এখন পর্যন্ত যতটুকু জানলাম, কোক পেপসি সহ অধিকাংশ কোল্ড ড্রিংকসই ইহুদী ইসরাইলী পণ্য। কসমেটিকসের মধ্যে লরিয়েল, খাবারের মধ্যে নিডো, নেসক্যাফ ইত্যাদি। এছাড়া বাটা, ইউনিলিভার এগুলোও ইহুদী ইসরাইলি সংশ্লিষ্ট কোম্পানী।
গাজায় ইসরাইলের নৃশংসতা অবৈধ ও অপরাধ এ ব্যাপারে সবাই একমত। কিন্তু বিশ্ব ন্যায় ও মানবাধিকার নিয়ে যারা সোচ্চার সেই আমেরিকা বৃটেন সরাসরি ইসরাইলী গণহত্যার পক্ষে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং পশ্চিমা সভ্যতা যে উন্নয়নের মানদণ্ড হতে পারেনা তা পরিষ্কার। যে সভ্যতা সন্ত্রাস ও গণহত্যার পক্ষে প্রকাশ্য অবস্থান নেয় কিভাবে তা উন্নয়নের মানদণ্ড হতে পারে?
তাহলে কি কোন সভ্যতা নেই যারা মানুষকে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সমানভাবে বিবেচনা করবে? থাকার কথা? এই বিশ্ব একজন সৃষ্টি করছেন, একজনই নিয়ন্ত্রণ করছেন এবং মানব প্রজন্ম একজন মানুষ থেকেই উদ্ভুত- এই বিশ্বাস যদি কোন সভ্যতা ধারণ করে, সেই সভ্যতাই পারে নির্বিশেষে সকল সন্ত্রাস ও জুলুমের বিপক্ষে দাঁড়াতে। আমরা জানি ইসলামই তেমন সভ্যতার ঘোষণা দেয়, এবং তেমন সভ্যতা নির্মাণ করেও দেখিয়েছে।
সুতরাং ইসরাইলী বর্বরতা প্রতিরোধে বিশ্বজগতের প্রতিপালক প্রদত্ত সভ্যতা নির্মাণের চেষ্টায় অংশগ্রহণই হবে সবচেয়ে বড় কাজ। তখনই কেবল দূর হতে পারে এই বর্বরতা ও অমানবিকতা।
গাজার নির্যাতিত মানবতার জন্য আমাদের মত অক্ষমতের পক্ষ থেকে দোয়া এবং আগামী সভ্যতাকে এক স্রষ্টার প্রদর্শিত সভ্যতায় পরিণত করার চেষ্টা করা হবে- এই হোক তাদের প্রতি প্রতিজ্ঞা।