অভিজিৎ রায়ের বিশ্বাসের ভাইরাস বইটি পড়া শুরু করলাম । বইয়ের ভূমিকা যখন পড়তেছি তখন কিছু আরোপিত তথ্য (ভুল বলব না, কেননা তিনি এই বই লেখার জন্য অনেক গবেষণা করছেন । তিনি ভুল করেছেন এটা আমি স্বীকার করব না) দেখলাম । তিনি আবু রাফের হত্যা (!) বিবরণীর সাথে তথাকথিত থাবা বাবার হত্যা মেলানোর চেষ্টা করেছেন । ভাল কথা । এই বিষয়ে আমার শুধু একটাই কথা যে কোন মিডিয়া যদি বাংলাদেশে উদ্দেশ্যমূলক প্রোপাগান্ডা প্রচারণা করে যাতে মারাত্মক সামিজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় (রায়ট অথবা সিভিল ওয়ার) তার জন্য সেই মিডিয়া এবং তার কর্তা ব্যক্তিদের কিরূপ শাস্তি বিধান করা উচিত ??
তিনি এক প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন যে যখন নাকি মুসলিম রা মিশর বিজয় করল তখন নাকি সেখানকার আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরীর লক্ষাধিক বই ধ্বংস করার নির্দেশ দেন মুসলিমদের ২য় খলিফা উমার । তিনি এটা উল্লেখ করতে মনে হয় ভুলে গেছেন পশ্চিমা আধুনিক ইতিহাসবিদেরা (কেও কেও নাস্তিক) এই বিষয়ে একমত হয়েছেন যে আমর ইবনুল আস যখন মিশর দখল করেন তখন আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরীতে এরকম কোন বইয়ের সংগ্রহ ছিলনা । উক্ত ঘটনাটি একেবারে সাজানো গল্প, মিথ্যা , বানোয়াট । উমার ও ইসলামের নামে কুৎসা রটনা করা এবং সম্পুর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশে এই গল্পটি উমারের মৃত্যুর কয়েকশ বছর পরে তৈরি করা হয় । আসলে উক্ত লাইব্রেরীটি ৪৮ বিসিই তে একবার আগুন লাগার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং রোমান আক্রমনের সময় (৩৯১ সিই) তে সম্পুর্ণ রুপে ধ্বংস করা হয় ।
বইয়ের শুরুতে এরকম একটি বানোয়াট কাহিনী বযবহার করে ধর্মের কুৎসা রটনা করেছেন যে তিনি তাতে আমি বিস্মিত নই। কেননা এই সকল তথাকথিত মুক্তমনারা ভাব ধরে বিজ্ঞানীর, কথা বলে উকিলের মত , আর সত্যের সাথে মিথ্যাকে মিশিয়ে মানুষকে করে বিভ্রান্ত ।
এই পোস্টটি তার উপর কোন ব্যক্তিগত(বা ধর্মীয়) আক্রোশ থেকে নয় বরং মানুষকে জানানোর জন্য করা । যে ব্যক্তি বিষয়টি জানেনা তার জন্য উক্ত বইয়ের তথ্যটি ব্রিভ্রান্তমুলক হতে পারে । একজন পাঠক হিসেবে আমার দায়িত্ব নিজে জানা এবং অন্যকে জানানো
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৬