আমি কবিতা বুঝিনা। বুঝিনা তার কঠিনতর প্রতিবাদী ভাষাও।
আমার চারিপাশের চরিত্র , তাদের জীবন চিত্রটাকে কবিতার মোড়কে কিছু শব্দমালা দিয়ে গেথে দেয়াকে আমি ঠিক নিতেও পারিনা।
আমার পাশ দিয়ে খুব সকালে , না না ভোরই হবে; দ্রুত পা চালিয়ে যায় আমার প্রতিবেশী দম্পত্তি তাদের আহারের সন্ধানে।
.
আমার আর এক প্রতিবেশী সারারাত ফুল ভলিউম দিয়ে গান শোনে , কখনো ব্যান্ড অথবা লালনগীতি অথবা নকুলের মানবতার গান।
সকালে সে পড়ে পড়ে ঘুমায়।
.
আর এক প্রতিবেশী আছেন , বয়সে বৃদ্ধই বলা চলে, তিনি গাজা, মদ খান এবং হরেক পীরের গুনগান করেন এবং করান ।
.
আমি অকর্মা , এসব আমায় দিয়ে হবেনা।
আমি জানি শুধু দেখতে। প্রকৃতি দুটা চোখ দেয়ায় দেখতে পাই। মাঝে মাঝে খুব রাগ হয়
দেখার জন্য।
সে যাইহোক, তপ্ত দুপুরে রাস্তায় রিকশার আওয়াজ শোনা যায়, সাথে টুংটাং বেল।
কেউ বা থামে এ মোড়ে , গলা থেকে ঘাম বেরিয়ে একেবারে তার ময়লা লুংগীর নিচে চলে যাচ্ছে।
একদিক থেকে ঘাম বেরুচ্চে অন্যদিকে নীল রঙ্গের ড্রাম থেকে জল নিয়ে পান করছে সে।
আনন্দ নামের একটা বেকারী আছে এখানকার, সমস্ত দোকানে রুটি কেকের সরবরাহ তারাই করে।
কেউ কেউ ঘর্মাক্ত দেহে সেই শুকনা রুটি চিবোয় ,
আমার কেমন যেন লাগে দেখতে,তবুও দেখি , গলা দিয়ে নামে না সে রুটি।
ঢেকুর গেলার মত করে জোর করে গলায় চাপ দিয়ে চালান করে দেয় সে রুটি তার পেটে।
চা নেয় এক কাপ সাথে একটা সিগারেট চা'য়ে চুমুক দিয়ে সিগারেটে টান দেয়।
দেখেই বুঝতে পারি রুটির থেকে এটায় সে বেশ তৃপ্ত।।
.
আজকের দিনের আলো প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে, এখন অনেকের বাড়ি ফেরা দরকার।
এখানে মনে প্রশ্ন জাগে, তারা কি আদৌ বাড়ির বাসিন্দা?
হয়তো! নাহলে আমার প্রতিবেশী কি করে হলেন?
.
যাইহোক রাতে থাকার যায়গার কাছাকাছি এসে মুদি দোকানে সে কিছু সদায় পাতি কিনে।
মুখ উজ্জ্বল লাগে তখন দেখতে ।
সাথে করে সিগারেটও নিয়ে নেয় কয়েকটা।
রাতে খাওয়া হলে, ঘুমিয়ে পড়ার ভান করে কিছুক্ষন যাতে ছোট ছেলেটার ঘুমের কোন সমস্যা না হয়।।
এরপরে দুইজনে মিলিত হয় । প্রেম বা ভালোবাসা অথবা কাম, বিনোদন যাইই বলিনা কেন এখানে সে খুজে ফেরে।
রাতে আয়েশ করে খাবার খেয়ে গায়ে জোর আসে কিছুটা।
জোর খাটানো শেষ হয়েছে, এখন সিগারেট দরকার।
এস্ট্রে নেই, জলন্ত সিগারেট হাতে নিয়েই সে তলিয়ে যায় গভির ঘুমে।
আবার আমার অপেক্ষা চলে কখন হবে সকাল, নানা ভোরই বলা যায়। ।
কখন আবার দেখবো.........