কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-১
Click This Link
গত রাইতে শয়তানে ভালোভাবেই পাইছিল মনে হয় আমারে আর মোন্তাজির দুইজনেরেই । নাইলে সিরকেট খাইয়া ফিরাই আসছিলাম হঠাৎ আমি কৈলাম চল বাইরাইছি যখন বুলুও দেইখা আসি । শফিকরে খবর দেয়া ছিল না । ওর দোকানের একটু আগে থাইমা মাহবুব রে পাঠাইলাম টুপি পান্জাবি খুইলা । দোকানে কখন কেডা থাকে কওন যায় না । পরে দোকানের পিছে শফিকের সাথে ব্যবস্থা ঠিক কৈরা আধঘন্টার মত শীতের মইধ্যে দাড়াইয়া থাকতে হৈল । দোকান বন্ধ কৈরা শফিক পিছের ছুড দরজাটা খুইলা দিলে ভিতরে ঢুইকা বুলু দেখা শুরু করি ।
কাইল নতুন একটা ক্যাসেট ছিল । আগে কুনুবার এইরকম দেখি নাই । যতবার দেখছি, দেখতাম ক্যাসেট চালাইলেই চাটাচাটি তারপর কাম শুরু । কাপড়-চোপড় খুলাই থাকত । কাইল দেখলাম । কেলাশরুম , মাঝবয়সের মাইয়া টিচার আর জুয়ান কিছু পুলা মাইয়া ছাত্র । আজীবন মাদরাছাতেই কাটলো আমগো । মাইয়ামানুষ টিচার বেদ্বীন পুলাপাইনের বাংলা ইশকুলে থাকে বৈলা শুনতাম । নিজের জীবনে কুনো উদাহরণ নাই । মাইয়ামানুষ টিচারের চেহারা দেইখাই বুঝছিলাম ঘটনা কি হৈতে যাইতাছে । বাংলা ইশকুলে যে আকাম হওয়ার চান্স আছে ভালো রকমেরই এইটা নিয়া মোন্তাজেরের সাথে কিছুক্ষণ আলুচনা করলাম । মোন্তাজেরের মন নাই । ওর এই একটা দুষ । বুলু দেখনে সময় মনে হয় পারলে টিভিডারেই গিলা খাইয়া ফালায় ।
ফিরার পথে আমার আর তওবায় মন থাকে না । আসতাগফিরুল্লাহ বৈলা মন বসাইতে চাই কিন্তু খালি ঘুইরা ফিরা বাংলা ইশকুলরে পুলাপাবের ভাইগ্যের কতা মনে হয় । ওরা দোযখে ক্যামনে পুড়ব এইটা মনে কৈরা মনরে ফিরানির চেষ্টা করি , কাম হয়না । মনে মনে নিজেরে বাংলা ইশকুলে কল্পনা করি । টিচারের মুখ আসে কল্পনায় । এর বেশি আগায় না । ল্যাংটা মানুষ কেবল ভিসিআরএই দেখছি । একবার গিরামের অলির ঘরে ফুটা দিয়া দেখার চেষ্টা করছিলাম । অলি মিয়া তখন নয়া বিদেশ থাইকা আইছে । আইয়াই ৩ দিন পরে বিয়া । কিছু দেখতে পারি নাই । এমনিতেই আন্ধার তার উপর গরমের দিনেও দুইজনে খেতার তলে । খালি লারাচাড়া দেখছিলাম ।
ফিরার পথে থাইকা থাইকা একেকবার মন এমন গরম হয়, মনে মনে ঠিক কৈরা ফালাই আব্বারে গিয়া কই আমি বাংলা ইশকুলে ভর্তি হৈতাম চাই । বাংলা লেকতে পারি মোটামুটি । পড়তে হয় বানান কৈরা । কয়েকদিন চেষ্টা করলে ঠিক হৈয়া যাইব । কিন্তু বড় ভাই হুনলে পিটাইয়া হাড্ডি ভাইঙা দিব । আব্বারে বলার সাহস কুনোরকমে জোগাড় করতে পারলেও বড় ভাইর সওয়াল জবাবের সামনে দাঁড়ানির সাহস নাই । শালার জীবনে কিছুই নিজের মনমত হৈল না । বড় পুলা হৈলে কত সুবিধাই না হৈত । বড় ভাই মাদরাছা শেষ করছে তিন বছর হৈল । গিরামের মসজিদের ইমাম । এখনো একটা ভালো ঘর নাই বৈলা বিয়া করানোর সাহস নাই । দিনদিন বড় ভাইয়ের মিজাজ কেবল খিটখিটা হৈতাছে ।
ফিরা আইসা দুইজন দুই বিল্ডিংএ গেলাম এস্তেন্জা করতে । আইসা লুঙি পাল্টাইয়া শুইয়া গেলাম । শইল্যের অনেক কিছু বাইর হৈয়া গেল আইজ । কাইল একটা আম-দুধ কিনা খাইতে হৈব । ডিম একটা খাইলে ভালো হৈত । তয় আইজ আর সেইরকম মিজাজের অবস্থা নাই । নীচতলার রুমগুলাতে ঠান্ডা মারাত্নক । লেপকম্বল যাই গায়ে দেই, শিনশিনা একটা ঠান্ডা ভাব থাকেই । বড় বড় দুইটা কম্বল আছে তাই মাসখানেক আগে থাইকা মোন্তাজির আর আমি এক বিছনাতেই শুই । তাড়াতাড়ি গরম হয় কম্বলের তলা ।
প্রায় দিনই কেলাস শেষ হওয়ার পরে মাগরেব পর্যন্ত সময়ডা কিছু করার থাকে না । হুদা কামেই পাছরাপাছরি করি আমি আর মোন্তাজির । কে কারে চাইপা ধইরা রাখতে পারে কতক্ষণ । আইজ বাতাসটা একটু ভারি বইলা হালকা করনের লাইগা মোন্তাজিররে আন্জা কইরা ধরলাম । ধৈরাই একটু চমকাইয়া গেলাম । এইরকম অনেক বার করছি । আইজ কেন জানি মোন্তাজির পিছন দিকটার সাথে রান লাগাতে শইল্যে একটা কারেন্টের শকের মত লাগলো । মোন্তাজিরও ঘুইরা আন্জা কৈরা ধরল ।
তারপর কি হৈল বুঝলাম না । বুঝার আগেই একজনের হাত আরেকজনের লজ্জাস্থানে । ধুর ব্যাটা বৈলা ঘুরছিল মোন্তাজির । এখন এক্কেবারে চুপ । দুইজনের নিঃশ্বাসের শব্দ ছাড়া কোনো শব্দ নাই । কয়েক সেকেন্ড এর মইধ্যেই দুইজনের লুঙি থ্যাকথ্যাকা । দুইজনের কেউই উঠলাম না । হাত ধুইতে গেলাম না । দুইপাশ ফিরা শুইয়া পড়লাম । আধাঘুম চৈলা আসছে এমন সময় পাশ ফিরা শুইতে গিয়া আবার লাগল মোন্তাজিরের ঐজায়গায় । এইবার আর হাত লাগল না । কিছুক্ষণ চাইপা ধরাতেই কারবার শেষ ।
তাহাজ্জুদের পর আর ঘুমাই নাই । কোরান পড়ছি । ফজরের সময় উইঠা নামাজে গিয়া দেখি বোর্ডিং এর হুজুর ছাব আসেন নাই । উপরের জমাত এর ছাত্ররা ঠেলাঠেলি কইরা আমারেই পাঠায়া দিলো ইমামতিতে । মসজিদ থাইকা বাইর হওনের সময় দেখি মোন্তাজির বৈসা আছে কোরান নিয়া । গিয়া কিছু কওয়ার মত অবস্থা নাই । রুমে আইসা কান্দলাম কিছুক্ষণ আল্লার দরবারে । বান্দার অনুতাপের চোখের পানি আল্লার খুবই প্রিয় । দোজাহানের মালিক, দয়ালু, ক্ষমাশীল গাফুরুর রাহিম বুঝবেন । বান্দার মনের অবস্থা তার চাইতে ভালো আর কে জানে ।
নিজের মনের আগুন তাও নিভলো না । সারাক্ষণ খচখচ একটা ভাব লাইগাই আছে । মোন্তাজির আর আমি কেউ কারো দিকে চোখ তুইলা তাকাইতে পারতাছি না । বিকালে আল-আমিন এ যাওয়ার সময় শুধু বল্লাম চল । সারাদিনে আর কোনো কথা হয় নাই । রাইতে শুইলাম আলাদা আলাদা । ঠান্ডা ভাবের কারণে ঘুম আসে না । আওয়াজ শুইনা বুঝি মোন্তাজির এর ও একই অবস্থা । হুজুরের কাছে ছুটি চাইতে যামু ঠিক করলাম । আগামিকাইল শুক্রবারতো এমনি বন্ধ, আর এক দিন হৈলেই চলব । মনের ভার হাল্কা করার মততো মোন্তাজির ছাড়া আর একজনই আছে । তার কাছে যাইতে হৈব ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


