এবার সব মিলিয়ে মেলার গেট থেকে ফেরত এসেছি চারদিন। অফিসের কাজ শেষে মেলায় যেতে যেতে মেলার সময় ফুরিয়ে যায়। গেটে ঢুকতেই দেখি, বাতি নিভে গেছে। সবাই স্টল বন্ধ করায় ব্যস্ত। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আবার উল্টো পথে হাটতে শুরু করি।
বিকেল তিনটায় মেলা শুরু হয়। শেষ রাত আটটায়। আয়োজন দেখেই বুঝা যায়, কর্মজীবী মানুষের কথা মাথা থেকে দূরে সরিয়ে রেখে মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
ধরা যাক, কোন একজনের অফিস উত্তরা হাউজ বিল্ডিং কিংবা মিরপুর সাড়ে এগারো নতুবা যাত্রাবাড়ি। তিনি অফিস শেষ করে বড় জোর সাড়ে পাঁচটায় মেলার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারেন। সিএনজি খুঁজতে তার সময় লাগলো বিশ মিনিট। পাঁচটা পঞ্চাশে তিনি সিএনজিতে ওঠে রওনা হলেন। ভাগ্য খুব সুপ্রসন্ন হলে দেড় ঘণ্টায় টিএসসিতে এসে পৌঁছাতে পারবেন। সাতটা বিশ কিংবা সাড়ে সাতটায় মেলার গেটে পৌঁছে তিনি কী করবেন?
এক স্টল থেকে দ্বিতীয় স্টলে যেতে যেতে বেজে গেল আটটা। বই আর কেনা হয় না। হয় না মেলা দেখাও। মেলা থেকে বের হয়ে টিএসসির কোনা থেকে চালতা আর বড়ইর মিক্সড আচাড় অথবা একটা চিতল পিঠা কিনে খেতে খেতে আবার রিটার্ন সিএনজিতে ওঠা ছাড়া কিছুই করার থাকে না তার।
আফসোস বাণিজ্যমেলায় বদনা-বালতি কেনার জন্য রাত দশটা অবধি সময় দেয়া হয়। কিন্তু বইমেলায় বই কেনার জন্য সময় বরাদ্ধ রাত আটটা!