খালেদা বেগম রোজা না রেখে ইফতার পার্টি দিয়েই যাচ্ছে, আর প্রতি পার্টিতে ঘোষণা করছে, "ইদের পরে, সর্বাত্মক আন্দোলন" শুরু করবে। কামাল হোসেনও এবার আন্দোলন করবে ইদের পর; আরো আন্দোলন করবে ডা: বদরুদ্দোজা, কর্নেল অলি; সর্বশেষ ঘোষনা এলো মান্না থেকেও, উনিও নিরপেক্ষ নির্বাচন চান, সাথে সাথে আন্দোলনও চান! আন্দোলনের বাইরে কে থাকছে? রব ও সেলিম?
শেখ হাসিনা তো জীবনে অনেক কিছুই করে দেখালো, যা শেখ সাহেবের পক্ষেও সম্ভব হয়নি, এক সংগে ১৫২ সীটে প্রতিদ্বন্দীতাহীন নির্বাচন; বাকী আছে সামনে 'ইদেরর পরের আন্দোলন ঠেকানো'; এটাও হয়ে যাবে, ২০১৩ সালে যখন খালেদা, জামাত ও হেফাজত সরকারের পতন ঘটাতে পারেনি, এবারের ইদের পর তাদের জন্য নতুন কোন ইদ আসবে না; দরকার হলে, হয়তো শেখ হাসিনা এবারের ইদ পেছনে সরায়ে দেবে; উনি পারেন না এমন কোন কাজ নেই!; আপাতত অনেকের এরকম ধারণা হয়ে গেছে উনার ব্যাপারে!
শেখ হাসিনা যেভাবে দেশ চালাচ্ছে, এটা শেখ সাহেবের স্বপ্নের ১৮০ ডিগ্রি উল্টা দিকে; সেদিক থেকে ভাবলে শেখ হাসিনাকে সরানোর দরকার; শেখ হাসিনা ৩৪ বছর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ দখল করে রেখেছে, সেদিক থেকে ভাবলে উহাকে সরানো দরকার; শেখ হাসিনা ২ বারের বেশী প্রাইম মিনিস্টার পদ দখল করেছে, সেই দিক থেকে ভাবলে উহাকে সরানো দরকার।
শুধু ছোট একটা সমস্যা আছে; উহাকে সরালে খালি যায়গায় আসার মত কোন রাজনৈতিক নায়কের উদ্ভব এখনো ঘটেনি বাংলাদেশে: ড: কামাল ফামাল, ড: ইউনুস ফিউনুসকে মানুষ দেখে ফেলেছে; উনারা ফেইল করেছেন নিজেদের স্টানডার্ড অনুসারে; উনারা হাসিনার সাথে কোনভাবে পাল্লা দিয়ে পারেনি আজ অবধি। এখন বাকী আছে মান্না পান্না; উহা ধান গাছও নয়, সেগুন গাছও নয়, সামান্য লতা পাতা।
ইদের পরে কিছইু ঘটবে না, ঘটলেও শেখ হাসিনার সাথে কেহ পারবে না; এই ইদ তো দুরের কথা আরো বহু ইদ আসবে যাবে; খালেদা বেগম আরো অনেক ইফতার করার সুযোগ পাবেন। জামাতকে নিয়ে যখন পারেনি খালেদা বেগম, তখন মান্না পান্না কোন কাজে লাগবে না; আর ড: কামাল? উনি টিভি ভবনগুলোতে আন্দোলন চালাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫