somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুফীবাদ (ইসলামিক মিষ্টিসিজম) পার্ট ২

২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পার্ট ১ এর লিঙ্কঃ Click This Link

পার্ট- ২

সুফী মতবাদঃ
আমি খুবই সংক্ষেপে সুফীদের মৌলিক মতবাদ তুলে বর্ণনা করব। ইসলামের উপর এর প্রভাব বুঝতে হলে, আমাদের এর মতবাদ সম্পর্কে কিছু ধারনা থাকতে হবেঃ
Karen Armstrong তার বিখ্যাত বই “A History of God” একটা খুব সুন্দর কথা বলেছেন। তিনি Mysticism সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেনঃ But when monotheists turned to mysticism, mythology reasserted itself as the chief vehicle of religious experience”

সূফীবাদের মৌলিক বিশ্বাস প্রাচীন ব্যবলনীয়দের ঈশ্বর সম্পর্কিত বিশ্বাস থেকে এসেছে। প্রাচীন ব্যবলনীয়রা বিশ্বাস করত “ঈশ্বর হচ্ছে আদিম ঐশ্বরিক (Divine Primordial)যার থেকে অন্যান্য ঈশ্বরেরা জোড়ায় জোড়ায় এসেছে, এবং তাদের থেকে বিভিন্ন আত্নার সৃস্টি হয়েছে। এই আত্নারা বিভিন্ন সময়ে দূষিত হতে হতে একসময় শেষ পর্যায়ে মানুষের রুপ নেয়”।এর ফলে এখনো সব মানুষের মধ্যে ঈশ্বরের অংশ বিদ্যমান এবং এটা সম্ভব যে একই ভাবে ধাপে ধাপে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আবার সেই ঈশ্বরের কাছে পৌঁছান যায় এবং সবশেষে আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া যায়, অর্থাৎ ঈশ্বরের মধ্যে বিলীন হওয়া যায়”। এই ধারনা সনাতন এবং বৌদ্ধ ধর্মেও বিশেষ ভাবে লক্ষণীয়।

সুফীবাদে আল্লাহকে বলা হয় নূর (Light). (আল্লাহ কোনভাবেই নূর নয়, নূর আল্লাহর সৃস্টি।Allah is uncreated where “Noor” is created)। এবং সুফী মতবাদ অনুযায়ী আমরা ধ্যানের মাধ্যমে এবং কিছু শারীরিক এবং মানসিক নিয়মের মধ্য দিয়ে নিজেদের মধ্যে আল্লাহর অস্তিত্ব খুজে পেতে পারি সেই নুরের সাথে একাত্ন হতে পারি। এই মতবাদ গৌতম বুদ্ধ এবং হিন্দু ব্রাহ্মনরা ২০০০ বছর ধরেই প্রচার করে আসছে, সুফীবাদের সাথে এর একমাত্র মৌলিক পার্থক্য হচ্ছে যে সূফীরা এই মতবাদ ইসলামের পোশাকে প্রচার করে আসছে- যে ইসলামে mythology এর কোন স্থান নেই।

সূফীবাদের ত্রিতত্ত্ববাদ(ট্রিনিটি অফ সুফীজম)ঃ- প্রতিষ্ঠিত মতবাদঃ

১। হুলুলঃ
হুলুলের অর্থ হচ্ছে যদি একজন মানুষ নিজের নফস এবং আত্নার সর্বচ্চো পরিশুদ্ধতা অর্জন করতে পারে তাহলে সে নিজে এমন উচ্চতায় পৌছায় যে স্বয়ং আল্লাহ তার আসন থেকে নেমে এসে তার সাথে মিলিত হয়।এই বিশ্বাসটি সাধারণত হিন্দুদের মধ্যে দেখা যায়, যারা বিশ্বাস করে কিছু মানুষ পৃথিবীতে দেবতাদের অবতার।

আব্দুল্লাহ বিন সাবাহ- একজন মুনাফিক, উসমান (রাঃ) এর খিলাফতের সময় এই হুলুলের ধারনা ইসলামের মধ্যে প্রথম প্রচলন করে। এই ব্যক্তি প্রচার করে যে আলী (রাঃ) হচ্ছেন আল্লাহর দেহধারী (God Incarnate) এবং নুরের তৈরি। সে আরও প্রচার করে যে আলী(রাঃ) এর আল্লহ ভক্তির কারনে আলী(রাঃ) ঐশ্বরিক স্বত্বায় পরিণত হয়েছেন এবং আল্লাহ নিজে আলী(রাঃ)এর সাথে একাত্ন (merge)হয়েছেন। যদিও আলী(রাঃ) পরে আব্দুল্লাহ বিন সাবাহকে হত্যা করেন, কিন্তু তার এই প্রচার সময়ের সাথে সাথে জনপ্রিয়তা পায়।সুফীদের মধ্যে সর্বপ্রথম এই বিশ্বাস গ্রহণকারীদের মধ্যে আছেন “মনসুর-আল-হাল্লাজ” যে বলেছিল “আনাল হক”। এই মনসুর-আল-হাল্লাজ কে এই ব্লাসফেমির কারনে বাগদাদের খলিফা মৃত্যুদন্ড দেন, যদিও সুফীবাদের অনুসারীরা তার এই ব্লাস্ফেমিকে গর্বের সাথে প্রচার করে। উদাহরণস্বরুপ, গাজ্জালী এই সম্পর্কে বলেছেন যে “মনসুর-আল-হাল্লাজ কোন ব্লাসফেমাস কথা বলেননি, তিনি শুধু অপরিনামদর্শীর মত একটা গূঢ় সত্য কথা বলেছেন”। মনসুর-আল-হাল্লাজের এই উক্তি কত ভয়ঙ্কর ভাবে মানুষকে শিরকের দিকে উৎসাহিত করে তা কল্পনাতীত।

২। ওয়াদাত-আল-ওয়াযুদঃ
এই ধরনার সাথে সরাসরি হিন্দু এবং বৌদ্ধ মতবাদের শতভাগ মিল লক্ষ্য করা যায় । এই মতবাদ অনুযায়ী মহাবিশ্বের সবকিছুই সত্যিকার অর্থে ঈশ্বর (অথবা ইশ্বরের অংশ যাই বলি না কেন)। বাস্তবে শুধু ঈশ্বরেরই অস্তিত্ব আছে এবং মহাবিশ্বের যা কিছু আছে প্রানী এবং জড় পদার্থ সবকিছুই ঈশ্বরের বহিপ্রকাশ।আমরা আমাদের চর্মচক্ষু দিয়ে বাস্তবে যা দেখি তা আমাদের মনের বিভ্রম ছাড়া কিছুইনা।সত্যকারের বাস্তব অস্তিত্ব হচ্ছে সব কিছুই ঈশ্বরের অবতার, এবং এই কারনে সৃষ্টি এবং স্রষ্টার মধ্যে কোন সত্যিকারের পার্থক্য নাই। এই মতবাদের মুল কথা হচ্ছে যেহেতু সবকিছুই ঈশ্বর, সেহেতু স্রষ্টার কোন আলাদা অস্তিত্ব নেই। যেহেতু সবকিছুই ঈশ্বর এবং আমরা যা দেখি তা মনের ভ্রম, সেহেতু পাথর এবং পাখি, কাফির এবং মুসলিম, টেবিল এবং খাবার- কোন কিছুর মধ্যেই কোন পার্থক্য নেই। সুতরাং মূর্তিপূজা আর আল্লাহর ইবাদতের মধ্যেও কোন পার্থক্য নেই। এর ফলে মূর্তিপুজার মাধ্যমেও মানুষ আল্লাহকে পেতে পারে, কারন মূর্তিও আল্লাহর অংশ (যেহেতু সবকিছুই ঈশ্বর বা ইশ্বরের অংশ)

এই ওয়াদাত-আল-ওয়াযুদ এর জন্যই সুফীরা অন্য ধর্মের প্রতি খুবই সহনশীল এবং এই জন্যই তারা সকল ধর্মই সমানভাবে সঠিক এই নীতিতে বিশ্বাসী। এই মতবাদ অনুযায়ী এটা গুরত্বপুর্ন নয় কে কি ধর্ম পালন করছে, বরং গুরত্বপুর্ন হচ্ছে সঠিক গুরু খুজে পাওয়া যে তাকে আল্লার পথে নিয়ে যাবে। সুতরাং মন্দির, মসজিদ, প্যাগডাতে প্রার্থনার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। এই বিশেষ মতবাদটি ইসলামে প্রচার করেন বিখ্যাত সুফী ইবনে আরাবী যিনি শায়খ-উল-আকবর নামে পরিচিত।

৩। ওয়াদাত-আল-শুহুদঃ

ওয়াদাত-আল-শুহুদ হচ্ছে ত্রিতত্ত্ববাদের তৃতীয় মতবাদ। এই মতবাদ হচ্ছে “ফানাফিল্লাহ” – আল্লাহর সাথে এক হয়ে যাওয়া। হুলুলের মত যেখানে আল্লাহ তার নিজের আসন থেকে নেমে এসে মানুষের সাথে মিলিত হয়, তেমনি এইক্ষেত্রে যদি কেউ তার “নফস” এবং আত্নার চুড়ান্ত পরিশুদ্ধতা অর্জন করে তবে আল্লাহর সাথে মিশে এক হয়ে যায়। অর্থাৎ আল্লাহ এবং সে এক, কোন পার্থক্য থাকেনা, অন্য অর্থে সে নিজেই আল্লাহর সাথে মিশে আল্লাহ হয়ে যায়। ইসলামের মধ্যে যারা প্রথম এই মতবাদ প্রচলন করেছেন তাদের মধ্য অন্যতম হচ্ছে আলী হাজবেরী, আব্দুল কাদের জিলানী প্রমুখ।

কিছু সুফী দাবী করে ওলীর স্থান রাসুলদের কিছুটা নিচে এবং নবীদের উপরে। এইসব ওলীদের ঘটনা যদি কেও ভালভাবে অধ্যয়ন করে তবে দেখতে পাবে যে আগের নবীরা যে সব মুযেযা দেখিয়েছেন বলে প্রচলিত আছে, এই সব ওলীরাও ঠিক একই রকম মুযেযা দেখিয়েছেন বলে প্রচলিত গল্প আছে। যদিও, সমালোচনা এড়ানোর জন্য এরা বলেন নবীদের প্রাপ্ত জ্ঞান কে বলে ওহী আর সুফীদের প্রাপ্ত জ্ঞানকে বলে “ইলম”, নবীদের মিরাকল কে বলে “মুযেযা”, সুফীদের মিরাকল কে বলে “কেরামত”- অর্থ এবং উৎস এক, শুধু শব্দের পার্থক্য। তারা বলে তাদের মতে আমাদের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর অস্থায়ী অর্থাৎ ক্ষণিকের জন্য মৃত্যু হয়েছিল এবং তিনি কবরে এখনও জীবিত অবস্থায় আছেন, তেমনি এইসব সুফীরাও কবরে জীবিত অবস্থায় আছেন এবং তারা বিভিন্ন কাজে যেমন তার অনুসারীদের পক্ষ থেকে আল্লাহর কাছে সুপারিশ করার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। এই কারনে আমাদের দেশে সহ এই ভারতীয় উপমহাদেশে কবর পুজা এবং মাজার পুজার এত সমাহার দেখা যায়।

সুফীবাদ এবং এর অনুসারীদের মধ্যে কিছু প্রচলিত শব্দঃ

ত্বরিকতঃ
এই ত্বরিকত অনুযায়ী মুরীদ পীর/শায়খের পুর্বানুমতি ছাড়া এক ইঞ্চিও নড়তে পারবেনা। কোথাও যেতে হলে আগে পীর/শায়খের অনুমতি লাগবে। পীরের ডাকে সারা দিতে মুরীদ প্রয়োজনে তার নাময ছেড়ে হাযির হবে কারন পীরের ডাকে সাড়া দেওয়া কে নামায আদায়ের চেয়ে উত্তম (আফযাল) মনে করা হয়।

ঊরসঃ
আমরা এই শব্দটার সাথে সবাই কম বেশি পরিচিত। আমাদের দেশে এবং এই উপমহাদেশে কম বেশি অনেক জায়গাতে বিভিন্ন পীরের উরস হয়। আমার মনে হয় ১% মানুষও জানেন না এই শব্দটি দিয়ে কি বোঝানো হয় এবং কি অর্থে ব্যবহার করা হয়। এর শাব্দিক অর্থ “ বিবাহ” (wedding), যদিও সুফীরা বলার চেষ্টা করে যে এই শব্দটা দিয়ে “সূফী আত্নাদের আল্লাহর সাথে আলাপন অর্থে” ব্যবহার করা হয়। খৃস্টানদের মধ্যে একটা দল আছে যার অন্তর্ভুক্তদের বলাহয় কনে “Bride”, খ্রিস্টানরা বলে স্বর্গীয় কনে “Heavenly Bride” । খ্রিস্টানদের ঐ দলের মধ্যে এই ধরনার উৎপত্তি এই থেকে যে মানুষের সাথে ঈশ্বরের সম্পর্ক কণের মত, এই জন্য ঐ মতবাদ অনুযায়ী “নান”দের বলা হয় ঈশ্বরের কণে (Bride of God)। সুফীরা এই ধরানা গ্রহণ করে। এইজন্য সূফীদের মৃত্যুকে বলা হয় wisaal (union with God). এবং তাদের মৃত্যু বার্ষিকীকে বলা হয় বিবাহ বার্ষিকী (ঊরস)। এইজন্য প্রতিবছর সূফীদের মৃত্যুবার্ষিকীতে উরস মানে বিবাহ বার্ষিকী পালন করা হয়। সুতরাং, উরস হচ্ছে আল্লাহর সাথে বিবাহ সংক্রান্ত (সূফীদের মৃত্যু) বিশেষ দিনটি উতসব হিসাবে পালন করা। আবুল কালাম আজাদ যিনি একসময় ভারতের শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন বলেছেন” উরসের সময় মৃত সূফীদের আত্না নাচের জন্য পৃথিবীতে আসে। (Iman-e-Khalis by Fazil ‘Uloom-e Deeniyah, Dr. Masooduddin Usmani pg 63)

সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪৭
৮টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×