somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একহাতে বিদ্যা আর একহাতে ধন

২৩ শে মার্চ, ২০২৪ ভোর ৫:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



শিরোনামের গল্প হয়তো অনেকেই জানেন, যারা জানেন না তাদের জন্য পোস্টের শেষে দিয়ে দিলাম। তবে শিরোনাম হিসাবে আমার লেখা পুরোপুরি রঙিন না, আংশিক সাদা-কালো।
সেই ছোটবেলায় রাত ১টা মানে গভীর রাত। রোজার মাসে ৫/৭ মাইল দূর থেকে একটা ছেলে রাত ১টা / ১.৩০ টার দিকে রিক্সায় মাইক নিয়ে বের হতো গজল গাইতে গাইতে। পুরো রোজার মাস সে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গজল গাইতো। তার কয়েক বছর পর দেখা গেল ২৬/২৭ রোজার সময় থেকে সে ভ্যান নিয়ে বের হতো টাকা তুলতে। পরবর্তী সময়ে এটা ভাইরাসের মতো আক্রান্ত করলো আমাদের এলাকার ছেলেদের। এরা কয়েকজন মিলে একটা রিক্সায় মাইক নিয়ে শেষরাতে ওঠো ওঠো করতে বের হতো। এরা গজল গাইতে পারতো না তাই টেপ রেকর্ডারে গজল বাজাতো। তারপর ২৬/২৭ রোজার সময় ভ্যান নিয়ে বের হতো টাকা তুলতে। টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সমস্যা হওয়ায় ২/১ বছর পরে এরা ভাগ হয়ে আলাদা আলাদা বের হওয়া শুরু করলো। পরিস্থিতি এমন হলো যে একজন ডেকে যাওয়ার পর অন্যজন ডাকতে আসে। একটা সময় এরা চালাক হয়ে গেল, তখন এলাকা বড় করার জন্য আজ এই এলাকা তো কাল অন্য এলাকা আবার পরশু আরেক এলাকায় মাইক নিয়ে ডাকতে চলে যেতো। এভাবে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন গ্রুপ ওঠো ওঠো ভাইরাসে আক্রান্ত হলো। টাকা তোলা নিয়ে আবার মারপিটও শুরু হয়ে গেল। পরিস্থিতি যখন এমন তখন প্রশাসন থেকে একেবারে এটা বন্ধ করে দেয়া হলো। তখন থেকে অনেক বছর যাবৎ সুখে শান্তিতেই ছিলাম। কিন্তু ভাইরাসটা এখন হুজুরদের আক্রান্ত করেছে। হুজুরদের হাতে এখন মসজিদের মাইক। এরা সারাদিন পুণ্য কামাই করে, এমনকি ঘুমালেও পুণ্য তারপরেও রোজাদারদের ডেকে পুণ্য কামানোর লোভ সামলাতে পারছে না।

আগে মোবাইল ছিল না, ডিসের লাইন ছিল না, লোকজনের মনে শান্তি ছিল আরামে ঘুমাতো। এলার্ম দেয়া ঘড়ি ছিল দামি তাই সেসময় মাইক নিয়ে ডাকলেও একটা লজিক ছিল। এখন একটা ফ্যামিলিতে যতজন সদস্য তারচেয়ে অন্তত ১টা বেশি মোবাইল আছে। যার যখন খুশি তখন এলার্ম দিয়ে ঘুম থেকে উঠতে পারে।

গল্প
এক শিক্ষক ছাত্রের দিকে দুই হাত মুঠো করে বাড়িয়ে দিয়ে ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলো মনে করো একহাতে বিদ্যা আর অন্য হাতে ধন আছে তুমি কোনটা নিবে ? ছাত্র বলে আমি ধন নিবো। তাই শুনে শিক্ষক বলে তুমি কতো বোকা আমি হলে বিদ্যা নিতাম। শিক্ষকের কথা শুনে ছাত্র বলে যার যেটার অভাব সেতো সেটাই নিবে।
তাহলে কি হুজুরদেরও একই অবস্থা ?


ছবি
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:২৭
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগ লিখেছি: কথাটার পরে ভাসছে ১১ বছর ১১ মাস... কথাটা

লিখেছেন আবু ছােলহ, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৮

ব্লগ লিখেছি: কথাটার পরে ভাসছে ১১ বছর ১১ মাস... কথাটা

গুগল থেকে নেয়া ছবি।

সামুতে মাল্টি নিক নিয়ে অনেকেই কথা বলেন। অনেকের কাছে মাল্টি যন্ত্রণারও কারণ। শুধু যন্ত্রণা নয়, নরক যন্ত্রণাও... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×