তোমাকে খুব মনে পড়ছে এবং পড়ে প্রিয়তমা। বলো তো কতো সহস্রাব্দ আমাদের দেখা নেই। জানি, তুমি সেকেন্ডকে মাস কিংবা ঘণ্টাকে বৎসর ধরে শতাব্দীর হিসেব কষে ফেলবে। এদিক দিয়ে তুমি সুপারফার্স্ট। কিন্তু আমার যে অস্তিত্ব ঘেষে রেতের মতো চলে যাচ্ছে একেকটা সহস্রাব্দ! তুমি নিশ্চয় টের পাচ্ছো তা।
বহুদিন পর গ্রামে এলাম। আর গ্রাম মানেই তো মা। মা মানেই তো পৃথিবী। পৃথিবী মানেই তো আমার নিজস্ব ভৌগোলিক সার্বভৌমত্ব। আমার চিন্তার এলাকা। এই চিন্তার এলাকায় তুমিও যে কতোটা স্থান দখল করে আছো, এখনো তা মা'কে বলা হয়ে ওঠেনি। ওগো, আমি কি তোমাকে আমার মনের দহনকাল দেখাতে রাবীন্দ্রিক ভাষা প্রয়োগ করবো আমেরিকান মিশাইলের মতো?
আমি বুঝি না, একটা জীবন তো বহু যোজন দূরের কথা-- একটা দিনই আমি কী করে অতিবাহিত করি! তুমি আছো বলে নিজেকে একজন ভালো মানুষ ভাবতে ইচ্ছে করে ইদানিং। একবার বলেছিলে, আমাকে ছাড়াও তুমি বাঁচবে কিন্তু কষ্ট হবে খুব। বিষয়টা খুব ভেবেছি আমি। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখছি, আমার হয়তো বেঁচে থাকাটাই আর হবে না। নারীকে আমি চিরকাল মাথায় নিয়েছি শুধু, কিন্তু তুমি যে কখন বুকে নেমে গেলে টেরই পাইনি। তাইতো কেবল বুকের বাম পাশটাতে এতো অসহ্য ব্যথা! এই দীক্ষায় আজ অনেকেই দীক্ষিত, কেবল আমিই আজ আদর্শচ্যুত। তুমি তাও করে ছাড়লে শেষ পর্যন্ত!
এই যদি হয় অবস্থা আমার তবে কেন আর দূরে দূরে অবস্থান তোমার। চলে আসো আমার নিচুতলার ঘর। এই উর্বর বুকের ঊষরতায়। আমাকে আবাদ করে যাও তোমার উষ্ণ হৃদয়ের জৈবিক অত্যাচারে।
ক্রেডিটঃরবিউল আলম নবী
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮