সম্মানিত ব্লগাররা কয়েকটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
কি ঘটছে বাংলাদেশে?
৭১ এ এদেশের মানুষ যুদ্ধ করে নিজের জীবন দিয়েছে আর অন্য একটা গ্রুপ দালাল হয়ে ফুর্তি করেছে।
৭৫ এ সেনাদের এক গ্রুপ ক্ষমতা শেখ মুজিবের বাড়িতে হিংস্রতা চালিয়েছে আর এক গ্রুপ ক্ষমতা দখলের স্বাদ নিয়েছে।
২৮ শে অক্টোবার পল্টনে একদল মানুষ হত্যা করে তার লাশের উপর নেচেছে আর এক দল আনন্দ পেয়েছে প্রতি পক্ষের নির্মম মৃত্যু দেখে।
পিলখানায় একদল দেশ রক্ষাবাহীনি নির্মম হত্যাকান্ড চালিয়েছে আর আর এক দল আর তাদের পরিবারে শোকের মাতম নেমে এসেছে।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক গ্রুপ ছাত্র সংগঠন অন্য গ্রুপকে হত্যা করছে আর কেউ খুশিতে ব্লগ লিখছে।
আমরা কি এখনও মানুষ আছি???
ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে এই হত্যা আর জঘন্য অপরাধে শিক্ষিত মানুষ খুশি হতে পারে আমার জানা ছিলনা।
কেন খুশি হচ্ছেন আপনি??
আপনি আওয়ামীলীগ করেন তাই!
আপনি রাজাকারদের ঘৃনা করেন??
কিন্তে যেই ছেলেটা মারা যাচ্ছে সে কি নিজামীর ছেলে না গোলাম আজমের!!
হায় আফসোস তারা রাজাকারী করেছে বলে কি ছেলেদের দেশে ফেলে রাখবে! তাদের সন্তানরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাড়ি করে বাস করছে। আর আমি আপনি সাধারন এক কৃষক কিংবা ছোট এক চাকুরীজীবীর একমাত্র সন্তানকে খুন হতে দেখে ব্লগে আনন্দ উজার করে দিচ্ছি।কারন যে সে নিজামীর দল করে।
দু:খ লাগে , নিজেদের জন্য। না পারলাম মানুষ হতে আর না পারলাম কোন শিক্ষা অর্জন করতে।
আপনার শেখ হাসিনার প্রতি আক্রোশ??
তো দেশের এইসব সাধারন ঘরের ছেলেদেরকে মারছেন কেন? সবার তো একটা রাজনৈতিক পরিচয় থাকবেই। কারন সে যে শিক্ষা অর্জন করেছে দেশ গড়ার। আর আপনি তাকে হলেই উঠতে দিচ্ছেন না, কারন সে হাসিনা কে সাপোর্ট করে । এই গরিব ছেলেটার কি দোষ আপনার যদি হাসিনার প্রতি এতই রাগ থাকে তবে তার সন্তারদেরই ধরেন না কেণ? গরিব মানুষের শেষ সম্বল শেষ করে আপনার কি লাভ হচ্ছে?
আপনি কি মনে করেন এরকম ৫০ বা ১০০ টা শিবির বা লিগ কর্মী মারলে এসব দল শেষ হয়ে যাবে??
এভাবে খুনা খুনি করে আর কতদিন দেশ চলবে?
সহস্র বছরের যুদ্ধ আর দুটো বিশ্ব যুদ্ধের পরও যদি ইউরোপ এক হতে পারে তবে আমরা কেন পারছিনা? তবে কি আমরা অমানুষ হয়ে যাচ্ছি না কখনো মানুষই ছিলাম না।