# একটি ছবিতে দেখেছিলাম, সীমান্ত রক্ষীরা
কত ভয়ংকর অবস্থায় সীমান্ত পাহারা দেয়, হাবিলদার
মেজরের বক্তব্য "দেশের মানুষ তাদের টাকা
ধার দিয়েছে, শত্রু মারবে আর টাকা শোধ হতে
থাকবে আর যেদিন নিজে মারা যাবে সেদিন সুদ
সহ টাকা শোধ হয়ে যাবে। তবে দুঃখ একটাই মারা
গেলে দৈনিক পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় ছোট করে
লিখবে, সাথীসহ বর্ডারে মারা গেছি, কেউ
পড়বেও না, আমাদের নিয়ে দেশের মানুষের
কোন মাথা ব্যাথা নাই, তবে এতে আমদেরও
কোন আফসোস নাই।" কথাগুলো ছায়াছবির
ডায়লগ হলেও অবাস্তব না মনে হয়, তাই নয় কি?
৯১'সালের ডিসেম্বরে কক্সবাজার - টেকনাফ
সীমান্তে তৎকালীন মায়ানমার সীমান্ত রক্ষী
'নাসাকা', অন্ধকারে লুকিয়ে ২জন বিডিআর
সদস্যকে হত্যা করে পালিয়ে যায়, শুধু তাই নয়,
ভারী অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশের দিকে মার্চ করা
শুরু করে, খবর পেয়ে বাংলাদেশ
সেনাবাহিনী'কে আক্রমন করার নির্দেশ দেয়া
হয়, কিন্তু বিডিআর খবর পাঠায় পুরো মিয়ানমারের
জন্য তারাই যথেষ্ট, ঢাকার কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটি
থেকে পাঠানো হয় এফ সিরিজের বাংলাদেশের
যুদ্ধবিমান, কক্সবাজার-টেকনাফ সীমান্তে আতঙ্ক
ছড়িয়ে পরে কিন্তু দৃঢ়, অটল ভঙ্গিতে অস্ত্র
হাতে দাঁড়িয়ে থাকে বিডিআর সদস্যরা। যুদ্ধ বিমান
আর বিডিআর এর রুপ দেখে নাসাকা বাহিনী সব
ফেলে পালিয়ে যায়।
প্রায় ২৪' বছরে বিডিআর হলো বিজিবি আর নাসাকা
হল বিজিপি, নাম বদলানো ছাড়া আর কি বদলিয়েছে
যে বিজিপি আমাদের সীমানায় ঢুকে আমাদের
বিজিবি'র সিপাহী বিপ্লব কুমারকে গুলি করে,
নায়েক আব্দুর রাজ্জাককে ধরে নিয়ে যায়, কত
বড় স্পর্ধা ফেসবুকে আব্দুর রাজ্জাকের ৩টা ছবি
আপলোড করে নির্যাতিত হাতকড়া পরিহিত অবস্থায়,
২১বছর যিনি আমাদের সীমান্ত পাহারা দিয়েছেন,
যাতে আমরা শান্তিতে ঘুমোতে পারি, আজ আমরা
তার খোঁজ রাখিনা, প্রতিবাদ পর্যন্ত করিনা, # ক্যান??
আমাদের সব বাহিনী আধুনিক, শক্তিশালী বলে
দাবি করা হয়, তাহলে, যে বিডিআর বলেছিল
মিয়ানমারের জন্য তারাই যথেষ্ট, তাহলে কি নাম
বদলের সাথে তাদের শক্তি, সামর্থ্য ও
আত্মবিশ্বাস, বদলে গেছে? নয়ত আজ ক্যানো
আমরা হাতকড়া পরা নির্যাতিত আব্দুর রাজ্জাকের ছবি
দেখতে পাই, আমাদের সীমান্ত কি অরক্ষিত?
তাহলে কি শান্তিতে ঘুমানোর দিন শেষ?? এর
জবাব কে দিবে??
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:০৭