somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

'' ছোট ছোটবালুকণা , বিন্দু বিন্দু জল '' [ একটি সম্ভাবনাময় উদ্যোগ ]

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইভেন্টের নামঃ ছোট ছোট বালুকণা , বিন্দু বিন্দু জল ।
স্থানঃ সমগ্র বাংলাদেশ ।
সময়ঃ পনেরো সেপ্টেম্বর ।
এই ইভেন্টের উদ্দেশ্য হল আমরা প্রতিদিন বাহিরে বের হই । কোন খাবার পণ্য কিনলে বা অন্য কিছু কিনে টা গ্রহণের পর বাহিরের মোড়কটি ফেলে দেই যত্রতত্র । এই জিনিসটা আর করতে চাচ্ছি না । আজ থেকে পনেরো দিন পর থেকে এর ফল দেখতে চাই আমরা সবাই । আপনি যদি দিনে পাঁচবার বাহিরে বের হয়ে পাঁচটি জিনিস ফেলে থাকেন তবে এই পনেরো দিন সময়ে চেষ্টা করুন একটি করে কমিয়ে পনেরো দিন পর তা শুন্যের কোটায় আনতে । ব্যস । আপনার কাজ শেষ ।
সরকারের উপর পরিষ্কারের দায়িত্ব খালি না চাপিয়ে নোংরা না করার প্রতিজ্ঞা আর কর্মটা তো আমরা সবাই ই করতে পারি নাকি ?
আর এই ইভেন্টে কতজন ' গোয়িং ' দিচ্ছে , কে ' ডিক্লাইন ' দিচ্ছে এইগুলো না দেখে একটা কাজ করেন শুধু খবরটা পৌঁছে দিন যে সবাই কাজটা করছে । বাংলাদেশের সকল ' ফেসবুক ইউইজাররা 'যেন খবরটা পায় ।

দেখেন একজন রাস্তায় একটা চিপসের প্যাকেট ফেলে গেলো সে মাথায় রাখে আরে সামনেই তো আরেকজন ফেলে গেছে জা নোংরা হবার টা হয়েছেই আমারটার কারণে আর কিছু হবে না । পরের জন এসে তা না সরিয়ে যে ফেলেছে তাকে আর তাদের মতো সবাইকে এক চোট গেলে দেয়া । 'বাংলাদেশকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না ' টাইপ চিন্তা মাথায় রেখে আরেকটু সামনে গিয়ে মাথা ঠাণ্ডা করার জন্য কোক খেয়ে সেই কোকের বোতল রাস্তায় ফেলে সামনে অগ্রসরিত হওয়া ।
কাউকেই খারাপ বলতে পারি না । কারণ তারাই আমরা । আমরাই তারা । আমরা সবাই মিলে আমরা । তাই কুকেই একদলে ফেলে বাদ দিতে চাচ্ছি না ।
বিদেশ পরিষ্কার এই জাতীয় চিন্তা করে মনে দুঃখ না বাড়িয়ে দেশকে পরিষ্কার রাখার কাজটা করতেই পারি । কাউকেই শাবল , টুকরি নিয়ে মাঠে নামতে হবে না । শুধু রাস্তায় কিছু ফেলবেন না । দেখবেন একদিন কোন ময়লা নেই । সবাই এক পণে আগালে দেখবেন কাজটা অনেক সহজ আর একদিন দেখবেন সব নতুন নতুন লাগবে ।
' কেউ এই কথা শুনবে না , কিচ্ছু হবে না । ' এই জাতীয় কথা না বলে আপনি ময়লা ফেলাটা বন্ধ করে দিন শুধু । নিজেরটুকু সম্পর্কে শুধু প্রতিশ্রুতিটা চাচ্ছি শুধু ।

জানি না কি ধরনের সাড়া পাই । তবে জিনিসটা অনেক দরকার । এমনেই ঢাকা বসবাসের অযোগ্য একটা শহর । এই শহরটা পরিষ্কার রাখা দরকার । ইভেন্টটা কিন্তু পুরো বাংলাদেশের জন্য । ঢাকার যে অবস্থা তা যেন পুরো বাংলাদেশের না হয় ।
কেউ যদি মনে করেন পৃথিবীতে তো তাও একটা পজিশন আসছে নাকি ? ভাই একটা পুরস্কার দেয়া হয় কোন দেশে ঠিক মনে নাই । সব চেয়ে খারাপ মুভি বা খারাপ বই যে বানাইছে বা লেখছে তাকে দেয়া হয় । কিন্তু সে কিন্তু পুরস্কারতা নিতে আসে না । কোনটা সম্মানের আর কোনটা অসম্মানের সেইটা দেখতে হবে ।
আপনি এগিয়ে এসে কাজটা করুন দেখবেন আপনার সাথে আরও কয়েকজন এগিয়ে এসেছে । তখন যে ভালো লাগাটা টা আপনি কোনদিন ভুলবেন না ।
দেশটা তো আমাদেরই নাকি ?
ভালো কাজগুলো ভাগাভাগি করে করতে আলাদা একটা আনন্দ আছে । আপনিও আসুন তার ভাগিদার হতে ।
নামের কারণ বলি এইটা যদি সফল হয় তবে পরে এই ধরনের আরও কিছু কাজ করা যাবে । এইটা একটা যে কবিতা এর অংশ টা সবাই জানেন সেই কবিতার সারমর্মও সবাই জানেন । দেশটাকে সবাই মিলে গুছিয়ে ফেলি । যেন আমরা এখন যেমন আমদের আগের লোকদের দোষ দেই তারা কেন এমন করলো না কেন তেমন করলো না ?
এই কথাগুলো একদিন আমদেরও শুনতে হবে । শুনতে কিন্তু ভালো লাগবে না । সুযোগ থাকতে শুধরে নিতে সমস্যা কই ?
স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকা সুখের এবং কষ্টের । স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটানোর পর সুখের অন্ত থাকে না । আর স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ পাওয়ার পর তা কাজে না লাগালে সেই কষ্ট সহ্য করা যায় না ।
আপনাদের সকলের অংশগ্রহণ কাম্য রইলো ।
'' মানুষ বাঁচে আশায় , দেশ বাঁচে ভালোবাসায় ''
ফেসবুকে ইভেন্টের লিঙ্ক - Click This Link
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×