somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সামুতে এটি আমার শততম পোস্ট; চার লাইনের একটি কবিতা যা আমার প্রেম টিকিয়ে দিয়েছিল।

১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ক ধরনের প্লেটনিক ভালোবাসার অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে। আমি জন্ডিস আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে এসেছিলাম কিছুদিনের জন্য। প্রতিদিন সেল ফোনে তাঁর উদ্বিগ্ন কণ্ঠ পেতাম উপহার। একদিন সন্ধ্যায় লোডশেডিং চলাকালিন এলো তার ফোন। কথা প্রসঙ্গে বলে ফেললাম বিদ্যুৎ নেই। জানতে চাইল লোডশেডিং খুব বেশি কী না। উত্তরে বললাম, ‍‌"হ্যা, অনেকটা তোমার আন্তরিকতার মত, কখন যায়, কখন আসে বোঝা যায় না!" আর যায় কোথায়! মুহুর্তেই রোমন্টিকতা শেষ! সাইবেরিয়ার রাতের মত শীতল কন্ঠে বলে দিল আর কখনও তার ফোন আমাকে বিরক্ত (সেও কি সম্ভব ছিল!) করবে না!

সেদিন আর কিছু হলো না। পরদিনও যখন ফোন করছে না দেখে তখন আমিই কাঙাল হলাম শুনতে সে কণ্ঠ। বিধি বাম (আসলে বিধি ডানপন্থী!) ফোন ধরল না কেউ।

কি আর করা ছোট্ট একটি এসএমএস লিখে পাঠালাম-

....তোমার চলার পথের সকল ধূলো
ভিজিয়ে দিলেম আপন চোখের জলে
তবু একটু কাদা লাগল না
ঐ রাঙা চরণ তলে।



কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার মুঠোফোন আওয়াজ দেয়া শুরু করল। রিসিভ করা মাত্রই অসম্ভব ভালোলাগা কণ্ঠে প্রশ্ন এলো- এটি কার লেখা?...উত্তরে শুধু বললাম তোমাকে অন্যের লেখা পাঠানোর মত দরিদ্র কবি আমি নই। কবিতাটি ভালো লেগেছে? উত্তর এলো- ধ্যাত!!!!! তুমি না একটা............

বুঝতেই পারছেন আমাকে বাঁচিয়ে( প্রেমে ডুবিয়ে) দিল ঐ চারটি লাইন।

পড়তে পারেন-
আপনার প্রেম নিবেদন করার জন্য অপরিচিত কবির কবিতা
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:১৮
২৮টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কথা: দাদার কাছে—একজন বাবার কিছু প্রশ্ন

লিখেছেন সুম১৪৩২, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৫



দাদা,
কেমন আছেন? আশা করি খুবই ভালো আছেন। দিন দিন আপনার ভাই–ব্রাদারের সংখ্যা বাড়ছে—ভালো তো থাকারই কথা।
আমি একজন খুবই সাধারণ নাগরিক। ছোটখাটো একটা চাকরি করি, আর নিজের ছেলে–মেয়ে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×