somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জয় মা তারা, জয় মা দুর্গতিনাশীনি, দুগ্গা দুগ্গা দুগ্গা

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জিনিষটা এদের থাকতে হয় বলেই থাকে , মূলত বিবর্তন মানুষের অনেক অঙ্গকেই অপ্রয়োজনীয় করেছে, সেসব অঙ্গের কোনো উপযোগিতা নেই, তবে বিবর্তনের স্মৃতি ধরে রেখেছে শরীরে।

শরীরের এইসব অপ্রয়োজনীয় অঙ্গগুলো দৈহিক সুষমা বা সৈন্দর্য্যবৃদ্ধিতে উপযোগী ভুমিকা রাখে না। অনেকেরই শুধু শাররীক প্রয়োজনে থাকতে হয় বলেই ঘাড়ের উপরে একটা মাথা থাকে।সেটা ভারসাম্য বজায় রাখবার কাজে আসে হয়তো, তবে অধিকাংশ সময়ই উপদ্রব বিবেচিত হতে পারে।

এইসব উপদ্রবাক্রান্ত সময়ে মানুষের ল্যাজ দেখা যায় ভালোভাবে। সুতরাং একটি পাথরকে চুমু খাওয়া নিয়ে গল্প জমে যায়, হজ্জ্বের একটা নিয়ম কা'বার সামনে নিয়ে হাসরে আসওয়াদের চুমু খাওয়া- অন্য একটা নিয়ম- শয়তানকে পাথর ছোঁড়া। এরপর পাহাড়ী পথে লৌড়ালৌড়ি।
বিষয়টির অন্তর্গত পূজার বিষয়টি নজরে পড়ে না বিশ্বাসী বান্দাদের।

মক্কা বিজয়ের পরপরই মুহাম্মদ মদীনায় ফিরে আসেন। পরের বছর হজ্জ্বের সময় ঘনিয়ে আসলো। মক্কার অর্থনীতিতে হজ্জ্ব মৌসুমের ব্যপক ভুমিকা ছিলো, এটাই ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম সময় ছিলো, সমস্ত আরব উপদ্বীপে তখন বাণিজ্যমৌসুম। কেউ কাউকে কতল করে না, কেউ কারো সাথে যুদ্ধ করে না। এই শপথ এবং যুদ্ধবিহীনতার কারণেই মোহাম্মাদের মক্কাগমন সম্ভব হয়েছিলো মক্কা বিজয়ের আগের বছর। সে সময় সকল অতিথিই অতিথি নারায়ন। কাউকেই আঘাত করবার রীতি ছিলো না আরব উপদ্বীপে-
তবে তখনও অনেক মুর্তিপূজারী কা'বায় গিয়ে উপাসনা করতো- তাদের সাথে পূর্বে উপাসনা এবং বাণিজ্য করতে মোহাম্মদের তেমন বাধা না থাকলেও মক্কা বিজয়ের পর এই মুর্তিপূজারীদের সাথে হজ্জ্বে যাওয়ার ব্যপারে নারাজ মুহাম্মদ মদীনায় রয়ে গেলেন। আবু বকরের নেতৃত্বে ৩০০ জনের একটি কাফেলা মদিনা থেকে মক্কার পথে রওনা দিলো।

এরপর পরই সুরা তওবার বানি নিয়ে আলী হজ্জ কাফেলার পেছন পেছন ছুটলেন । এবং মিনার কাছে একটি সমাবেশে সদ্যজাত সুরার বক্তব্য উপস্থিত জনতাকে পড়ে শোনালেন।

YUSUFALI: A (declaration) of immunity from Allah and His Messenger, to those of the Pagans with whom ye have contracted mutual alliances:-
009.002
YUSUFALI: Go ye, then, for four months, backwards and forwards, (as ye will), throughout the land, but know ye that ye cannot frustrate Allah (by your falsehood) but that Allah will cover with shame those who reject Him.

009.003
YUSUFALI: And an announcement from Allah and His Messenger, to the people (assembled) on the day of the Great Pilgrimage,- that Allah and His Messenger dissolve (treaty) obligations with the Pagans. If then, ye repent, it were best for you; but if ye turn away, know ye that ye cannot frustrate Allah. And proclaim a grievous penalty to those who reject Faith.

009.004
YUSUFALI: (But the treaties are) not dissolved with those Pagans with whom ye have entered into alliance and who have not subsequently failed you in aught, nor aided any one against you. So fulfil your engagements with them to the end of their term: for Allah loveth the righteous.
009.005
YUSUFALI: But when the forbidden months are past, then fight and slay the Pagans wherever ye find them, an seize them, beleaguer them, and lie in wait for them in every stratagem (of war); but if they repent, and establish regular prayers and practise regular charity, then open the way for them: for Allah is Oft-forgiving, Most Merciful.
009.006
YUSUFALI: If one amongst the Pagans ask thee for asylum, grant it to him, so that he may hear the word of Allah; and then escort him to where he can be secure. That is because they are men without knowledge.
009.007
YUSUFALI: How can there be a league, before Allah and His Messenger, with the Pagans, except those with whom ye made a treaty near the sacred Mosque? As long as these stand true to you, stand ye true to them: for Allah doth love the righteous
009.008
YUSUFALI: How (can there be such a league), seeing that if they get an advantage over you, they respect not in you the ties either of kinship or of covenant? With (fair words from) their mouths they entice you, but their hearts are averse from you; and most of them are rebellious and wicked.

009.009
YUSUFALI: The Signs of Allah have they sold for a miserable price, and (many) have they hindered from His way: evil indeed are the deeds they have done.

009.028
YUSUFALI: O ye who believe! Truly the Pagans are unclean; so let them not, after this year of theirs, approach the Sacred Mosque. And if ye fear poverty, soon will Allah enrich you, if He wills, out of His bounty, for Allah is All-knowing, All-wise.
009.029
YUSUFALI: Fight those who believe not in Allah nor the Last Day, nor hold that forbidden which hath been forbidden by Allah and His Messenger, nor acknowledge the religion of Truth, (even if they are) of the People of the Book, until they pay the Jizya with willing submission, and feel themselves subdued.
009.030
YUSUFALI: The Jews call 'Uzair a son of Allah, and the Christians call Christ the son of Allah. That is a saying from their mouth; (in this) they but imitate what the unbelievers of old used to say. Allah's curse be on them: how they are deluded away from the Truth!
009.031
YUSUFALI: They take their priests and their anchorites to be their lords in derogation of Allah, and (they take as their Lord) Christ the son of Mary; yet they were commanded to worship but One Allah: there is no god but He. Praise and glory to Him: (Far is He) from having the partners they associate (with Him).

009.033
YUSUFALI: It is He Who hath sent His Messenger with guidance and the Religion of Truth, to proclaim it over all religion, even though the Pagans may detest (it).

009.034
YUSUFALI: O ye who believe! there are indeed many among the priests and anchorites, who in Falsehood devour the substance of men and hinder (them) from the way of Allah. And there are those who bury gold and silver and spend it not in the way of Allah: announce unto them a most grievous penalty-

009.036
YUSUFALI: The number of months in the sight of Allah is twelve (in a year)- so ordained by Him the day He created the heavens and the earth; of them four are sacred: that is the straight usage. So wrong not yourselves therein, and fight the Pagans all together as they fight you all together. But know that Allah is with those who restrain themselves.


সুতরাং আজ থেকে সকল মুর্তিপূজা নিষিদ্ধ ঘোষিত হলো, আগামি বছর থেকে কোনো মুর্তিপূজারী এই পবিত্র শহরে প্রবেশ করতে পারবে না, আর কেউ কা'বা ঘরের চারপাশে ন্যাংটা হয়ে তাওয়াফ করতে পারবে না।
স্পষ্ট নির্দেশনা মুর্তিপূজারীদের ৪ মাস সময় দেওয়া হবে নিরাপদে ফিরে যাওয়ার জন্য, এর পরে তাদের যেখানে পাওয়া যাবে যদি তারা বশ্যতা স্বীকার করে বিশ্বাসীদের অনুগত না হয় তবে তাদের কতল করা হবে।
একই সাথে যাদের উপরে কিতাব নাজিল হয়েছিলো, তারাও পুর্বতন ধর্ম পরিত্যাগ করে ইসলামগ্রহনে বাধ্য, কারণ ইসলামকেই সর্বশেষ ও পূর্ণাঙ্গ ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এখানে। সুতরাং বিশ্বে অন্য কোনো ধর্মের উপস্থিতি কাম্য নয়, শুধুমাত্র ইসলামই পৃথিবীর একমাত্র ধর্ম হিসেবে বিবেচিত হবে।

পৃথিবীর ব্যপকতা, পরমতসহিষ্ণুতার কোনো উদাহরণ নেই এই তথাকথিত ইশ্বরীয় প্রত্যাদেশে। পরমতসহিষ্ণুতার মহান বানীগুলো ইসলাম আগমনের প্রাথমিক সময়ের বক্তব্য ছিলো। পরবর্তী অনুসারীদের জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা, তাদের ঠিক কিরূপরে জীবনধারণ করতে হবে।

হজ্জ্বের নিয়ম কি বদলেছিলো এই বিবর্তনের সময়ে? মুহাম্মদ সাত বার কা'বা প্রদিক্ষণ করেছে প্রচলিত নিয়ম মেনেই, হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করেছে, শেষবার হজ্জের সময়ও একই ধারাবাহিকতা মেনেই ঐতিহ্যের অনুসারী হয়েই মিনায় এসে পাথর ছুড়ে শয়তান তাড়িয়েছে।

এইসব মুর্তিপূজারীদের পূজার ঐতিহ্য অব্যহত রেখেই বর্তমানের হাজীরা হজ্জ করছে। তবে মুর্তিবিদ্বেষী হয়ে উঠা হাজিদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনের কোনো উপায় নেই, কারণ ধর্মীয় সংরক্ষণশীলতা এবং অহেতুক ধর্মনাশের উদ্বেগ সত্যকে স্বীকার করতে বাধা দেয়।

যদিও বিদায়ী হজ্জ্বের ভাষণে মোহাম্মদ ঘোষণা করেছে সকল মুসলিম ভাই ভাই তবে সেই একই ভাষণেই দাসব্যবস্থাকে রদ করবার কোনো ঘোষণা আসে নি। একজন অধীনস্ত মানুষকে অন্য একজন মানুষের সমকক্ষ বলবার মতো অর্বাচীনতা কিংবা প্রথামোতাবেক বিশ্বাসী দাসীকেও স্বামী থাকলেও ভোগ্যবস্তু বিবেচনা করবার প্রথাটিকেও বাতিল ঘোষণা করবার কোনো উপলক্ষ্য ছিলো না। যুদ্ধবন্দীদের সাথে ঠিক কেমন ব্যবহার করতে হবে এই বিষয়ক কোনো বদলি নির্দেশনা নেই-

ঐতিহ্যের ব্যাঘাত না ঘটিয়েই আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। কখন কোন ঘটনায় কার ধর্মবোধ আহত হয়ে যায়, কার সুক্ষ্ণ অনুভুতি আক্রান্ত হয়ে যায়, এইসব পলিটিক্যালী রাইটিয়াস অবস্থান গ্রহন হয়তো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্ভব, তবে ব্যক্তির পক্ষে নিতান্তই অসম্ভব মনে হয় আমার কাছে।

আমি মূলত মুর্তিপূজারীদের সমর্থক। আমার নিজের কাছে মুর্তিপূজার বিষয়টা চমকপ্রদ মনে হয়, উৎসববিহীনা বন্ধ্যা বাংলাদেশে দুর্গাপূজার উজ্জ্বল সপ্তমী, অষ্ঠমী নবমী কিংবা ভাসানের দিন একই সাথে প্রণতি, ভক্তি এবং বিচ্ছেদের আনন্দ-বেদনায় মাখামাখি হয়ে ভাসতে থাকে উজ্জ্বল নীল শরৎএর আকাশে।

একই পৌত্তলিকতায় আমি কাব্যরচনা করি, আমি বাক্য আর শব্দে মুর্তিনির্মান করি। আমি অন্যসব মুর্তিকে ভালোবাসি তার অনবদ্যতার জন্য। আমার ভেতরে একটা আবু সুফিয়ান একটা আবু জাহেল বসবাস করে, তাদের বাদ্যবাজনা এবং তাদের উন্মাদনার অভাবটা আমি প্রতিনিয়ত অনুভব করি।

পূজার সন্ধ্যায় আমার রক্তের ভেতরে দ্রিদিম দ্রিদিম মাদল বাজতে থাকে। জয় ঢাক আর ধুপধুনা দিয়ে মায়ের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। জয় মা তারা, জয় মা দুর্গতিনাশিনী।

আর দুঃখ নিয়ে দেখি সেইসব মানুষদের যারা ঘাড়ের উপরে অপ্রয়োজনীয় একটা মস্তকের ভার বহন করে চলছে রশি হাতে, হাজির মিনার হবে, মুর্তি থাকবে না, সেইসব মানুষের জন্য যারা আরও ২ সহস্রাব্দ আগে শুরু হওয়া পূজার অনুকরণ করতে লাখ টাকা খরচ করে ছুটছে আরবে যেখানে পৌত্তলিকদের কোনো স্থান নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:৫৯
১৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×