এক ধরনের প্লেটনিক ভালোবাসার অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে। আমি জন্ডিস আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে এসেছিলাম কিছুদিনের জন্য। প্রতিদিন সেল ফোনে তাঁর উদ্বিগ্ন কণ্ঠ পেতাম উপহার। একদিন সন্ধ্যায় লোডশেডিং চলাকালিন এলো তার ফোন। কথা প্রসঙ্গে বলে ফেললাম বিদ্যুৎ নেই। জানতে চাইল লোডশেডিং খুব বেশি কী না। উত্তরে বললাম, "হ্যা, অনেকটা তোমার আন্তরিকতার মত, কখন যায়, কখন আসে বোঝা যায় না!" আর যায় কোথায়! মুহুর্তেই রোমন্টিকতা শেষ! সাইবেরিয়ার রাতের মত শীতল কন্ঠে বলে দিল আর কখনও তার ফোন আমাকে বিরক্ত (সেও কি সম্ভব ছিল!) করবে না!
সেদিন আর কিছু হলো না। পরদিনও যখন ফোন করছে না দেখে তখন আমিই কাঙাল হলাম শুনতে সে কণ্ঠ। বিধি বাম (আসলে বিধি ডানপন্থী!) ফোন ধরল না কেউ।
কি আর করা ছোট্ট একটি এসএমএস লিখে পাঠালাম-
....তোমার চলার পথের সকল ধূলো
ভিজিয়ে দিলেম আপন চোখের জলে
তবু একটু কাদা লাগল না
ঐ রাঙা চরণ তলে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার মুঠোফোন আওয়াজ দেয়া শুরু করল। রিসিভ করা মাত্রই অসম্ভব ভালোলাগা কণ্ঠে প্রশ্ন এলো- এটি কার লেখা?...উত্তরে শুধু বললাম তোমাকে অন্যের লেখা পাঠানোর মত দরিদ্র কবি আমি নই। কবিতাটি ভালো লেগেছে? উত্তর এলো- ধ্যাত!!!!! তুমি না একটা............
বুঝতেই পারছেন আমাকে বাঁচিয়ে( প্রেমে ডুবিয়ে) দিল ঐ চারটি লাইন।
পড়তে পারেন-
আপনার প্রেম নিবেদন করার জন্য অপরিচিত কবির কবিতা
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




