী ছিলেন- অখণ্ড পাকিস্তানে বিশ্বাসী। উচ্চ আদালতে ফাসির রায় আসার পর রিভিউয়ে জালিয়াতি করে তিনি প্রমান করার চেষ্টা করেন- ৭১ এ তিনি এই দেশে ছিলেন না।
আজ ন্যায় বিচার পেয়েছে এই দেশের মুক্তিকামি জনগণ। আমাদের শহীদদের, শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আমরা ফিরে পাব না কিন্তু আমরা তাদের ভুলিনি। তাদের ঘাতকের বিচার এই দেশ করেছে।
আজ একই সাথে কার্যকর হয়েছে- এই দুই শীর্ষ রাজাকারের ফাঁসি। এই আনন্দ ঈদের আনন্দের চেয়ে কম নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২৯