একাবার আমাদের বাসায় পিচ্চি দুইটা কাজিন এসেছিল। একজন টুতে পড়ে অপরজনের পড়ালেখার বয়স হয়নি, কেবল খেলাধুলা আর লাফানোর বয়স তার।
আমার আম্মু ওরা কি কি খাবে শুনে রান্না করে ওদের খাওয়ানোর বৃথা চেষ্টা করতে লাগল। ২ ঘন্টা ধরে সামান্য একটু খাওয়াতে পারল। দুপুরেও দেখি আম্মু ওদের পেছন পেছন যেয়ে, বিভিন্ন ভুতের গল্প বলে খাইয়ে দেওয়ার বৃথাচেষ্টা করছে কিন্তু ওরা খাবেনা। ভুতের গল্প ঠিকই শুনবে কিন্তু খাবে না।
তখন আমি আম্মুকে বললাম, ওদের আর খাবারই দিবা না। দুদিন না খেয়ে থাক। রাতে আমরা সবাই খাচ্ছি আর ওরা দু'ভাই খেলেই যাচ্ছে। কেউ ওদের ডাকিনি।
পরদিন সকাল বেলা, আমরা ভাত খাচ্ছি ওরা দুজন খেলেই যাচ্ছে আর মাঝে মাঝে খাওয়ার রুমে আসছে। কেউ ওদের বলিনি যে, আস খেয়ে যাও।
দুপুর বেলা ওরা নিজেই আম্মুর কাছে ভাত চাইল। এবং যাদের কে ভাত মাখিয়ে নানান গল্প করে জোর করে মুখে খাবার তুলে দিতে হয়। তারা নিজ হাতে ভাত- তরকারি প্লেটে উঠিয়ে নিয়ে, নিজ হাতে মাখিয়ে খেল!!
আর আমরা সবাই ওদের খাওয়া লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতে লাগলাম। এক ভাই আর একভাইকে বলছে, "তুই এত ভাত নিলি খেতে পারবি?"
অপরজন উত্তর দিল, "আমি সব খেয়ে ফেলব, দেখবি তুই দেখবি!"
বিদ্রঃ বাচ্চাদের কিংবা বুড়ো যাই হোক ক্ষুধা লাগলে এমনিতেই খাবে। দয়া করে তাদের জোর করবেন না। পেটের জালা অনেক বড় জালা।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১২