মৃত রোদ ভেসে গেলে
সন্ধ্যার জোছনাতে চাঁদ নেমে এলে
ধীর পায়ে নেমে আসে অজস্র চক্রচর হরিণীর দলও
এই পথে; নদীর শেষের বালি- শাদা মখমল
পায়ে দলে; ওদের মিশ্রিত ডাকে ভরে যায় ক্ষীণ
রাতের বাতাস, বন, বালুচর, ঝরা পাতা, তৃণ
এইখানে ধীরে সাথে যখন ছড়ায়ে রয় অজস্র হরিণীর দলও
বনময় সারি সারি অভ্রান্ত জোছনার রঙ্ নেমে এলে ...
ঐ রঙে কিছু ছিল
কিছু পুরোনো কবিতা ও মৃত কিছু কবিদের প্রেম
ঐ রঙে জমা ছিল সালভাদর দালির বিষাদ
জমা ছিল সাধ-
মনভাঙা কয়েকটি ডাহুকের, ঝিনুকের অথবা প্রেমিক-
আর কিছু স্বপ্নচারী যুবকের অবসাদ ঐ রঙে জমা ছিল ঠিক !
তাই; যখন বনের কাছে জলভরা নদী
জোছনার সমুদ্রে যায় ভেসে
চক্রচর হরিণ আর যুবক দলের রেশ একটি প্রান্তে এসে মেশে
এই তীব্র অবসাদ-সাধ-ব্যথা-বেদনার নরম পৃথিবী ঘিরে ঘিরে
বারবার যেইটুকু সুখ আসে ফিরে
সেইটুকু খুঁজে নেয় এই রূপ- এই ঘ্রাণ- এইসব রঙিন মূর্ত রাত্রি ভরে !
যখন বনের কাছে জলভরা নদী
জোছনা-সমুদ্রে যায় বানভাসা ভেসে ।
যুবকের ব্যথা আর বেদনার ধূসর ওয়াগন
এমন জোছনা রাতে তারায় তারায়
মায়াহরিণীর পায়ে যদিবা হারায়
কিবা এসে যায়...
কিবা এসে যায়...
কিবা এসে যায়...
যখন বনের কাছে জলভরা নদী
জোছনা সমুদ্রে ভেসে যায় ।
-১৩ এপ্রিল ২০১৪,
অবকাশ পর্যটন কেন্দ্র,
নিঝুম দ্বীপ, হাতিয়া