সাল ২০০১ এর কথা। আমরা হড়পা নামে একটি পত্রিকা করতাম। সেই পত্রিকা প্রকাশের পর আমরা সেটাকে দেশের সর্বোচ্চ সার্কুলেটেড পত্রিকা মনে করতাম। তখনও হিসেবটা বুঝতাম না যে, ছোট কাগজ এমনিতেই কম প্রচারিত। যদিও আমরা নিজেরাও জানতাম এটা সার্কুলেশন খুব বেশি দুর যায়না। যে পত্রিকা ছাপাই হতো ৫০০ কপি। সেটা আর কতদুর যাবে? তবে এতোকিছু জানার পরও আমরা এটা মেনে নিতে পারতাম না,আমাদের পত্রিকাটার খবর কেউ জানে না।
যে কারনে আমাদের আশেপাশে পত্রিকা বিষয়ক কোনো আলোচনা হলে কান খাড়া করে রাখতাম, এই বুঝি এখন আমাদের পত্রিকা নিয়ে আলোচনা হবে।
যাই হোক,সকল প্রত্যাশার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মোটামুটি এক বছরের মধ্যে কোনো আলোচনাই শুনলাম না।
বছরখানেক পর দুটো চিঠি পেলাম। একটা, এক মেয়ের। আমাদের পত্রিকা ভালো লাগা জানিয়ে। আরেকটা অন্য একজনের। ছেলের। মেয়ের বিষয়টা ধুম্রজালেই রয়ে গেল কারন সেটা ছিল মোটামুটি ঠিকানাবিহীণ। আমাদের ধারণা আমাদের অতি উৎসাহের কারনে আমাদেরই কোনো বড় ভাই লিখে থাকতে পারে।
তবে সেই ছেলেরটা ধুম্রজালাচ্ছন্ন না। তার সম্পর্কে নিশ্চিত ছিলাম। কারন সে লেখালেখি করতো। সেই ছেলেটাকে দেখার ইচ্ছে থাকলেও দেখা হয়নি। কারন সেই চিঠির পর তার সাথে আর কোনো যোগাযোগ ছিলনা।
অনেকদিন পর যোগাযোগ হলো ফেসবুকে। কিন্তু একি? তার চেহারা দেখা সম্ভব হলো না। কারন ফেসবুকে তার ফেসহীন ছবি। ছবিতে মাথা নেই। একি ঘটনা, ব্লগেও। সেই মাথা ছাড়া।
ব্যাপক দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম। ছেলেটার কী মাথা নেই নাকি?
কিন্তু এটা নিশ্চিত হতে পারলাম না। কারন মাথা ছাড়া মানুষতো দেখিনি। আর মাথা না থাকলে এই লেখাগুলোও তো লেখা সম্ভব না।
অতএব মাথাসহ সেই ছেলেকে দেখার আকাঙ্খায় রইলাম। তারও অনেকদিন পর সেই প্রত্যাশা পুরণ হলো, বইমেলাতে। গল্পকার সে। তার সম্পাদনায় দশ তরুণের একটি অসাধারণ গল্পের বই বের হয়েছে। তো তাকে দেখেই আশ্চর্য হয়ে প্রশ্ন করলাম, আরে আপনার মাথাও আছে?
সে কিছুটা লজ্জা পেলো। মনে হলো, নিজের একটা মাথা থাকায় সে যারপর নাই লজ্জিত।
ধারনা করলাম, সে বোধহয় একটু লাজুক টাইপের। তবে সেখানেও ভাড়া ভাতে ছাই দিয়ে ব্লগে গত কিছুদিন ১৮+ (অশ্লীল) কৌতুক পোষ্ট করে যাচ্ছে।
যে কৌতুকের পাঠক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমরা সবাই।
আর যে পোষ্ট করছে সেই ব্লগারের নাম, বিহোস। পান্থ বিহোস।
আজ যার জন্মদিন।
তার এই জন্মদিনে তাকে সকলের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা রইলো।
বিহোস আপনি দীর্ঘজীবী হোন। বেঁচে থাকুন অনেকদিন।
অফটপিক::: বিহোস আপনার ১৮+ কৌতুকগুলোও দীর্ঘজীবী হোক। আর আরেকটু দীর্ঘও হোক। এতো তাড়াতাড়ি শেষ হইয়া যায় কেন মিয়া?
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৫৫