somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঈমান যখন জাগলো

১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :






.
আব্বাসী খেলাফতের এক প্রতাপশালী খলীফা নাম তার মুকতাদির। আব্দুল্লাহ আল কাতিব নামক তার এক মন্ত্রী ছিল। সে খলীফার খুবই আস্থাভাজন ও প্রিয়ভাজন ব্যাক্তি ছিল। খলীফা মাঝে মাঝেই তাকে বড় বড় উপহার উপঢৌকন দিতেন। সে এগুলো সঞ্চয় করে রাখত। সঞ্চিত অর্থ যখন বিশাল অংকে রুপ নিলো তখন সে এই অর্থ দিয়ে দজলা নদীর তীরে এক দৃষ্টি দন্দন প্রসাদ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এজন্য সে দেশের সবচেয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী ও কারিগরদেরকে আহ্বান করলো। এবং শত শত শ্রমিক এই কাজে নিয়োজিত করল। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শত শত মানুষর শ্রম আর অগণিত অর্থ ব্যায়ে নির্মিত হলো সেই কাঙিক্ষত পরিকল্পিত বিলাসবহুল প্রাসাদ। দৃষ্টিনন্দন ও চিত্তাকর্ষক সামগ্রীর পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনা ছিল প্রাসাদের ভেতরে ও বাইরে। আব্দুল্লাহ আল কাতিবের এক প্রিয়তমা স্ত্রী ছিল। তারই গর্ভে খালেদ নামের এক সন্তান জন্ম লাভ করে। ছেলেটি জন্মের বেশ কিছুদিন পর তার স্ত্রী মারা যায়। স্ত্রীর প্রতি অগাধ ভালবাসার কারণে লোকাটি দ্বিতীয় বিবাহ পর্যন্ত করেনি। সে নিজেই মাতৃমমতায় আগ্লে পিতৃস্নেহ দিয়ে ছেলেটিকে বড় করে তোলে। মা হারা সন্তানের প্রতি তার অসম্ভব মায়া পড়ে যায়। মাত্রাতিরিক্ত মমতাবোধ তার বিবেককে আচ্ছন্ন করে ফেলে। ফলে সে তাকে না দিতে পেরেছিল শিক্ষা না শেখাতে পেরেছিল ভদ্রতা, না কর্মদক্ষতা। সন্তানের পিছনে সে পানির মত অর্থ ব্যায় করত। ছেলের কোন চাহিদা সে অপূর্ণ রাখতোনা। সেটা ভালো হোক বা মনন্দ হোক। ফলে ছেলেটি দিন দিন অকর্মা হয়ে বেড়ে উঠতে লাগল। এরই মধ্যে একদিন লোকটি মারা গেল। ছেলের জন্য রেখে গেল বিশাল প্রাসাদ আর অঢেল সম্পদ।
.
পিতার এই বিশাল সম্পদ পেয়ে ছেলেটি মেতে উঠল অন্যায় অনাচার আর পাপাচারে। ইবলিস এই সুযোগে অর্থ অপচয়ের নিত্যনতুন চমৎকৃত পথ ও পন্থা উন্মোচন করতে থাকে তার সামনে। পাশাপাশি জিয়াদ ইবনে আমর নামক মানবরুপী এক শয়তানকে সহযোগী হিসেবে নিয়োজিত করে, যার কাজই ছিল সম্পদশালীদের পেছনে ঘুরে বেড়ানো। কোন ধনাঢ্য ছেলের সন্ধান পেলেই সে তার সাথে জোকের মত লেগে থাকত। সবশেষে তার অর্থ ধর্ম চরিত্র সব নিঃশেষ করে চম্পট দিতো। খালেদেরমত বোকা স্বচ্ছল যুবক খুঁজে পেয়ে সে আনন্দে বগল বাজাতে থাকে। তার কাজ ছিল খালেদকে পাপাচারের নিত্যনতুন সরঞ্জাম ব্যবস্থা করে দেওয়া আর বিনিময়ে বিশাল অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া। সেই তাকে প্রথম গানের আসরে নিয়ে যায়। মদ ছাড়া যেহেতু গানের আসর জমে না, তাই শুরু হয় অবাধে মদ্যপান। সেখানে তার পরিচয় হয় সুন্দরী নর্তকী ও গায়িকাদের সাথে। সে যুগে নর্তকীদের ব্যাপক বিস্তার ছিল। সব শ্রেণী ও বর্ণের নর্তকী তখন খুবই সহজলভ্য ছিল। ব্যবসায়ীরা অল্প মূল্যে বাদী ক্রয় করে তাদেরকে গানবাদ্য সহ সকল প্রকার নষ্টামী শিক্ষা দিয়ে বিলাসী ধনাঢ্যদের কাছে চড়া মূল্যে বিক্রি করে দিত। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই খালেদ নাচ গান আর নেশায় উম্মাদ হয়ে যায়। ফলে ক্রমান্বেয়ে তার অর্থ স্বাস্থ্য চরিত্র সবই নিঃশেষ হতে থাকে। জিয়াদ যখনই তাকে নতুন কোন অন্যায়ের সন্ধান দিত তখনই তার কাছ থেকে বড় অংকের অর্থ হাতিয়ে নিত। কিন্তু এতে তার তৃপ্তি হচ্ছিলো না। সে খুঁজে ফিরছিল তার সমুদয় সম্পদ হাতিয়ে নেয়ার মোক্ষম সুযোগ। এরই মধ্যে একদিন সে পরমা সুন্দরী এক নর্তকীর সন্ধান পেলো, যার বয়স তখনও উনিশ পেরোয়নি; কিন্তু ইবলিসের পাঠশালার সকল শিক্ষা সে দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করে ফেলেছে। যেমন সুন্দর তার চেহারা তেমন কুৎসিত তার অন্তর। যেমন মিষ্টি তার ভাষা তেমন তিক্ত তার বিষাক্ত চিন্তা। যিয়াদ তার সাথে এই মর্মে চুক্তি করলো যে, সে তাকে খালেদের সাথে থাকার ব্যবস্থা করে দিবে। এখন তার কাজ হলো খালেদকে ভালবাসার জালে আটকে ফেলে তার সমুদয় অর্থ হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়া। অর্জিত অর্থ সমহারে বন্টিত হবে। চুক্তি অনুযায়ী জিয়াদ তাকে খালেদের কাছে নিয়ে যায়। এক পলক দেখেই খালেদ তার প্রেমের জালে আটকে যায় এবং অর্থের বিনিময়ে মেয়েটিকে নিজের কাছে রেখে দেয়। অল্প কদিনেই সে দূরন্ত মেয়েটির প্রেম সাগরে তলিয়ে যায়। এই সুযোগে চতুর মেয়েটি মিষ্টি কথা মনকাড়া দৃষ্টি আর কৃত্রিম ভালবাসার জাদু দিয়ে তার সকল অর্থ হস্তগত করে নেয়। পিতার রেখে যাওয়া অর্থের ভাণ্ডার যখন শূন্য হয়ে গেলো তখন প্রিয়তমার চাহিদা মেটাতে সে অন্যের দারস্ত হলো। লোকেরা যখন বিরক্ত হয়ে তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলো তখন সে বাড়ির মুল্যবান সামগ্রী এবং পিতার বহু কষ্টে নির্মিত প্রাসাদের বিভিন্ন অংশ খুলে খুলে বিক্রি করতে শুরু করল। এই যখন অবস্থা ঠিক সেই মূহুর্তে মেয়েটি তাকে ফাঁকি দিয়ে চলে যায়। এতদিন সে নিঃস্ব ছিল বাইরে এবার হলো ভিতরে। এখন না আছে তার দ্বীন না আছে দুনিয়া না আছে বুদ্বি না আছে সম্পদ। এভাবে নিঃস্ব ও নিসঙ্গ অবস্থায় দীর্ঘ দিন কেটে গেল।
.
ওদিকে জিয়াদও তাকে বর্জন করে অন্য কোন নির্বোধ ধনকুবের সন্ধানে লেগে গেলো। অনেক দিন পর এক সন্ধ্যায় জিয়াদ কোন এক আনন্দ ভ্রমণ শেষে খালেদের বাড়ির রাস্তা দিয়েই ফিরছিল। বাড়ি অতিক্রম কালে সে হতভাগা নির্বোধ খালেদকে এক পলক দেখে যাওয়ার আগ্রহ দমন করতে পারলো না। ভেতরে প্রবেশ করে সে তো হতবাক। যে গেইটে এক সময় প্রহরী ও আগন্তুকদের ভিড় জমে থাকত আজ সেখানে শূন্যতা খাঁ খাঁ করছে। কাদা মাটি এর বালুতে তা মাখামাখি হয়ে আছে, বাড়ির মাঝখানে উম্মুক্ত উদ্যান যেখানে এক সময় বাহারী রংয়ের ফুল শোভা পেত এখন তা বিরাণ পড়ে আছে। সবুজ শ্যামল বৃক্ষ আর পাখির গানে যেই বাগান এক সময় মুখরিত ছিল আজ তা ভয়ংকর অরণ্যে পরিণত হয়েছে। এত বিশাল বাড়িতে শুধু একটি মাত্র ছোট্ট ঘর অন্যায়ের সাক্ষী হয়ে অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। জিয়াদ সেই ছোট্ট কুটিরে প্রবেশ করে দেখল ছেড়া ফাটা এক বিছানায় শুয়ে আছে খালেদ, গায়ে তার নোংরা এক লেপ। তার এই করুণ অবস্থা দেখে জিয়াদের মনে কিছুটা দয়ার উদ্রেক হলো, সে তাকে বলল, “তোমার কী বিশেষ কোন কিছুর প্রয়োজন আছে যা আমি পূরণ করতে পারি।“ সে বলল হ্যাঁ, জিয়াদ ভেবেছিল সে হয়ত তার কাছে টাকা পয়সা বা অন্য কোন সাহায্য কামনা করবে। কিন্তু তাকে বিস্মিত করে দিয়ে খালেদ বলল, তুমি আমাকে একটা সুন্দর কাপড়ের ব্যবস্থা করে দিয়ে আমাকে সেই মেয়েটির কাছে নিয়ে যাও। সে বলল, এখনও তুমি তাকে ভুলে যাওনি? খালেদ না সূচক মাথা নেড়ে বললো, আমি নিজেকে ভুলে যেতে পারব কিন্তু তাকে ভুলতে পারব না। এখন আমার একটাই আশা ও প্রত্যাশা আর তা হলো আমার প্রিয়তমাকে কাছে পাওয়া। পৃথিবীর সকল রাজত্ব যদি এক পাশে থাকে অন্য পাশে আমার প্রেয়সী তাহলে আমি তাকেই বরণ কারে নেবো। [নাটক-সিনেমার মাধ্যমে আমাদের প্রেম নামক যে ফেতনা শেখানো হয় ঠিক তার অনুরূপ]
.
জিয়াদ তাকে প্রথমে নিজের বাড়িতে নিয়ে সুস্বাদু খাবার এবং সুন্দর পোশাকের ব্যবস্থা করে দিলো। এরপর তাকে নিয়ে রওনা হলো সেই মেয়েটির বাড়িতে। খালেদের সুন্দর পোশাক দেখে নষ্টা মেয়েটি ভেবেছিল হয়ত সে আবার স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে। আবার তাহলে নতুল খেলায় মেতে উঠা যাবে। এই ভেবে সে ঠোটের কোনায় মায়াবী হাসির রেখা ফুটিয়ে তুলে খালেদের সামনে উপস্থিত হলো এবং বরাবর নিজের ভুল স্বীকারপূর্বক ক্ষমা প্রার্থনা করতে লাগলো। চোখের মিথ্যা অশ্রু“ আর কৃত্রিম বিরহের বায়ু দিয়ে মূহুর্তেই সে খালেদের হৃদয়ে আনন্দের ঝড় তুলতে সক্ষম হলো। খালেদ তাকে কাছে টেনে নিয়ে সরল মনে নিজের নিঃসঙ্গতা ও নিঃস্বার্থতার কথা বলতে লাগল। মেয়েটি যখন আচ করতে পারল যে, সে এখনও নিঃস্বই রয়ে গেছে তখনই সে তার কৃত্রিম খোলস পাল্টে প্রকৃতরুপে আবর্তিত হলো এবং বিষদাঁত বের করে বলল, তুমি এখনই বাহিরে চলে যাও। আমি জানালা দিয়ে তোমার সাথে কথা বলব। অবোধ প্রেমিক বাধ্য গোলামের মত তার কথা মান্য করল। যখন সে জানালার নিচে দাড়াঁলো তখন ডাইনীটি তার মাথার উপর তরকারীর ঝোল নিক্ষেপ করে অট্টহাসিাতে ফেটে পড়ল। সে আর চোখের পানি ধরে রাখতে পারল না। আড়ষ্টকন্ঠে সে জিয়াদকে বলতে লাগল আমার চরম শিক্ষা হয়েছে। আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি আমি অচিরেই তওবা করে সকল গুনাহ পরিহার করব। জিয়াদও তার কথায় হেসে ফেলল এবং তার দেওয়া কাপড় ফেরত নিয়ে তাকে বিদায় করে দিলো।
.
এর পরের ঘটনা জিয়াদ নিজেই এভাবে বর্ণনা করে। “দীর্ঘ পনের বছর আমি তার কোন সংবাদ পাইনি কখনও চেষ্টাও করিনি তাকে নিয়ে চিন্তাও করিনি। পনের বছর পর একদিন আমি খোরাসানের এক মসজিদের সামনে দণ্ডয়মান ছিলাম হঠাৎ দেখলাম, মসজিদের দরজায় জনতার প্রচণ্ড ভীড়। আমি কৌতুহলী হয়ে মসজিদে প্রবেশ করলাম এবং দেখলাম ভেতরে বিশাল এক মজলিস। একজন লোক সুমিষ্ট কন্ঠে হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা মেখে তওবা সম্পর্কে বক্তব্য রাখছে। তার প্রাঞ্জল বয়ানে আমার পাশান হৃদয়ও বিগলিত হয়ে গেল। চোখ বেয়ে অনুশোচনার তপ্ত অশ্রু গড়িয়ে পড়লো। এই প্রথম আমি সৎ কাজের প্রতি আগ্রহবোধ করলাম। বয়ান শেষ হলে আমি শায়েখের কাছে চলে গেলাম। কাছ থেকে যখন আমি তাকে ভালোভাবে পরখ করলাম তখন আমার চোখকে আমি যেন বিশ্বাস করতে পারলাম না। এ দেখি সেই হতভাগা খালেদ। এরপর যখন তিনি বাড়ির পথে রওয়ানা হলেন, তখন লোকেরাও তার অনুসরণ করলো। আমিও তাদের সাথে এগিয়ে চললাম। চলতে চলতে আমার সেই বাড়িতে উপনিত হলাম। যেখানে আমি খালেদের সাথে বহুবার আড্ডা জমিয়েছি। সেই ধ্বংসাবশেষ বাড়িটি আবার সংস্কার করা হয়েছে। ভেতরে আরও অনেকগুলো ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রত্যেক ঘরে রয়েছে অসংখ্য তালিবুল ইলম। উঠানের এক প্রান্তে একটি ছোট ঘর, বুঝতে পারলাম এটাই তার ঘর। তারপর আমি এগিয়ে গিয়ে সলজ্জা ভঙ্গিতে আমার পরিচয় দিলাম এবং তাকে জানালাম আমি তার বয়ান শুনেছি এবং তার হাতে তওবা করার দৃঢ় ইচ্ছা করেছি, সে তখন আমাকে কোনরুপ ভর্ৎসনা না করে সসম্মানে তার কামরায় নিয়ে গেলো। খাবার পর্ব শেষ হলে সবাই যখন চলে গেল তখন তার জীবনের এই আমূল পরিবর্তনের নেপথ্য কাহিনী শুনতে আমার মন ছটফট করতে লাগলো। কিন্তু লজ্জায় আড়ষ্ট হয়ে এলো আমার কন্ঠ। কিছুক্ষণ পর সে নিজ থেকেই জীবন পরিবর্তনের পটভূমি নিয়ে আলোচনা শুরু করল। সে বলল, তুমি আর সেই দুশ্চরিত্রা মহিলাটি আমাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়ার পর দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে আমি বাড়িতে ফিরে এলাম। ইচ্ছা ছিল এখানেই অবস্থান করার কিন্তু নিজেকে এখানে বন্দী পাখির মত মনে হলো। তাই বাড়ি ছেড়ে নিরুদ্দেশ্যে পথ চলতে শুরু করলাম। চলতে চলতে সেই মসজিদের কাছে পৌঁছলাম যেখানে আজকে তুমি আমার দেখা পেলে। মসজিদে প্রবেশের অভ্যাস আমার কোন কালেই ছিল না, কিন্তু তখন মনে হলো কোন অলৌকিক শক্তি যেন আমাকে মসজিদের দিকে ঠেলে নিয়ে গেলো। মসজিদে তখন শুভ্র দাঁড়ির উজ্জল চেহারার এক শায়খ বসে ছিলেন। তার পাশে একদল লোক বসে পড়ছিল। আমি তাঁকে সালাম দিয়ে তাদের সাথে বসে পড়লাম। পড়া শেষে ছাত্ররা যখন চলে গেলো তখন লোকটি আমাকে ডেকে নিয়ে কাছে বসালেন এবং অন্তরের চক্ষু দিয়ে আমার ভিতরের অবস্থা বুঝে নিলেন। এরপর সংশোধনের পথ ও পন্থা বাতলে দিলেন, মসজিদের পাশেই একটি ঘরে আমাকে থাকতে দেয়া হলো। সেখানে থেকে আমি তার কাছে শিক্ষা ও দিক্ষা গ্রহণ করতে লাগলাম। এক পর্যায়ে আমি আমার সকল সতীর্থকে ছাড়িয়ে গেলাম এবং সহকারী শিক্ষকের দায়িত্ব পেলাম। এরপর তিনি আমাকে এক ব্যবসায়ীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। আমি অল্প দিনেই তার থেকে ব্যবসা বাণিজ্য শিখে ফেললাম। এখানেও আমি খুব দ্রুত উন্নতি ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে চললাম। আমার ব্যবসায় প্রভূত কল্যাণ সাধিত হলো। এরপর আমি সেই শায়েখের মেয়েকে বিবাহ করলাম। রুপে গুণে যার কোন তুলনাই হয় না। ব্যবসা থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে আমি আমার এই বাড়িটি আবার সংস্কার করলাম। এবং তালিবুল ইলমদের জন্য এখানে মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করলাম। অফুরান্ত সুখ আর অনাবিল প্রশান্তি এখন আমার অন্তরে। আমার ঘরে আমার পরিবার। আশা করি পরকালেও আল্লাহ আমাদেরকে সুখময় জীবন দান করবেন।
.
[হেকায়াতুম মিনাততারীখ, পৃ: ৮৩-১০০]

পোষ্টটি লিখেছেন মিনার ভাই ।।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১৭
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×