পাঠকাঠির ছিপে, মাকড়সার জালের সুতো বেঁধে লম্বা এক বড়শি বানানো হল। পদ্মপাতায় বসে, টোপ গাথা হল।
কাঠি নড়ে কি নড়ে না, দে টান। চুপ করে কী বসে থাকা পোষায়।
উপর দিকে তাকাতে ইচ্ছে করে। পা-চুলকোতে ইচ্ছে করে। শুধু-শুধু এমনি এমনি ইচ্ছেরা ঘোরাফেরা করে। আর কিছু নাহোক,ঢিল ছুঁড়ে, জলটা নাড়িয়ে দিতে মন চায়। কিন্তু, সেটি হবার জো নেই।
বাড়ির লোক, পাড়া-পড়শি করবে, না, করবে না । অচেনা হলেতো কথাই নেই। যা যা, ভাগ, ভাগ, ইত্যাদি চলতেই থাকে। অবশ্য গায়ে জামা-জুতো থাকলে সেরকম হয় না।
কিন্তু যার শরীরটাই উদোম, দোকানের সামনে হা করে চেয়ে থাকা, মেলায়, ধরা যাক বইমেলাই, খেলনার সামনে, একটু হাত চলে যাওয়া।
" এটা নিন, এটা নিন", বলা। যদিও কেউ পাত্তা দেয় না। কিন্তু রিক্সা চড়তে চড়তে, যদি হঠাৎ হাত থেকে পড়ে যায়, রুমাল, 'এই ছেলে দেতো', সেটা কম হয় না।
চাবেচা মেয়েটিকে খুচরো নেই বলে গোটা ৩ টাকা কম দিয়েদি। সেই বয়সের ছেলেটিকে কেউ বলে কি, ভাইকে ডাকো, বলে চা-ওয়ালা ডাক।
তো আজ বছরের প্রথমদিন, তারা সবাই ঠিক করেছে, চা বেচেব না, সিগারেট বেচবে না। শুধু পদ্মপাতায় বসে মাছ মাছ খেলবে।
সেই খেলা খেলা যাবে, শুধু যে নিজে জানেনা, চা-ওয়ালা'র হাতের নোংরায় পেট খারাপ হয়, তাকে সেসব শেখানো যাবে না, পদ্মপাতায় জলের উপর বসার পাস-ওয়ার্ড, ভাই। কিন্তু, সেটা বুকের ভিতর বাতাস না নিয়ে বল্লে, সাথে সাথেই সিস্টেম হ্যাং হয়ে যাবে
__________________________________________________________________________________________
একদিন ভাই সম্বোধন পাসওয়ার্ড থাকবে শুধু স্তরগুলো হ্যাং করে দিতে, সেজন্যই পদ্মপাতার খেলা
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:১৪