somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন ঠগের জন্ম!

০৬ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১১:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ছাগুরাম কাঁদিতেছে।

গভীর রাত্রি- বাহিরে জ্যোৎন্সায় ফিনিক ফুটিতেছে।এই স্বপ্নময়ী আবেষ্টনীর মধ্যে শুভ্ররঙা খোয়াড়ের এককোনে উপুর হইয়া অঝোরে কাঁদিতেছে ছাগুরাম।একা।খোয়াড়ে আর কেহ নাই।ছাদের ফুটা দিয়া একফালি জ্যোৎন্সা খোয়াড়ে প্রবেশ করিয়াছে।প্রবেশ করিয়া পশ্চাৎদশের ব্যাথা কাতর ভগ্নহৃদয় ছাগুকে দেখিয়া সে যেন থমকিয়া দাঁড়াইয়া আছে।কেন এ ক্রন্দন???

সামুর প্রতি প্রেম! হইতে পারে বৈকি।এই জ্যোৎন্সা পুলকিত যামিনীতে দু'ঠ্যাঙা ছাগুর নয়ন পল্লবে অশ্রু সন্চারের কারণ প্রেম হইতে পারে।ছাগুর জীবনে একবার প্রেম আসিয়াছিল তো।তখনও আলু নামক গ্রামের জন্ম হয় নাই।সামু নামক সদ্য জন্ম নেওয়া গ্রামটিকে সে ভালোবাসিত কারণ ইহাই ছিলো একমাত্র স্থান যেইখানে সে মনের মাধুরী মিশাইয়া লাদি ছাড়িতে পারিতো।কাঠালপাতায় দেশের ইতিহাস নতুন করিয়া লিখিবার প্রয়াসও সে নিয়াছিলো অতীব সঙ্গোপনে।কিন্তু কতিপয় দুষ্টুলোকের কাঠির খোঁচায় সে বাধ্য হইয়া নিজের রক্ষার নিমিত্তে লোমশ গলদেশের অধিকারী কলুর বাহুদেশে নিজেকে সঁপিয়া দিতে বাধ্য হইয়াছিলো।কিন্তু বহুদিন প্রাণান্তকর চেষ্টার পরও তাহারা দুইজনে কোন প্রকার নতুন প্রজাতির জন্ম দিতে ব্যর্থ হইয়াছিলো।

নতুন প্রজাতি জন্ম দেওয়ার ব্যর্থতাও ছাগুর ক্রন্দনের কারণ হইতে পারে।আবার ইহাও হইতে পারে দুষ্টুদের অবিরাম কাঠির খোঁচায় পশ্চাৎদশে অশ্বরোগ হওয়ার দুঃখে ছাগু কাঁদিতেছে।



একদা সন্ধ্যায় সামু নামক গ্রামে অবস্থিত ছোট্ট নদী তীরে বসিয়া সার্কাসদলের ভাড়ের পোষাক পড়িয়া কতিপয় ব্যক্তি ম্লানমুখে জড়াজড়ি গলাগলি করিয়া কাঁদিতেছিলো।সামুগ্রামের কর্তাস্থানীয় ব্যক্তিদের পশ্চাৎদেশ তাহাদের লোলভরা জীহবা দিয়া অনবরত লেহন করিয়া ভিজাইয়া জবজবে করিয়া ফেলিয়াছিলো এইসকল ভাড়রা। সেই দুষ্টুলোকেরা তাহাদের এরূপ কর্মে বিরক্ত হইয়া তাহাদের পশ্চাতেও কাঠির মৃদূ খোঁচা দিয়াছিলো।কাঠির আঘাতে সৃষ্ট ব্যাথাতেই তাহাদের এই ক্রন্দন।খোঁচার হাত হইতে রক্ষা পাইবার জন্য তাহারা খলিফার দোকান হইতে রীতিমতো অর্ডার দিয়া লৌহ নির্মিত অন্তর্বাসও বানাইয়াছিলো কিন্তু তাহাতেও কোন লাভ হয় নাই।দুষ্টুবালকের দল সেই অন্তর্বাস ড্রলমেশিন দিয়া ছিদ্র করিয়া তাহাদের পশ্চাৎদশে কাঠি ভরিয়াছে।শুধু তাহাই নয় দুষ্টবালকেরা তাহাদিগকে উপহাস করিয়া রেসিডেন্ট ভাড় বলিয়াও সম্বোধন করিত।এই নামে ডাকার ফলে রাগে তাহাদের শরীর চিড়বিড় করিলেও খোঁচা খাইবার ভয়ে কিছু বলিতে পারিত না।



একদিন প্রত্যুষে ছাগুরাম নদীতীরে কাঠালপাতা কুড়াইতে গিয়া দেখিল ভাড়ের মতো দেখিতে কতিপয় ব্যক্তি ম্লানমুখে অশ্রু-তর্পণ করিতেছে।ছাগুরাম নিকটে আসিয়া কাঁদিবার হেতু জিজ্ঞেস করিতেই তাহারা গলা ছাড়িয়া আরও জোরে কাঁদিয়া উঠিলো।তাহা দেখিয়া ছাগুরাম ব্যস্তসমস্ত হইয়া তাহাদের মাথায় হাত বুলাইয়া দিতে লাগিলো।কিছুক্ষন পর সামলাইয়া উঠিয়া ছাগুরামকে তাহাদের দুঃখের কাহিনী সবিস্তারে বর্ণনা করিতে লাগিলো।শুনিয়া ছাগুরামরেও তাহার কষ্টের কাহিনী মনে আসিয়া গেলে সেও ডাক ছাড়িয়া ম্যা ম্যা করিয়া কাঁদিতে লাগিলো।জড়াজড়ি গলাগলি করিরা কাঁদিবার পর্ব শেষ হইলে ছাগুরাম সেই সকল ভাড়দের তাহার খোয়াড়ে নিয়া গেলো।ছাগুর খোয়াড়ে থাকিতে থাকিতে ভাড়েরা ছাগুর প্রতি একরূপ আকর্ষন বোধ কৈতে লাগিলো।আহা! কি ছাগুর ল্যাজ নাড়ানোর ভঙ্গী,কি তাহার কোমড় দুলাইয়া লাদি ছাড়িবার ভঙ্গী,কেমন তাহার সলজ চাহনী যেন বুকে এসে বিঁধে।ছাগুও কিছুটা দুর্বল হইতে লাগিলো ভাড়দের প্রতি।

পরস্পরের প্রতি তাহাদের এরুপ দুর্বলতা একদিন প্রেমের রূপ ধারন করিলো।প্রতিরাতে তাহার সকলের অগোচরে মিলিত হতে লাগিলো।তাহাদের এইরূপ মিলনের ফলে জন্ম নিলো এক নতুন প্রাণী।ভাড় আর ছাগুর মিশ্রনে সেই প্রাণীটির গায়ের রঙ ছিলো লালকালোর ডোরাকাটা।

সেই ডোরাকাটা প্রাণীটি যতই বড় হইতে লাগিলো তাহার রুপ ফুটিয়া উঠিতে লাগিলো।স্থানীয় গ্রামবাসী তাহার মিথ্যাচার আর ভাড়ামী তে অতিষ্ঠ হইয়া নাম দিলো,

"ঠগ"...............লোকালঠগ
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০০৯ ভোর ৪:৪৮
৬৩টি মন্তব্য ৫২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×