কোন এক মৌন বিকেলে অকস্মাৎ দেখায় শ্যেনদৃষ্টি মেলে ধরে সে জিজ্ঞেস করলো,
-বিয়ে করেছো?
এই বান্ধবীটিকে ভুলেই গিয়েছিলাম আমি। অথচ যতদূর মনে পড়ে শৈশব থেকে যৌবনে পদার্পণ করার মধ্যবর্তী পুরো সময়টুকু তার পেছনেই ব্যয় করেছিলাম।
-আমার দুই সন্তান।
অজ্ঞাত ঘৃণাবোধের দরুনই হোক আর হঠাৎ দেখার ধাক্কাই হোক গলার স্বরটা যথাসম্ভব নিচু হয়ে এলো আমার।
-আমার কথা জানতে চাইলে না?
মরমিতার এই প্রশ্নে কুকড়ে গেলাম আমি। বুঝলাম আঠারো বৎসরে পুরনো ক্ষত হঠাৎ জেগে উঠেছে। উদ্ভ্রান্তের মত চিৎকার করে উঠলাম। কিন্তু গলা থেকে চিইচিই শব্দ ছাড়া কিছু বেরুলো না।
-শান্ত হও রাচেল। আমি জানি আমার প্রতি কদর্যতায় ভরে আছে তোমার মন। আমাদের এইভাবে দেখা হওয়াটা আকস্মিক নয় কিন্তু!
-সে যাইহোক। আমি তোমাকে মুছে ফেলেছি। তুমি যেই নরক থেকে এসেছো সেখানে ফিরে যাও মরমিতা।
নিজেকে একটি শক্ত দেয়ালে ঠেসে ধরে সোজা হয়ে দাঁড়ালাম আমি।
-আমাকে একটি সুযোগ প্রদান করো প্রিয়তম! মাত্র একটি সুযোগ।
-প্রিয়তম?
হো হো করে হেসে উঠলাম আমি। তারপর থেমে জিজ্ঞেস করলাম।
-তোমার স্বামী বেঁচে নেই বুঝি?
মরমিতা এইবার আমার চোখে তার সম্পূর্ণ দৃষ্টি ঢেলে দিল। আশ্চর্য সে দৃষ্টি। ব্যক্ত করবার অযাগ্য। আমার সারা দেহ কেমন অবশ হয়ে এলো। আমার চারপাশ দৌদুল্যমান হয়ে উঠলো।
মরমিতা আমার হাত চেপে ধরলো এবং আমাকে ধাবিত করলো একটি নির্জন উপত্যকার দিকে। তাকে থামানোর কোনরূপ শক্তি আমার ছিল না।
মরমিতা প্রথমে তার স্তনদ্বয় অনাবৃত করে মেলে ধরলো আমার সম্মুখে। তারপর মায়াময় কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
-কোন এক দপ্তদুপুরে এদুটো মর্দনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলে তুমি?
আমি চোখ নামানোর আগ পর্যন্ত দেখলাম, বার্ধক্য এখনো তার স্তনদ্বয়কে নুয়ে ফেলতে পারেনি।
-তোমার বার বার প্রত্যাখিত হওয়ার কারণ জানতে চাওনা তুমি? আমার দিকে তাকাও রাচেল।
আমি মাথা নিচু করে রইলাম তবু। সে বলেই চললো,
-আমার শেষ অনুরোধটা তুমি রাখো। আমাকে ঘৃণা থেকে মুক্তি দাও রাচেল। বাকিটা জীবন ভালবাসা নিয়ে মরতে দাও।
অামাকে দেখো।
শুকনো পাতার মর্মরে মরমিতার এগিয়ে আসার শব্দ শুনলাম। সে আলতো করে থুতনিতে হাত রাখলো আমার। তারপর মাথাটা উচু করে ধরলো তার অনাবৃত নিম্নাঙ্গে।
আমি দেখতে বাধ্য হলাম- একটি অর্ধঃউথিত শিশ্ন।
ছবি: ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫