somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি প্রত্যাখ্যানের গল্প

০৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





কোন এক মৌন বিকেলে অকস্মাৎ দেখায় শ্যেনদৃষ্টি মেলে ধরে সে জিজ্ঞেস করলো,
-বিয়ে করেছো?
এই বান্ধবীটিকে ভুলেই গিয়েছিলাম আমি। অথচ যতদূর মনে পড়ে শৈশব থেকে যৌবনে পদার্পণ করার মধ্যবর্তী পুরো সময়টুকু তার পেছনেই ব্যয় করেছিলাম।
-আমার দুই সন্তান।
অজ্ঞাত ঘৃণাবোধের দরুনই হোক আর হঠাৎ দেখার ধাক্কাই হোক গলার স্বরটা যথাসম্ভব নিচু হয়ে এলো আমার।
-আমার কথা জানতে চাইলে না?
মরমিতার এই প্রশ্নে কুকড়ে গেলাম আমি। বুঝলাম আঠারো বৎসরে পুরনো ক্ষত হঠাৎ জেগে উঠেছে। উদ্ভ্রান্তের মত চিৎকার করে উঠলাম। কিন্তু গলা থেকে চিইচিই শব্দ ছাড়া কিছু বেরুলো না।
-শান্ত হও রাচেল। আমি জানি আমার প্রতি কদর্যতায় ভরে আছে তোমার মন। আমাদের এইভাবে দেখা হওয়াটা আকস্মিক নয় কিন্তু!
-সে যাইহোক। আমি তোমাকে মুছে ফেলেছি। তুমি যেই নরক থেকে এসেছো সেখানে ফিরে যাও মরমিতা।
নিজেকে একটি শক্ত দেয়ালে ঠেসে ধরে সোজা হয়ে দাঁড়ালাম আমি।
-আমাকে একটি সুযোগ প্রদান করো প্রিয়তম! মাত্র একটি সুযোগ।
-প্রিয়তম?
হো হো করে হেসে উঠলাম আমি। তারপর থেমে জিজ্ঞেস করলাম।
-তোমার স্বামী বেঁচে নেই বুঝি?
মরমিতা এইবার আমার চোখে তার সম্পূর্ণ দৃষ্টি ঢেলে দিল। আশ্চর্য সে দৃষ্টি। ব্যক্ত করবার অযাগ্য। আমার সারা দেহ কেমন অবশ হয়ে এলো। আমার চারপাশ দৌদুল্যমান হয়ে উঠলো।
মরমিতা আমার হাত চেপে ধরলো এবং আমাকে ধাবিত করলো একটি নির্জন উপত্যকার দিকে। তাকে থামানোর কোনরূপ শক্তি আমার ছিল না।

মরমিতা প্রথমে তার স্তনদ্বয় অনাবৃত করে মেলে ধরলো আমার সম্মুখে। তারপর মায়াময় কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
-কোন এক দপ্তদুপুরে এদুটো মর্দনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলে তুমি?
আমি চোখ নামানোর আগ পর্যন্ত দেখলাম, বার্ধক্য এখনো তার স্তনদ্বয়কে নুয়ে ফেলতে পারেনি।
-তোমার বার বার প্রত্যাখিত হওয়ার কারণ জানতে চাওনা তুমি? আমার দিকে তাকাও রাচেল।
আমি মাথা নিচু করে রইলাম তবু। সে বলেই চললো,
-আমার শেষ অনুরোধটা তুমি রাখো। আমাকে ঘৃণা থেকে মুক্তি দাও রাচেল। বাকিটা জীবন ভালবাসা নিয়ে মরতে দাও।
অামাকে দেখো।
শুকনো পাতার মর্মরে মরমিতার এগিয়ে আসার শব্দ শুনলাম। সে আলতো করে থুতনিতে হাত রাখলো আমার। তারপর মাথাটা উচু করে ধরলো তার অনাবৃত নিম্নাঙ্গে।
আমি দেখতে বাধ্য হলাম- একটি অর্ধঃউথিত শিশ্ন।

ছবি: ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×