১)
বিগত আট তারিখ আমিসহ আমাদের চারজনের একটা টিম বালুখালী ক্যাম্প,কুতুপালং ক্যাম্প, শাপলাপুর সীমান্ত,ঘুণধুম সীমান্ত ও শাহপরীর দ্বীপ হয়ে নাফ নদীর তীরে বাস্তবতা দেখতে আট ঘন্টার অবস্থান নিয়েছিলাম।
তার মধ্যে আমরা জানতে পারি টেকনাফ সহ উখিয়ার পরে প্রতিটা স্বর্ণের দোকান,বিকাশের দোকানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সমস্ত পণ্যের দাম দ্বিগুণের বেশ বাড়িয়ে দিয়েছে।(এটা টিভি নিউজেও এসেছে) তার প্রেক্ষিত আমরা স্বর্ণের দোকানে অবস্থান নিই। দোকানে প্রবেশ করতেই দেখতে পেলাম কিছু যুবক দাঁড়িয়ে আছে দোকানের ভিতরে,জানতে পারলাম তারা স্থানীয় সাংসদ বদির লোকজন।রোহিঙ্গারা যে সকল স্বর্ণ বিক্রির জন্য নিয়ে আসে তারা তা খুব নিম্ন মূল্য (ভরি প্রতি ১০-১৫ কিংবা আরও কম) হাজার দিয়ে কিনে নিচ্ছে। যেখানে আপনি বা আমি তার ন্যায্য মূল্য দিয়ে ক্রয়েরও সুযোগ নাই।সব তারাই নিবে।
২)
আমরা যখন স্টীমার নিয়ে শাহপরীর দ্বীপে যাই,নেমেই গাড়িতে উঠতেই দেখলাম কিছু পুলিশ সদস্য কয়েকজন বাঙ্গালি যুবক ছেলেকে শাটার গান দিয়ে তাড়া করছে।নেমে বাস্তবিক ঘটনা জানতেই বেরিয়ে এলো লোমহর্ষক দৃশ্য। শাহ পরীর দ্বীপ দিয়ে পার হওয়া কিছু সুন্দরী রোহিঙ্গা যুবতিকে ঘরের মধ্যে আটক রেখে শারীরিক নির্যাতন ও পণ আদায়ের চেষ্টা করছিল।অনেকদিন যাবৎ তাদের আটক রেখে ধর্ষণ ও অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে এটা পুলিশ জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
৩)
শাহ পরীর দ্বীপ হয়ে আমরা যখন নাফ নদীতে অবস্থান নিই,তখন আগত রোহিঙ্গাদের বোট থেকে নামাতে গিয়েই দেখি করুণ দৃশ্য! যে সকল রোহিঙ্গা নারীরা বোটে করে এপারে আসছে তাদের সমস্ত স্বর্ণালংকার কেড়ে নিচ্ছে বোটের মাঝিরা।
১০ মিঃ বোট পার করাতেই নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।তবুও মানুষগুলোর জান বাঁচাতে সব দিয়ে হলেও দেশ ত্যাগ করতে পারাটাই যেন স্বস্তির।
এক বোটে ৫০ জন থেকে তিন হাজার করে দশ মিনিটে হাতিয়ে নিচ্ছে দেড় লক্ষ টাকা।এভাবে প্রতি বিশ মিনিটে এক বোট আসছে,আর দেড় লক্ষ টাকা ইনকাম ২০ মিনিটে হয়ে যাচ্ছে।
কালকে এক নিউজে দেখলাম শাহ পরীর দ্বীপের মাঝিরা রাতারাতি কোটিপতি।
বাস্তবতা আগেই দেখে আসছি।
৪)
তারা নাফ নদী দিয়ে কিছু পরিমাণ গরু,মহিষ নিয়ে আসছে এপারে। সেখানকার কিছু সরকার দলীয় লোকজন পরিচয় দানকারী তাদের সে সমস্ত গরু মহিষগুলো ১-৩ হাজার প্রতিটার মূল্য দিয়ে জোর করে নিয়ে নিচ্ছে।
তাদেরকে জোরপূর্বক বিক্রি করতেই হচ্ছে।পাচ্ছে না প্রকৃত ন্যায্য মূল্য!
সেখানে আপনি নিজে কিনতে চাইলেও ন্যায্য মূল্যে নিতে পারবেন না সিন্ডিকেটের বাইরে গিয়ে।
৫)
চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আট পরিবারের কাছে গতকাল আমরা ১হাজার করে টাকা বিকাশ করি।যার মধ্যে তাদের পরিবারগুলোকে কুতুপালং এলাকার বিকাশ ব্যবসায়ীরা টাকা দেয় ৭০০ করে।
সংগৃহীত
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭