ধর্মীয় পরিচয় বিষয়টাই সম্পূর্ন ধোঁয়াশাপূর্ন। এটা এমনই এক উপাধী যা পেতে কোন সাধ্য সাধনা পেতে হয় না, পারিবারিক সূত্রে কিংবা আমি অমূক ধর্ম গ্রহন করলাম বললেই চলে, সাথে হয়ত প্রথম কিছুদিন সে ধর্মের সুনির্দিষ্ট কিছু রিচ্যূয়াল পালন করা। তেমনি কাউকে ধর্মচ্যূত ঘোষনাও অত্যন্ত সহজ, যার হামেশা প্রয়োগ মুসলমান মাজে দেখা যায়। একে অপরকে কথায় কথায় কাফের নাস্তিক মুরতাদ ঘোষনা ডালভাত। আসলে এসব ঘোষনার কি কোন অর্থ আছে? একজন বিজ্ঞানী সে কাফের কোক মুসলমান হোক কি নাস্তিক হোক তার আবিষ্কার থেকেই যাবে, সে আবিষ্কারের কোন ধর্ম নেই। যে যাকে যাইই বলুক চুড়ান্তভাবে কে নিজেকে কি মনে করে সেটাই মূখ্য।
মুসলমান বিশ্ব বর্তমান দিনে জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চায় ধর্ম হিসেবে ধরা হলে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে। সে হিনমন্যতার কারনে তারা অতীতের মুসলমান বিজ্ঞানীদের কথা গর্বভরে স্মরন করে। আসলে এর তেমন কোন দরকার নেই। মুসলমান হবার কারনে তারা জ্ঞানবিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়েছে এমন নয় যে সেটা ভুল প্রমান করতে অতীত নিয়ে পড়ে থাকতে হবে।
তারা কেউ মুসলমান ছিলেন না এই আর্গুমেন্টা আসলে খুবই দূর্বল, অনেকটাই অর্থহীন, এবং নেভার এন্ডিং বিতর্কের ফাঁদে পাড়া দেওয়া। কে সহি মুসলমান এই প্রশ্নের বিচারের কোন যৌক্তিক জবাব সম্ভব নয়। হাইলাইট হওয়া উচিত ধর্ম পরিচয়ের সীমাবদ্ধতা, ধর্মীয় পরিচয় যে কতটা অর্থহীন সেটা আলোচনা, এবং সাথে ধর্ম নিয়ে যারা গর্ববোধ করেন সময়ে সময়ে তাদের সুবিধেবাদী দাবীর কারনে তাদের কিঞ্চিত নাড়া দেওয়া। তা একই ব্যাক্তির পরস্পর বিরোধী দুই ধরনের ধর্মীয় পরিচয় থেকেই প্রমান পাওয়া যায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫