উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর- উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর এবং ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘KOMEN’ ( WITH ECP 988 HPA) এ পরিণত হয়েছে।
বুধবার রাতে আবহাওয়া বিভাগের বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য দেয়া হয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, এটি রাত ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১১০ কি. মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৫ কি.মি. পশ্চিম-উত্তরপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭০ কি. মি. দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৫ কি. মি. দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর/বিকাল নাগাদ বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৫৪ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৮৮ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের নিকটে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর সমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সঙ্কেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেত বিপদ সঙ্কেতের আওতায় থাকবে।
(খবরের কাগজ থেকে)
আসলে বাড়ি সিলেট জেলায় হওয়ায় এই সব ভয়াবহ বিপদ সংকেত সম্পর্কে তেমন বাস্তব সম্মত ধারণা নাই। ইউটিউব এ ভিডিও দেখার পর মনের ভিতর প্রচন্ড ভীতি কাজ করছে।
আমার আপনার মত শত পরিবার আজ ভয়াবহ পরিস্থীতির মুখে দাড়িয়ে।
শুধু হৃদয়ের আকুতি ছাড়া তাদের দেবার মত এই মুহুর্ত্বে আর কিছূই নেই।
সৃষ্টি কর্তার কাছে প্রার্থনা, দ্রুত এই পরীক্ষা থেকে আমাদের দেশের এই সব এলাকাকে যেন
মুক্তি দান করুন ।
(আমিন)
এবার মনের ভিতর আরও কিছু চাহিদার কথা অভিমত আকারে প্রকাশ করতে ইচ্ছা হচ্ছে।
আমরা যদি প্রত্যেক বন্ধু বান্ধব মিলে নিজের সাধ্যের ভিতর কিছু টাকা তুলে উপকুলীয় এলাকাগুলোতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কিছু সাহায্যের চেষ্টা করব
এই কাজগুলো প্রত্যেকে প্রত্যেকের নিজেদের অবস্থান থেকে যার যেভাবে সম্ভব, যতটুকু সম্ভব সাহায্যের হাত বাড়াব। সুর্নির্দিষ্ট মাধ্যমে যথাযথ যায়গায় পৌছানোর সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় ব্যস্থ থাকব। নিজের কাছের সকল বন্ধু বান্ধবদের সাথে নিজ উদ্যোগে যোগাযোগ করে টাকা সংগ্রহ করুন।
একই পদ্ধতিতে অথবা নিজেদের কোন প্রচেষ্টায় প্রাবাসি ভাই-বোনেরাও সহযোগিতা করতে পারেন ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে। আমার আপনার সামন্য সহযোগিতায় কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্থদের গ্লানি মুক্তিদিতে পারে।
উপকূলীয় এলাকার নির্দিষ্ট উপজেলার ইউএনও মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য
সাহায্য বা অনুদান পাঠানোর চেষ্টা করুন। এ ক্ষেত্রে আপানাদের আরও কোন পন্থা জানা থাকলে সে অনুযায়ী সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যান।
ইউএনও স্যারদের মোবাইল নাম্বার , নিচের ওয়েব পোর্টালের লিংকে পাবেন।
ক্ষতিগ্রস্থ উপজেলা সর্ম্পকে খুজ নিয়ে সেই উপজেলার পোর্টাল থেকে ইউএনও স্যারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
http://www.chittagongdiv.gov.bd/
http://www.barisaldiv.gov.bd/
http://www.khulnadiv.gov.bd/
পরিশেষে আরেকবার সেই মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে প্রার্থণা যে, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় থেকে মুক্তি দান করুন।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪