খালেদা জিয়া এক সমাবেশে বলেছিলেন, আরও লাশ দরকার। সংখ্যাটা বলেন নাই। ২০০৮ এর ভরাডুবির পর বিধ্বস্ত এই রাজনৈতিক দলের মাজা ভেঙ্গে দিয়েছে তারেক জিয়া আর কোকো। বৃদ্ধ হলে যেমন মানুষ কুঁজো হয়ে পরে, মাথা নুয়ে পরে - তেমনই হয়েছে বিএনপি এর অবস্থা। যখন যেভাবে পারে সেভাবেই অন্যজনের কাছে মাথা নুইয়ে স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত। কয়দিন আগে দেখলাম আমরা হেফাজতে ইসলামের জন্য তাদের কত প্রেম। রাস্তায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে পানি দেয়া, তরমুজ খাওয়ানো। পরে যদিও এই ইনভেস্ট পুরোটাই বৃথাগেছে। তারা আশা করেছিলো একটা গেঞ্জাম লাগিয়ে এখান থেকেই সরকার পতনের সূচনা করতে। হেফাজত খেয়েছে, কিন্তু কথা শোনে নাই। কোন লাশ পরে নাই সেই আন্দোলনে। যে খালেদা জামাতের জন্য লাশ চেয়েছিল, সে লাশ না পেয়ে দুঃখ পেয়েছে বৈকি। সরকার পতনের ডাক সরাসরি না দিলেও, আন্দোলন করার ডাক ঠিকই দিয়েছেন। শ্রমিকদের জন্য আন্দোলন করে ক্ষমতায় যাবার আরেকটা চান্স নিতে চায় বিএনপি। প্রথমে জামাত, এরপর হেফাজত আর এখন শ্রমিক ভাইদের নিয়ে আন্দোলন। একটা আন্দোলনেও জনগনের কথা বা আশার প্রতিফলন হয় না প্রতিফলিত হয় সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানোর। বিএনপি কি নির্বাচন করতে ভয় পাচ্ছে? ২০০৮ থেকে ২০১৫। একটুও বদলান নাই আপনারা। এখনো মাথা নিচু করে আছেন। লজ্জা পাচ্ছেন এখন কোন আন্দোলনে নামতে। সব সময় একটা ইস্যুর জন্য অপেক্ষা করেন। অপেক্ষা করেন লাশের জন্য। এই লাশের জাগায় নিজের পরিবারের কারো লাশ চিন্তা করে দেখবেন প্লিজ?? অবশ্য আমার খুব কম মনে হয় যে নিজের কাছের কারো লাশ দেখলে আপনারা চেঞ্জ হবেন। যাহোক, আজকে আপনাদের গলা শুনতে পাই নাই কোন টিভি তে বা কোন চাপাবাজি নিউজ পেলাম না। জাতি এখন স্বস্তিতে আছে। জাতিকে বিভ্রান্ত করা থেকে দূরে থাকুন। শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করলে যখন শ্রমিক ভায়েরাই উল্টা বারি শুরু করবে, তখন পালাবার পথ পাবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮