প্রথম অংশঃ
কালকে এক টকশো টে দেখলাম বি এন পি এর একজন চমৎকার একটা ডাইলোগ বলল । পছন্দ হইলো । সেইটা হইলো - কোন কোন দল ধর্মকে কেন্দ্র করে ব্যাবসা করে আর কোন কোন দল ধর্ম নিরপেক্ষতাকে কেন্দ্র করে ( হুবহু বলতে পারি নি হয় তো )
দ্বিতীয় অংশঃ
ভারতে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি '' মৃত্যুদণ্ড '' করা হয়েছে বা করার চিন্তা করা হচ্ছে । এইটা কিন্তু শরিয়া আইনের অন্তর্ভুক্ত । '' মৃত্যুদণ্ডের'' পদ্ধতি ভিন্ন হলেও শেষ পরিণতি তো মৃত্যু । ভারতের মতো রাষ্ট্রে এই রপকম নীতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছেকই কেউ তো বলছে না যে শরিয়া আইন মানি না । দেশ সাম্প্রদায়িক হয়ে যাচ্ছে ।
কারণ তারা পরিস্থিতি বুঝতে পারছে । ধর্ষণ বন্ধের জন্য এর চেয়ে উত্তম পন্থা আর হতে পারে না ।
তৃতীয় অংশঃ
আমি ব্লাস্ফেমি আইনের পক্ষে । তবে এই জায়গায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে কোন ধরনের কথা বললে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে । আর যে কোন ধর্মের ক্ষেত্রেই এইটা প্রযোজ্য হবে ।
এইটা শরিয়া আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠা না করে সময়ের প্রয়োজনে একটা উত্তম পদক্ষেপ হিসেবে নেয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ । এই জন্যই আমি ভারতের প্রসঙ্গ এনেছি ।
শেষের অংশঃ
আইন যদি করাও হয় তবে । '' হেফাজতে ইসলামের '' দাবী মোতাবেক যাদের নাম দেয়া হয়েছে তাদের উপর যেন তা প্রয়োগ করা না হয় । তাহলে তা '' জুলুম '' হয়ে যাবে ।
একটা উদাহরণ দেই - দেশে ধরেন নতুন একটা আইন করা হল যে রাস্তায় কেউ কিছু ফেলতে পারবে না । ফেললে জেলে থাকতে হবে একদিনের জন্য । এখন এই আইন বাস্তবায়িত হওয়ার পর কেউ সেই অপরাধ করলে তাকে সেই শাস্তি দেয়া হবে নাকি আগেও যারা এই কাজ করছে তাদেরকেও সেই শাস্তি দেয়া হবে ? তাহলে তো দেশের সব জেল খানায় থাকবো ।
[ বিঃদ্রঃ ব্লাস্ফেমি আইন সম্পর্কে যতটুকু জানতে পেরেছি সেই আলোকে লেখা । আর ইসলামে ধর্ষণের ব্যাপারে শাস্তির ব্যাপারে বেশ কিছু শর্ত আছে ]
ধন্যবাদ /

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



