somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

¤একটি সমাজের অধঃপতন¤

২১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জন্ম থেকে কোন মানুষই খারাপ থাকে না । একটা মানুষকে খারাপ বানায় তার সমাজ, তার আশপাশের নোংরা পরিবেশ । আফসোসের বিষয় হলো , আমরা সেই নোংরা পরিবেশ কিংবা সমাজকে শাস্তি দিতে পারি না ।
প্রায়ই দেখা যায় এলাকার কোন ভাল একটা ছেলেকে ক্ষমতাধররা মিলে খারাপ বানিয়ে দিচ্ছে । তারাই আবার কোন খারাপ একটা ছেলের প্রসংশায় পঞ্চমুখ হয়ে আছে । ক্ষমতার দাপটে অন্ধ হয়ে যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াচ্ছে । দূর্বলেরা তা মুখ বুজে সহ্য করে যাচ্ছে আর সবলেরা দেখেও না দেখার ভান করছে ।

একটা ছেলের ঘটনা বলি, ছেলেটার নাম মাছুম । খারাপ কিংবা অসত্‍ সঙ্গ কী জিনিস সেটা সে বুঝত না । বোঝার চেষ্টা কিংবা প্রয়োজনও মনে করেনি কখনো । একেবারে লাজুক প্রকৃতির ছেলে ছিল মাছুম ।
ঘটনাক্রমে এলাকায় একদিন ডাকাতি হলো শেষ রাতের দিকে । মাছুম সেদিন একটু আগে ভাগেই ফজরের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের দিকে রওনা দিল । কপাল খারাপ হলে যা হয় আর কী ! আসল ডাকাতের পরিবর্তে সব আপদ-বিপদ এসে পড়ল মাছুম নামের ছেলেটার ওপর !


ছেলেটাকে বেধে রেখে পরদিন সকালে বিচার ডাকা হলো । এলাকার বিত্তবান ক্ষমতাধর লোকেরা ছেলেটার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনল । বিত্তবানদের মিথ্যা অভিযোগ সত্য প্রমান করে তাদেরকে খুশি করার জন্য তথাকথিত বিচারকেরা উঠে পড়ে লাগল । একটা সময় ছেলেটার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করে স্বীকার করতে বাধ্য করা হলো যে, 'সেও ডাকাত দলের সাথে জড়িত ছিল'

ভাল হয়ে চলার সকল আকাঙ্ক্ষা কৈশরেই ছেলেটার চিন্তা-চেতনা থেকে মুছে দেওয়া হলো । কলুষিত সমাজ রাতারাতি একটা ভাল ছেলেকে খারাপে পরিণত করল !মাছুম বুঝতে পারল, এ সমাজ টাকা-পয়সা, ক্ষমতার দাপটের কারণে অসহায়, দুর্বল ভাল মানুষের কথা কানেও নেয় না ! সেদিনের পর থেকে মাছুম আর কখনো তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেনি ।

মাথা নিঁচু করে যে ছেলেটা চলাফেরা করত সেই ছেলেটা আজ শার্টের তিন চারটা বোতাম খুলে বুক ফুলিয়ে অলি-গলিতে ঘুরে বেড়ায় । এরকম হাজার মাছুমের জীবন আজ অশিক্ষিত, কুলাঙ্গার, অমানুষগুলোর দ্বারা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ।

ক্ষমতার প্রভাবে খারাপ মানুষগুলো অন্য আরেকজনকে কত সহজে খারাপ বানিয়ে ফেলছে ! আর সমাজে নামধারী ভাল মানুষগুলো তা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছে । ভালরা যতদিন না মুখ খুলবে সমাজ ততদিন পর্যন্ত অধঃপতনের দিকে যেতেই থাকবে । সোনার ছেলেগুলো কয়লায় পরিণত হতে থাকবে । এ অধঃপতনের শেষ নেই...!
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×