somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৃথিবীর সকল হ্রদের ব্যবচ্ছেদ; জানা-অজানা বিষয়গুলো।

০২ রা আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



হ্রদ হল ভূ-বেষ্টিত লবণাক্ত বা মিষ্টি স্থির পানির বড় আকারের জলাশয়। হ্রদ উপসাগর বা ছোট সাগরের মত কোন মহাসমুদ্রের সাথে সংযুক্ত নয়, তাই এতে জোয়ার ভাটা হয় না। বিভিন্ন ভূ-তাত্ত্বিক কারণে মাটি নিচু হয়ে হ্রদের সৃষ্টি হতে পারে। স্তরীভূত শিলায় ভাঁজের সৃষ্টি হয়ে, অনেক বড় আকারের শিলাস্তর ফল্টের আকারে স্থানচ্যুত হলে, কিংবা ভূমিধ্বসের ফলে পাহাড়ী নদীর গতিপথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়ে হ্রদের সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া হিমবাহের মাধ্যমেও অনেক হ্রদ তৈরি হয়। হিমবাহগুলি এদের গতিপথে ভূ-পৃষ্ঠে গভীর খাঁজের সৃষ্টি করে এবং পরবর্তীতে কোন কারণে হিমবাহগুলি সরে গেলে এসব স্থানে হ্রদের সৃষ্টি হয়। উত্তর আমেরিকার অনেক হ্রদ এভাবেই তৈরি হয়েছে।



সরাসরি বৃষ্টিপাত ও হ্রদে পতিত হওয়া নদী বা জলধারা হ্রদে পানির সরবরাহ করে। বৃহত্তর ভৌগোলিক কালের প্রেক্ষাপটে হ্রদগুলি গঠিত হয়েছে, অদৃশ্য হয়েছে ও আবার গঠিত হয়েছে। ঊষর জলবায়ু অঞ্চলে হ্রদ শুকিয়ে বদ্ধ জলাভূমিতে পরিণত হয়। স্বল্প-বৃষ্টিপ্রবণ অঞ্চলে ঋতুভদে হ্রদগুলি পানিতে ভরাট হয় ও আবার বহুদিনের জন্য শুকিয়ে যায়। যেসমস্ত হ্রদে বাষ্পীভবনের হার বেশি ও পানি উপচে পড়ার প্রবণতা কম, সেগুলিতে পানিতে দ্রবীভূত উপাদানগুলির ঘনত্ব বেড়ে যায় এবং এদের মধ্যে প্রধান উপাদানের প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে অনেক সময় হ্রদের শ্রেণীবিভাগ করা হয়। যেমন লবণ হ্রদগুলির মূল দ্রব হচ্ছে সাধারণ লবণ, তিক্ত হ্রদগুলির মূল দ্রব হচ্ছে বিভিন্ন সালফেট; ক্ষারীয় হ্রদগুলিতে কার্বনেট; বোরাক্স হ্রদে বোরেট, ইত্যাদি।

সমুদ্র সমতল থেকে যেকোন উচ্চতাতেই হ্রদ গঠিত হতে পারে। সারা বিশ্বের হ্রদগুলি বিভিন্ন উচ্চতায় অবস্থিত। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক হ্রদ কানাডাতে অবস্থিত। উচ্চ অক্ষাংশের অঞ্চলে, বিশেষত পার্বত্য অঞ্চলে, যেখানে হিমবাহের ক্রিয়ার সম্ভাবনা আছে, সেখানে প্রচুর হ্রদ দেখা যায়।

অনেক হ্রদ মাছ ও খনিজ পদার্থের উৎস হিসেবে, অবকাশ কেন্দ্র হিসেবে ও অন্যান্য দিক থেকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কাস্পিয়ান সাগর, লেক সুপিরিয়র ও লেক ভিক্টোরিয়া বিশ্বের বৃহত্তম তিনটি হ্রদ। এদের মধ্যে কাস্পিয়ান সাগর সবচেয়ে বড় ও এর আয়তন ৩,৭০,৯৯৮ বর্গ কিলোমিটার। মৃত সাগর বিশ্বের নিম্নতম হ্রদ; এটি সমুদ্র তলদেশের ৪০৮ মিটার নীচে অবস্থিত। বৈকাল হ্রদ বিশ্বের গভীরতম মিষ্টি পানির হ্রদ; এটি সর্বোচ্চ ১৬৩৭ মিটার পর্যন্ত গভীর।


আয়তন অনুযায়ী পৃথিবীর সর্ববৃহৎ হ্রদসমূহের তালিকা:

১। কাস্পিয়ান সাগর : অবস্থান: আজারবাইজান-রাশিয়া-কাজাখস্তান-তুর্কমেনিস্তান-ইরান; ক্ষেত্রফল ৩,৭০,৯৯৮ বর্গ কি.মি.
২। মিশিগান-হিউরন : অবস্থান: কানাডা-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; ক্ষেত্রফল ১১৭,৭০২ বর্গ কি.মি.
৩। সুপিরিয়র : অবস্থান: কানাডা-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; ক্ষেত্রফল ৮২,৪১৪ বর্গ কি.মি.
৪। ভিক্টোরিয়া : অবস্থান: কেনিয়া-তানজানিয়া-উগান্ডা; ক্ষেত্রফল ৬৯,৪৮৫ বর্গ কি.মি.
৫। টাংগানিইকা : অবস্থান: তানজানিয়া-ডিআরসি-বুরুন্ডি-জাম্বিয়া; ক্ষেত্রফল ৩২,৮৯৩ বর্গ কি.মি.
৬। বৈকাল : অবস্থান: রাশিয়া; ক্ষেত্রফল ৩১,৫০০ বর্গ কি.মি.
৭। গ্রেট বিয়ার : অবস্থান: কানাডা; ক্ষেত্রফল ৩১,০৮০ বর্গ কি.মি.
৮। মালাবি : অবস্থান: মালাবি-মোজাম্বিক-তানজানিয়া; ক্ষেত্রফল ৩০,০৪৪ বর্গ কি.মি.
৯। গ্রেট স্লেভ : অবস্থান: কানাডা; ক্ষেত্রফল ২৮,৯৩০ বর্গ কি.মি.
১০। এরি : অবস্থান: কানাডা-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; ক্ষেত্রফল ২৫,৭১৯ বর্গ কি.মি.
১১। উইনিপেগ : অবস্থান: কানাডা; ক্ষেত্রফল ২৩,৫৫৩ বর্গ কি.মি.
১২। ওন্টারিও : অবস্থান: কানাডা-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; ক্ষেত্রফল ১৯,৪৭৭ বর্গ কি.মি.
১৩। বালখাশ : অবস্থান: কাজাখস্তান; ক্ষেত্রফল ১৮,৪২৮ বর্গ কি.মি.
১৪। লাডোগা : অবস্থান: রাশিয়া; ক্ষেত্রফল ১৮,১৩০ বর্গ কি.মি.
১৫। অরাল সাগর : অবস্থান: কাজাখস্তান-উজবেকিস্তান; ক্ষেত্রফল ১৭,১৬০ বর্গ কি.মি.
১৬। মারাকাইবো : অবস্থান: ভেনিজুয়েলা; ক্ষেত্রফল ১৩,৩০০ বর্গ কি.মি.
১৭। টনলে সেপ : অবস্থান: কম্বোডিয়া; ক্ষেত্রফল ১০,০০০ বর্গ কি.মি.
১৮। ওনেগা : অবস্থান: রাশিয়া; ক্ষেত্রফল ৯,৮৯১ বর্গ কি.মি.
১৯। টিটিকাকা : অবস্থান: বলিভিয়া-পেরু; ক্ষেত্রফল ৮,১৩৫ বর্গ কি.মি.
২০। নিকারাগুয়া হ্রদ : অবস্থান: নিকারাগুয়া; ক্ষেত্রফল ৮,০০১ বর্গ কি.মি.
২১। আথাবাস্কা : অবস্থান: কানাডা; ক্ষেত্রফল ৭,৯২০ বর্গ কি.মি.
২২। তুরকানা : অবস্থান: কেনিয়া; ক্ষেত্রফল ৬,৪০৫ বর্গ কি.মি.
২৩। রেইনডিয়ার হ্রদ : অবস্থান: কানাডা; ক্ষেত্রফল ৬,৩৩০ বর্গ কি.মি.
২৪। আয়ার : অবস্থান: দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া; ক্ষেত্রফল ৬,২১৬ বর্গ কি.মি.
২৫। ইসসায়াক-কুল : অবস্থান: কিরগিজস্তান; ক্ষেত্রফল ৬,২০০ বর্গ কি.মি.
২৬। উরমিয়া : অবস্থান: ইরান; ক্ষেত্রফল ৬,০০১ বর্গ কি.মি.
২৭। ডংটিং : অবস্থান: চীন; ক্ষেত্রফল ৬,০০০ বর্গ কি.মি.
২৮। টরেন্‌স : অবস্থান: দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া; ক্ষেত্রফল ৫,৬৯৮ বর্গ কি.মি.
২৯। ভেনার্ন : অবস্থান: সুইডেন; ক্ষেত্রফল ৫,৫৪৫ বর্গ কি.মি.
৩০। উইনিপেগোসিস : অবস্থান: কানাডা; ক্ষেত্রফল ৫,৪০৩ বর্গ কি.মি.
৩১। আলবার্ট : অবস্থান: উগান্ডা-জায়ার; ক্ষেত্রফল ৫,২৯৯ বর্গ কি.মি.
৩২। মেওরু : অবস্থান: ডিআর কঙ্গো-জাম্বিয়া; ক্ষেত্রফল ৫,১২০ বর্গ কি.মি.
৩৩। নেটটিলিং : অবস্থান: বাফিন দ্বীপ, কানাডা; ক্ষেত্রফল ৫,০৫১ বর্গ কি.মি.
৩৪। নিপিগন : অবস্থান: কানাডা; ক্ষেত্রফল ৪,৮৪৩ বর্গ কি.মি.
৩৫। ম্যানিটোবা : অবস্থান: কানাডা; ক্ষেত্রফল ৪,৭০৬ বর্গ কি.মি.
৩৬। গ্রেট সল্ট হ্রদ : অবস্থান: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; ক্ষেত্রফল ৪,৬৬২ বর্গ কি.মি.



মহাদেশ অনুযায়ী বৃহত্তম হ্রদসমূহ:

আফ্রিকা - ভিক্টোরিয়া হ্রদ, পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম সুপেয় পানির হ্রদ।
অ্যান্টার্কটিকা - ভস্তক হ্রদ (তুষারাচ্ছাদিত)
এশিয়া - লবণাক্ত: কাস্পিয়ান সাগর; মিঠা: বৈকাল হ্রদ
অস্ট্রেলিয়া - লেক আয়রে (লবণাক্ত হ্রদ)
মধ্য আমেরিকা - নিকারাগুয়া হ্রদ
ইউরোপ - লাডোগা হ্রদ
উত্তর আমেরিকা - মিশিগান-হিউরন হ্রদ
দক্ষিণ আমেরিকা - ঈষৎ লোনা: মারাকাইবো হ্রদ ও সুপেয়: টিটিকাকা হ্রদ


উল্লেখযোগ্য কিছু হ্রদের বিশ্লেষণ:

কাস্পিয়ান সাগর
কাস্পিয়ান সাগর আয়তর অনুসারে পৃথিবীর বৃহত্তম আবদ্ধ জলাশয়। একে পৃথিবীর বৃহত্তম হ্রদ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে যার আয়তন একটি সম্পূর্ণ সাগরের সমান। এর পৃষ্ঠতলীয় ক্ষেত্রফল ৩৭১,০০০ বর্গ কিলোমিটার (১৪৩,২৪৪ বর্গ মাইল) এবং আয়তন ৭৮,২০০ ঘন কিলোমিটার (১৮,৭৬১ ঘন মাইল)। ধারণা করা হয় ঐতিহাসিকভাবে কৃষ্ণ সাগরের মধ্য দিয়ে ভূমধ্যসাগর হয়ে কাস্পিয়ান সাগরের উৎপত্তি। এছাড়া কাস্পিয়ান সাগর ক্ষেত্রফল ও আয়তন উভয় দিক থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ হ্রদ, যদিও এর পানি লবণাক্ত।






লেক সুপিরিয়র
লেক সুপিরিয়র উত্তর আমেরিকার পাঁচটি বৃহত্তম লেক গুলোর একটি। এটির উত্তরে কানাডার প্রদেশ ওন্টারিও, এবং দক্ষিণে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য উইসকনসিন ও মিশিগান। এটি আয়তনের দিক দিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বাদু পানির হ্রদ, এবং একই সাথে এটি ক্ষেত্রফলের দিক দিয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম হ্রদ। প্রথম দুইটি হচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর ও লেক মিশিগান-হিউরন। লেক হিউরন, সেন্ট মেরিস রিভার এবং সু লকস-এর মধ্য দিয়ে এটি শেষ হয়েছে।

লেক সুপিরিয়রের ক্ষেত্রফল ৩১,৮২০ বর্গ মাইল (৮২,৪১৩ বর্গ কি.মি.), যা পুরো সাউথ ক্যারোলাইনার থেকেও বড়। এছাড়াও এর গড় গভীরতা প্রায় ৪৮২ ফুট (১৪৭ মিটার), এবং সর্বোচ্চ গভীরতা প্রায় ১,৩৩২ ফুট (৪০৬ মিটার)। লেক সুপিরিয়রের পানির পরিমাণ প্রায় ২,৯০০ ঘন মাইল (১২,১০০ ঘন কিলোমিটার)। লেক সুপিরিয়রের মোট পানি পুরো উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার ভূ-খণ্ডকে ১ ফুট পানির নিচে ঢেকে দিতে পারে। এটি গ্রেট লেকসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়, গভীর, এবং শীতলতম হ্রদ। লেক সুপিরিয়রের আয়তন গ্রেট লেকসের বাকি তিনটি হ্রদের মোট আয়তনের চেয়েও বেশি, এবং লেক ইরির প্রায় তিনগুণ।










মারাকাইবো হ্রদ
মারাকাইবো হ্রদ উত্তর-পশ্চিম ভেনেজুয়েলার একটি অগভীর জলাশয়। ১৯৫ কিলোমিটার দীর্ঘ হ্রদটি উত্তরে ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তাবলাসো প্রণালীর মাধ্যমে ভেনেজুয়েলা উপসাগরের সাথে সংযুক্ত। কাতাতুম্বো, সান্তা আনা, ও চামা নদীগুলি হ্রদটিতে মিষ্টি পানি বয়ে নিয়ে আনে। হ্রদটির উত্তরের অংশের পানি কিছুটা লোনা।
মারাকাইবো হ্রদটি মারাকাইবো এবং কাবিমাস বন্দরগুলির জন্য একটি প্রধান জাহাজপথ হিসেবে কাজ করে। হ্রদটির নীচে ও আশেপাশে মারাকাইবো বেসিনে পেট্রোলিয়ামের মজুদ আছে, ফলে এটি ভেনেজুয়েলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল। উত্তরে হ্রদের মুখের কাছে ৮.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৯৬২ সালে নির্মিত জেনারেল রাফায়েল উর্দানেতা সেতু বিশ্বের দীর্ঘতম সেতুগুলির একটি।










তিতিকাকা হ্রদ
তিতিকাকা পূর্ব-মধ্য দক্ষিণ আমেরিকার একটি হ্রদ। এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ হ্রদ, সমুদ্রসমতল থেকে এর উচ্চতা ৩৮১০ মিটার। হ্রদটি দক্ষিণ-পূর্ব পেরু থেকে পশ্চিম বলিভিয়ায় বিস্তৃত। এর দৈর্ঘ্য ১৯৬ কিমি ও গড় প্রস্থ ৫৬ কিমি। হ্রদটির আশেপাশের এলাকায় প্রাচীন আদিবাসী আমেরিকানদের সভ্যতা ছিল। এগুলিতে ইনকা পর্বের অনেক স্থাপত্যের নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়।
















আসাল হ্রদ
আসাল হ্রদ জিবুতিতে অবস্থিত একটি লবণাক্ত পানির হ্রদ। এটি সমুদ্র সমতলের ১৫৩ মিটার নীচে অবস্থিত এবং আফ্রিকার নিম্নতম বিন্দু। জিবুতির রাজধানী জিবুতি শহর থেকে ৭০ কিলোমিটার পশ্চিমে আফ্রিকার সবচেয়ে শুষ্ক ও উষ্ণ অঞ্চলে 'আসাল হ্রদ অবস্থিত। পৃথিবীপৃষ্ঠের আগ্নেয় কর্মকাণ্ডের ফলে ভূ-পৃষ্ঠের উত্থান পতনের কারণে প্রায় ১০ থেকে ৪০ লক্ষ বছর আগে হ্রদটি বর্তমান রূপ পায়। গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, আরও আগের একটি ভৌগোলিক যুগে হ্রদটি সমুদ্র সমতলে অবস্থিত ছিল। হ্রদের আশেপাশের এলাকায় এখনও ভূমির চ্যুতি ও আগ্নেয় কর্মকাণ্ড বিরাজমান। সর্বশেষ ১৯৭৮ সালে এরকম ঘটনা ঘটেছিল। লবণাক্ত পানির হ্রদ বলে 'আসাল হ্রদের আশেপাশে কোন বড় লোকালয় বা অর্থনৈতিক কাজকর্ম গড়ে ওঠেনি। অবশ্য সাম্প্রতিক দশকগুলিতে জিবুতিতে শক্তি সরবরাহের উদ্দেশ্যে হ্রদের আশেপাশে কিছু ভূ-উত্তাপ সংগ্রহকারী কূপ খনন করা হয়েছে। হ্রদ থেকে লবণ আহরণ করা হয়।


















আয়ার হ্রদ
আয়ার হ্রদ অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণে, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া রাজ্যের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত একটি লবনাক্ত পানির হ্রদ। ঊষর অঞ্চলে অবস্থিত হ্রদটি প্রায়ই শুকনো থাকে। মূলত বর্ষাকালেই এতে পানি সঞ্চিত হয় এবং তখন এটি মধ্য অস্ট্রেলিয়ার এক বিরাট অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনস্থল হিসেবে কাজ করে। হ্রদটি উত্তর আয়ার হ্রদ ও নিম্ন আয়ার হ্রদের সমন্বয়ে গঠিত, এবং এই দুইটিকে গয়ডার চ্যানেল সংযুক্ত করেছে। হ্রদটির আয়তন প্রায় ৯,৩০০ বর্গকিমি। এটি সমুদ্র সমতলের ১৬ মিটার নীচে অবস্থিত এবং এটিই অস্ট্রেলিয়ার নিম্নতম বিন্দু। হ্রদটিকে ব্রিটিশ পর্যটক এডওয়ার্ড জন আয়ারের নামে নামকরণ করা হয়েছে। আয়ার ১৮৪০ সালে হ্রদটি আবিষ্কার করেন।








ইর হ্রদ
ইর হ্রদ চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইউনানে অবস্থিত সুন্দর একটি হ্রদ। এটি ইরহাই হ্রদ নামেও এটি পরিচিত। ইরহাই মানে "কান আকৃতির সাগর"।
ইর হ্রদ মালভূমিতে যেন মুক্তো; অপূর্ব এর নৈসর্গিক শোভা। হ্রদের বিখ্যাত জায়গাগুলোর মধ্যে রয়েছে ছোট ছোট দ্বীপ। যেমন­ জিনসুও, চিওয়েন ও য়ুজি। চারটি ভূখণ্ড যেগুলোর নাম ম্যালিয়ান, ম্যান্ডারিন, ডাক, কিংশা ও দ্যাগুয়াপেং। হ্রদের চারটি বাঁকও নয়ন জুড়ানো। এসব মোহিনী দৃশ্য ছাড়াও এখানে রয়েছে তিন বুরুজের ছায়া, তিন খিলানের পাথুরে সেতু­ ইত্যাদি। ইর হ্রদের চারপাশে রয়েছে অনেক নয়নাভিরাম দ্রষ্টব্যস্থল। যেমন­ ইরহাই উদ্যান, জি-ঝাউ মধ্যসাগর প্যাভিলিয়ন, স্বর্গীয় আয়না প্যাভিলিয়ন, ছোট পুতুও পাহাড় ইত্যাদি। স্থানীয় বাই জনগোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যের উৎস এ হ্রদ। বাইরা প্রশিক্ষিত পাখির (করমোর‌্যান্টস) সাহায্যে মাছ ধরে। এ পাখি হ্রদ থেকে মাছ ধরে জেলেদের কাছে নিয়ে আসে।
















ভিক্টোরিয়া হ্রদ
ভিক্টোরিয়া হ্রদ আফ্রিকা মহাদেশের বৃহত্তম এবং পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম হ্রদ। ক্ষেত্রফলের দিক দিয়ে এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশুদ্ধ পানির আধার। তবে গভীরতা তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় এটি পানির আয়তনের দিক দিয়ে বিশ্বে সপ্তম বৃহত্তম। তানজানিয়া, কেনিয়া এবং উগান্ডার মধ্যবর্তী একটি সুউচ্চ মালভূমির উপর এটি অবস্থিত। এ হ্রদে প্রায় ৩০০০ টি ছোট-বড় দ্বীপ রয়েছে, যার অনেকগুলোতেই মানব বসতি রয়েছে। নীল নদ এর দীর্ঘতম উৎস সাদা নীলের উৎপত্তি এ হ্রদ থেকেই।
ভিক্টোরিয়া তুলনামূলকভাবে নবীন একটি হ্রদ। বর্তমান জলাধারটি সৃষ্টি হয় ৪,০০,০০০ বছর পূর্বে। ১৭,৩০০ বছর পূর্বে এটি পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। ১৪,৭০০ বছর পূর্বে এটি পুণরায় ভরে উঠে। ভিক্টোরিয়া হ্রদের কথা প্রথম শোনা যায় আরব বণিকদের বিবরণীতে। সোনা, হাতির দাঁতের খোঁজে আরবরা আফ্রিকার অভ্যন্তরে নৌপথগুলো ব্যবহার করতো। ১১৬০ সালের একটি আরব মানচিত্রে ভিক্টোরিয়া হ্রদকে সুস্পষ্টভাবে সঠিক অবস্থানসহ চিহ্নিত করা হয়। ১৮৫৮ সালে ব্রিটিশ অভিযাত্রী জন হানিং স্পেক মধ্য আফ্রিকায় অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে সর্বপ্রথম ইউরোপীয় হিসেবে ভিক্টোরিয়া হ্রদের তীরে উপস্থিত হন। বিশাল জলরাশি দেখে তার মনে হয়, এটিই নীল নদের উৎস। মহারাণী ভিক্টোরিয়ার নামানুসারে তিনি এটির নামকরণ করেন।
ব্রিটিশ মিশনারী ও অভিযাত্রী ডেভিড লিভিংস্টোন স্পেকের দাবীর সত্যতা যাচাই করতে ব্যর্থ হন। তিনি আরও পশ্চিমে কঙ্গো নদীর কাছে পৌঁছান। অবশেষে আমেরিকান আবিষ্কারক হেনরি মরটন স্ট্যানলি এর সত্যতা যাচাই করতে সক্ষম হন।














মৃত সাগর
ডেড সি (মৃত সাগর : সি অব সল্ট) এর পশ্চিমে পশ্চিম তীর এবং ইসরায়েল, পূর্বে জর্ডান অবস্থিত। জিবুতির আসাল হ্রদের পর এটি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লবণাক্ত পানির প্রাকৃতিক আধার। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৪২০ মিটার (১,৩৭৮ ফিট) নিচে এটি পৃথিবীর নিম্নতম স্থলভূমি। এর লবণাক্ততা শতকরা ৩০ ভাগ এবং এটি সমুদ্রের পানির চাইতে ৮.৬ গুণ বেশি লবণাক্ত।

প্রায় তিন মিলিয়ন বছর পূর্বে বর্তমান জর্দান নদী, মৃত সাগর এবং ওয়াদি আরাবাহ অঞ্চল লোহিত সাগরএর পানিতে বারবার প্লাবিত হত ।এর ফলে একটি সরু উপসাগরের সৃষ্টি হয় । উপসাগরটি জেজরিল উপত্যকায় একটি সরু সংযোগের মাধ্যমে লোহিত সাগরের সাথে যুক্ত ছিল। প্রাকৃতিক তত্ত্ব অনুযায়ী প্রায় ২ মিলিয়ন বছর পূর্বে উপত্যকা এবং ভূমধ্যসাগরএর মধ্যবর্তী স্থলভাগ যথেষ্ট উচ্চতা লাভ করে । ফলে মহাসাগরের প্লাবনে এই অঞ্চলে সৃষ্ট উপসাগরটি পরিবেষ্টিত হয়ে হ্রদে পরিণত হয়।

ইসলাম ধর্মে এ অঞ্চলকে হযরত লূত (আঃ) এর অনুসারীদের আবাসস্থল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সমকামের দরুণ এই জাতিকে আল্লাহ ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত ফেরেশতারা ভূমি উল্টে এ জাতিটিকে মাটি চাপা দেন। আল-ক্বুরআনে সূরা রুম এ ঘটনা উল্লেখ করা আছে। এর দরুন এ এলাকা কে বিশ্বের সবচেয়ে নিচু এলাকা বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
খ্রিস্ট ধর্ম মতে, দুর্গম এ অঞ্চল বাইজেন্টাইন শাসকদের আমল থেকে গ্রিক অর্থোডক্স সন্নাসীদের আকৃষ্ট করতে শুরু করে ।ওয়াদি কেল্টে অবস্থিত সেইন্ট জর্জ গীর্জা এবং জুদাই মরুভূমিতে মারসাবা মন্দির খ্রিস্টানদের তীর্থস্থান
ইহূদী ধর্মে

মৃত সাগরের উত্তর তীরবর্তী "জেরিকো" শহরকে ইহূদী ধর্মগ্রন্থগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে। বুক অব জেনেসিস এ উল্লেখিত নবী আব্রাহামের সময়কালে ধ্বংসপ্রাপ্ত সোডম এবং গোমোরা শহর এবং তিনটি "সমতল ভুমির শহর" আদমাহ , জেবোইম এবং জোয়ার শহরের অবস্থান সম্ভবত মৃত সাগরের দক্ষিণপূর্ব উপকূলে।

মৃত সাগর সম্পর্কে কিছু ভবিষদ্বাণী রয়েছে। বাইবেলে মৃত সাগরের লবণাক্ততা বিলুপ্ত হওয়ার সম্পর্কে ভবিষদ্বাণী রয়েছে। এজেকেইল এ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে "মৃত সাগরের পানি স্বাদু হয়ে যাবে, এমনকি মাছের বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠবে" । জেকরিয়াহ তে উল্লেখ আছে "জেরুজালেমের পানি দু'ভাগে ভাগ হয়ে যাবে, একভাগ জমা হবে পূর্ব সাগরে (মৃত সাগর)", অন্য ভাগ জমা হবে পশ্চিম সাগরে (ভূমধ্যসাগর)

বর্তমান সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে নিচু হাইওয়ে "হাইওয়ে ৯০" মৃত সাগরের পাশে অবস্থিত। সমুদ্র সমতল থেকে ৩৯৩ মিটার নিচে অবস্থিত এ হাইওয়েটি ইসারায়েল এবং পশ্চিম তীরের মধ্য দিয়ে চলে গেছে। ব্রিটিশরা উত্তর উপকূলে গড়ে তুলেছিল "সোডম এবং গোমোরাহ" নামের একটি গলফ কোর্স। ইসরায়েলের আরাদ এর নিকটবর্তী অঞ্চলে প্রধান হোটেলগুলোর নির্মাণ শুরু হয় বিশ শতকের ৬০ এর দশক থেকে। সমসাময়িককালে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের ফলে জর্ডান উপকূলও ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে।












বৈকাল হ্রদ
বৈকাল হ্রদ রাশিয়ার সাইবেরিয়ার দক্ষিণভাগে অবস্থিত একটি সুপেয় পানির হ্রদ। এর উত্তর-পশ্চিম অংশ ইর্কুৎস্ক ওবলাস্ত এবং দক্ষিণ-পূর্ব অংশ বুরিয়াত প্রজাতন্ত্রে পড়েছে। হ্রদটির আয়তন প্রায় ৩১,৫০০ বর্গকিলোমিটার। এটি বিশ্বের গভীরতম হ্রদ। এর সর্বাধিক গভীরতা ১,৬৩৭ মিটার। তিনশোরও বেশি নদীর পানি এসে এই হ্রদে পড়েছে। কেবল মাত্র নিম্ন আঙ্গারা নদীর মাধ্যমে হ্রদের পানি বাইরে নিষ্কাশিত হয়। প্রকৃতির এক আশ্চর্য বিস্ময় এই হ্রদটি মৎস্যসম্পদে সমৃদ্ধ এবং এর আশেপাশের অরণ্য অঞ্চল জীববৈচিত্রের এক বিপুল প্রাকৃতিক সম্ভার। বৈকাল হ্রদ এলাকায় ১৭০০-রও বেশি প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী আছে, যাদের দুই-তৃতীয়াংশ পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। বৈকাল হ্রদের পানি অত্যন্ত অক্সিজেনসমৃদ্ধ; হ্রদের পাঁচ হাজার ফুট গভীরেও জলজ প্রাণীর বাস আছে। ১৯৯৬ সালে এটিকে একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান ঘোষণা করা হয়। বৈকাল হ্রদ "সাইবেরিয়ার নীল নয়ন" বা "সাইবেরিয়ার মুক্তা" নামে পরিচিত। সঞ্চিত পানির আয়তন অনুযায়ী এটি বিশ্বের বৃহত্তম মিষ্টি পানির হ্রদ। এখানে মিষ্টি পানির পরিমাণ উত্তর আমেরিকার গ্রেট লেক্‌সের সবগুলি হ্রদে সঞ্চিত মিষ্টি পানির চেয়ে বেশি। বৈকাল হ্রদ প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ বছর পুরনো; এটিই বিশ্বের প্রাচীনতম হ্রদ।






















ছিংহাই হ্রদ
ছিংহাই হ্রদ চীনের সবচেয়ে সুন্দর হ্রদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। তা পাঁচটি বড় হ্রদের মধ্যে প্রথম এবং চীনের বৃহত্তম অভ্যন্তরমুখী লবনাক্ত পানির হ্রদ। এর আয়তন অনেক বড়, প্রায় ৪ হাজার ৫শ' বর্গকিলোমিটার। এর আয়তন ছিংহাই প্রদেশের রাজধানী সিনিং শহরের প্রায় অর্ধেক। এখনকার আবহাওয়ায় ছিংহাই হ্রদের ভেতর থেকে বাইরে পর্যন্ত মোট ৭ ধরনের রঙ আছে। সুতরাং কাছাকাছি তিব্বত জাতির অধিবাসীরা তাকে সাত রঙের হ্রদ বলেন। তাদের জন্য এটা একটি পবিত্র হ্রদ।












রবীন্দ্র সরোবর
রবীন্দ্র সরোবর (পূর্বনাম ঢাকুরিয়া লেক) দক্ষিণ কলকাতায় অবস্থিত একটি কৃত্রিম হ্রদ। লোকমুখে এটি "দক্ষিণ কলকাতার ফুসফুস" হিসেবে আখ্যায়িত। ঢাকুরিয়া লেক নামটি এই হ্রদসংলগ্ন অঞ্চলটিরও পরিচায়ক।
১৯২০-এর দশকের প্রথম দিকে কলকাতা মহানগরীয় অঞ্চলের উন্নয়নের দায়িত্বে নিয়োজিতকলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (কেআইটি) ১৯২ একর জলাজঙ্গলময় জমি অধিগ্রহণ করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল এই অঞ্চলটি বসতিযোগ্য করে তোলা – রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, আশপাশের জমিকে সমাতল করা এবং হ্রদ ও উদ্যান গড়ে তোলা। এ সময়ই একটি বৃহদাকার হ্রদ খনন করার কাজ শুরু হয়। এই হ্রদটিই পরিচিত হয় ঢাকুরিয়া লেক নামে। ১৯৫৮ সালের মে মাসে কেআইটি কর্তৃপক্ষ বিশিষ্ট বাঙালি সাহিত্যিক তথা নোবেল বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর নামে এই হ্রদটির নামকরণ করেন রবীন্দ্র সরোবর।




কাপ্তাই হ্রদ
কাপ্তাই হ্রদ বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের রাঙামাটি জেলার একটি কৃত্রিম হ্রদ। কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১৯৫৬ সালে কর্ণফুলি নদীর উপর কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ করা হলে রাঙামাটি জেলার ৫৪ হাজার একর কৃষি জমি ডুবে যায় এবং এ হ্রদের সৃষ্টি হয়। মূলত পানি বিদু্ৎ উৎপাদনের জন্য এই বাঁধ নির্মিত হয়।






বগাকাইন হ্রদ
বগাকাইন হ্রদ বা বগা হ্রদ বা স্থানীয় নামে বগা লেক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার স্বাদু পানির একটি হ্রদ। বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে বগাকাইন হ্রদের অবস্থান কেওকারাডং পর্বতের গা ঘেষে, রুমা উপজেলায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ২,০০০ ফুট (কিওক্রাডাং-এর উচ্চতা ৩,১৭২ ফুট)। ফানেল বা চোঙা আকৃতির আরেকটি ছোট পাহাড়ের চুড়ায় বগা লেকের অদ্ভুত গঠন অনেকটা আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের মতো।










ফয়েজ লেক
ফয়েজ লেক চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় অবস্থিত একটি কৃত্রিম হ্রদ। এটি ১৯২৪ সালে খনন করা হয়; রেল প্রকৌশলী ফয়-এর নামে লেকটির নামকরণ করা হয়।






পৃথিবীর ব্যতিক্রমী হ্রদ - কঙ্কাল হ্রদ
এটি একটি হিমবাহ হ্রদ। এটির অবস্থান ভারতের উত্তরখণ্ডে। হিমালয় পর্বতমালায় অবস্থিত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬৪৯৯ ফুট উপরে অবস্থিত। এই জনবিরল অঞ্চল কেন আলোচনার শীর্ষে চলে এল তা এক করুণ কাহিনী। এখানে ৫০০এর মত মানুষের কংকাল পাওয়া গিয়েছে। এই কারনে রূপকুণ্ডু হ্রদের নাম হয়ে গেছে কংকাল হ্রদ।
১৯৪২ সালে নন্দা দেবী রিসার্ভ পার্কের রেঞ্জার এইচ কে মাধওয়াল এই কঙ্কালগুলো প্রথম আবিষ্কার করেন। যদিও অনেকে বলেন উনবিংশ শতাব্দী থেকে মানুষ জানত এই কংকালগুলোর কথা। এই অঞ্চলের নিচের জনপদ গুলোতে লোককাহিনী প্রচলিত আছে যে, প্রাচীনকালে কৌনুজের রাজা জাসয়াল এখানে আসেন নন্দ দেবীর উপাসনা করতে। কিন্তু সাথে নিয়ে আসেন বাইজী। এতে এই স্থানের পবিত্রতা নষ্ট হয়। তাদের উপর অভিশাপ বর্ষিত হয়। তাদের উপর শিলাবৃষ্টি হয়। এবং তারা হ্রদের ভিতর নিক্ষিপ্ত হয়।








পৃথিবীর ব্যতিক্রমী হ্রদ - লাভা হ্রদ
আফ্রিকার পাহাড়ি অঞ্চলের ঠিক কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে একটি খাদ, যার নাম Nyiragongo হ্রদ। Nyiragongo বিশেষ একটি যায়গা, কারণ এটি একটি ফুটন্ত লাভার হ্রদ। এটিই পৃথিবীর বৃহত্তম লাভা হ্রদ।








বিঃদ্র্রঃ পোস্টটি কোন পীর বাবা, দয়াল বাবা, চিন্ডিফাদার বা চিন্ডিমাদার কর্তৃক সার্টিফাইড নয়। তথ্য ও উপাত্ত - ইউকিপিডিয়া এবং গুগল মামু'র থেকে নেয়া হয়েছে।
৫৫টি মন্তব্য ৫৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×