রাস্তায় মোড়ে মোড়ে , বাসে লঞ্চে আল্লার নাম নিয়া মসজিদের উন্নয়ন , তৈরির কথা বলে টাকা নেয়া হয়, মসজিদ তো আল্লার ঘর; নাকি ?
অবশ্য ঐ ঘরে তিনি খায় না ঘুমায় নাকি কাউরে ঘুম পাড়ায় সেটা কেউ এখনো জানে নাই । আর কোন মাধ্যম দিয়া জানাও যায় নাই ।
আল্লা নাকি সর্ব শক্তিমান ! তা আল্লা নিজের ঘর নিজে না বানায়া তার বান্দা দের কেন রাস্তায় নামায়ে ভিক্ষা করায়, আর কেনই বা মানুষের কাছে এভাবে টাকা তোলে ? এই টাকা দিয়া যদি একটা ভুখা রে একবেলা খানা খাওয়ানো যায় তাতে কি আল্লার খুব বেশি ক্ষতি হয়?
কেউ কেউ বলে, দুইটাই করতে হবে।
আমি বলি কেন রে বাপু! ?
তোমার আল্লার ঘর তারে নিজেরেই বানাইতো কও না গিয়া।।
হুদাই গরিবের হকের উপরে কেন উনি ভাগ বসান? মাঝে মাঝে এও দেখা যায়, মাদ্রাসা হইলো নবিজির ঘর বলে অনেকেই।
সেই খানেও টাকা দেয়া লাগতাসে মানুষের, কে হিন্দু কে মুসলিম কোন বাছবিচার নাই।
যারে সামনে পায় তার কাছেই টাকা চাওয়া শুরু করে। আচ্ছা ভাই এই যে হিন্দু বা ইহুদি অথবা নাস্তিকের কাছ থেকে মসজিদ মাদ্রাসার জন্য টাকা চাও তারা যদি সে টাকা দ্যায় তোমার আল্লা কি সেটা কবুল করবে?
কবুল টবুল করবে কিনা জানিনা তবে তোমার আল্লা এখানে তোমার মাধ্যমে নাস্তিক , কাফের, মালাউনের কাছেই হাত পাতিলো। তোমার আল্লা কি এতই খয়রাতি ?
আর মাদ্রাসার কথা বলতে গেলে,
আচ্ছা, তোমরা যে কথায় কথায় কও মাদ্রাসা নবিজির ঘর।
তা বাজান কোন মাদ্রাসায় তোমার নবিজি থাকেন এখন?
যদি কও এইখানেই নবিজির আদর্শানুসারে ছাত্রদের শিক্ষা দেয়া হয়,
তবে আমার চাইনা এ শিক্ষা। যে শিক্ষা মানুষ মারার কথা বলে, যে শিক্ষা মানুষদের হিংসে ছড়ায়, যে শিক্ষায় মানুষ বর্বর হয়ে ওঠে, যে শিক্ষায় মতের বিরুদ্ধে গেলেই চাপাতি চালায় বিনা দ্বিধায় , যে শিক্ষা বিপরীত লিঙ্গের মানুষদের মনে করে ভোগ্যপণ্য সে শিক্ষা আর যেই হোক না কেন , কোন বিবেকবান মানুষ চাইবে না।
নাস্তিক হওয়া লাগে না এ বিচার করতে।
সাধারন চোখে দেখলেই তোমার ধর্মের হিংস্র রুপটা বেরিয়ে আসে।
চরমোনাইর ইসলাম আর ছারছিনা র ইসলাম এক না। আনসারুল্লার ইসলাম আর আটরশির ইসলাম এক না। শাহ জালালের ইসলাম আর হেফাজতের ইসলাম ও এক না।
এসব বুঝতে নাস্তিক হওয়া লাগে না।
তবে এসব দেখে দেখেই মানুষ নাস্তিক হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮