somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিরে দেখা: বিজ্ঞান দিয়ে ধর্ম অস্বিকার করার খেলায় নাস্তিক মামাদের ধরা খাওয়ার করূণ ইতিহাস।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্যাপারটা আরম্ভ হয়েছিল বছর তিন আগে। যখন সামু ব্লগে নাস্তিক মামাদের আস্ফালনের স্বর্ণ যুগ ছিল। কঠিন ভাবে আস্তিক-নাস্তিক যুদ্ধ চলত তখন। সামুতে আমি তখনও নতুন। আমার মূলনীতি ছিল নাস্তিক মামাদের সাথে বিতর্কে না যাওয়া। কারন এই ধরনের বিতর্ক ধর্ম বিশ্বাসের জন্য সাধারনত ক্ষতিকর হয়। ফেসবুক আর ব্লগে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক মামাদের আস্ফালন দেখতে দেখতে একসময় আমি সিদ্ধান্ত নেই নাস্তিকতার বিরুদ্ধে লেখালিখি শুরু করার। শুরুতে কিছু ফেসবুক গ্রুপে লেখালিখি আরম্ভ করি। এর কিছুদিনের মধ্যে আমার মাথায় "যেই কারনে নাস্তিকরা বেওকুব" - লেখাটির কনসেপ্ট আসে।

নাস্তিক মামারা যে আসলে মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার ব্যাপারটা উপেক্ষা করেন এবং এই সীমাবদ্ধতার ব্যাপারটা ভালমত হাইলাইট করা গেলে নাস্তিকতা নামক মাকাল ফলের বোটা যে আলগা হয়ে যাবে সেইটা তখনই বুঝতে পারি।

যেই কারনে নাস্তিকরা বেওকুব - লেখাটার যেই ভার্সনটা আমি রিপোষ্ট করি সেইটা হল লেখাটার তৃতীয় ভার্সন। এর আগের দুইটা ভার্সনের একটা রি-রাইট করা হয়েছিল, আরেকটা নাস্তিক মামাদের গালাগালির কারনে ডিলিট করে দিয়েছিলাম।

যেই কারনে নাস্তিকরা বেওকুব - লেখাটি বারে বারে রি-পোষ্ট করার অনেকগুলো কারনের মধ্যে একটা কারন ছিল, লেখাটা খুব বেশি কনসেপচুয়াল টাইপ লেখা, একবার পড়ে এই লেখা বুঝা বেশ কঠিন। আমার নিজেরই এই কনসেপ্টে কনফিডেন্স ডেভলপ করতে অনেক টাইম লাগছিল।

এনিওয়ে, এই লেখা বারে বারে রি-পোষ্ট করাটা নাস্তিক মামাদের ভ্রান্ত বিশ্বাসের জন্য একটি স্লো-রিকভারি এর মত কাজ করতেছিল। নাস্তিক মামারা অনেক দিন ধরে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাইছিলেন। তাদের প্রতিক্রিয়া গুলো নিয়ে আলাদা আলাদা বেশ কয়েকটা পোষ্ট পর্যন্ত আছে (link: 1 ,2 ,3 ,4 ,5] , সেইখানে তারা সবাই মিলে আমার বিরুদ্ধে সোচ্চার হইছিলেন ।

যেই কারনে নাস্তিকরা বেওকুব - পোষ্টের বিরুদ্ধে সবচাইতে শক্তিশালি অবস্থান নিয়েছিলেন আমাদের অত্র ব্লগের বিশিষ্ট বিজ্ঞান মনস্ক নাস্তিক "হোরাস মামা"। উনার "যে কারনে কাকপাখি২ চালাক (!!) আর সকল নাস্তিক এবং বেশিরভাগ আস্তিক বেকুব" লেখাটা দিয়ে উনি কাকপাখির বিরুদ্ধে সবচাইতে শক্তিশালি প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। এই বিশেষ পোষ্টে হোরাস মামার সাথে কাকপাখিকে ১৯ দিন স্থায়ী এক ব্লগ যুদ্ধে নামতে হয়েছিল। ১৯ দিন ব্লগযুদ্ধের পরে হোরাস মামার কুটনীতির কাছে কাকপাখি আপাতঃ ভাবে হার মানতে হয়েছিল।

হোরাস মামা এই ঘটনার প্রায় ১ বছর পরে "হলিউডের ৬০ ফুট কিংকং কিংবা সহী বুখারীর ৯০ ফুট লম্বা আদম বাস্তবে সম্ভব নয় কেন" -- শিরোনামে একটি পোষ্ট দেন। যেই পোষ্টখানা উনার জীবনের (এবং সামগ্রিকভাবে নাস্তিক মামাদের জীবনের) সবচাইতে বড় বিপর্যয়কর পোষ্ট ছিল। এই পোষ্টের যুক্তি খন্ডনের মাধ্যমে নাস্তিক মামাদের সমস্ত গর্ব এবং অহংকার চূর্নবিচূর্ন করে দেওয়া হয়। বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে ধর্ম অস্বিকার করার প্রতারনামূলক নাস্তিকীয় খেলার এক শোচনীয় পরাজয়ের ইতিহাস রচিত হয়। এবং এর পর থেকে ব্লগে নাস্তিক মামাদের নর্তন কুর্দনের উৎসাহে ভাটা পরিলক্ষিত হইতে থাকে, যা এখন পর্যন্তও অব্যাহত আছে।

নাস্তিক মামাদের পরাজয়ের ইতিহাস কিভাবে রচিত হয়েছিল তা জানার জন্য নীচের লেখাটা পড়ে দেখতে পারেন:

ব্লগীয় পাতি-নাস্তিকদের বিজ্ঞান বিষয়ক পীর "হোরাস মামা" যেভাবে ধরা খাইলেন।

=========================================
=========================================
=========================================


নাস্তিক মামাদের বিরুদ্ধে কাকপাখি ২ এর আরো কিছু লেখা:

কিছু মৌলিক বিষয়ে নাস্তিকদের ভ্রান্তিমূলক ধারনা।

প্রাচীন কালে মুর্খরা মুর্তি পুজা করিত, এখনকার মুর্খরা বৈজ্ঞান পুজা করে (রিপোষ্ট)

নাস্তিক মামারা যে বেওকুব সেইটা আমার কাছে নতুন ভাবে প্রমানিত হইল

নাস্তিক্যবাদ হচ্ছে "বিজ্ঞানের সাথে কৌশলি মিথ্যা মিশিয়ে" জনসাধারনকে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে অবিশ্বাসী করে তোলার অপচেষ্টা জনিত সুচতুর মতবাদ মাত্র।

একজন নাস্তিক মামা এবং এক রুপবতী বালিকার গল্প (১ম ও ২য় পর্ব একত্রে)
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৪৬
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×