somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নোবেল পুরুষ্কার ২০১৫ : শান্তিতে নোবেল পেল তিউনিসিয়ার চার সংগঠন!

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নোবেল শান্তি পুরুষ্কার ২০১৫ ঘোষিত হয়েছে।
এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়েছে তিউনিসিয়ার চারটি সংগঠনকে যারা দেশটিকে গণতন্ত্রে উত্তরণে সহায়তা করেছে।
নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান এই পুরস্কার ঘোষণা করে বলেন, তিউনিসিয়ায় ২০১১ সালের বিপ্লবের পর সেখানে বহুমতের গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এই চারটি সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তিউনিসিয়ার পুরস্কার বিজয়ী চারটি সংগঠন হচ্ছে:
তিউনিসিয়ান জেনারেল লেবার ইউনিয়ন, তিউনিসিয়ান কনফেডারেশন অব ইন্ডাষ্ট্রি, ট্রেড এন্ড হ্যান্ডিক্র্যাফটস, তিউনিসিয়ান হিউম্যান রাইটস লীগ এবং তিউনিসিয়ান অর্ডার অব লইয়ার্স।

নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ২০১১ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর তিউনিসিয়াকে একটি বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধান ভূমিকা রাখে এই চতুষ্টয়। 

এই চতুষ্টয় গঠিত হয় ২০১৩ সালের গ্রীষ্মে, যখন সামাজিক অস্থিরতা আর রাজনৈতিক হত্যার ঘটনায় গণতান্ত্রে উত্তরণের প্রক্রিয়া পণ্ড হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছিল। তিউনিসিয়া যখন গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে, এই চতুষ্টয় তখন বিকল্প একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করতে পেরেছিল। আর এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে তিউনিসিয়ায় একটি সাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়, যে সরকার ধর্ম, লিঙ্গ, রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বেশেষে সবার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলে।”     

২০১০ সালের ১৮ ডিসেম্বর পুলিশের দুর্নীতি ও দুর্ব্যবহারে প্রতিবাদে মোহাম্মদ বোয়াজিজি নামের এক তরুণের আত্মাহুতির মাধ্যমে তিউনিসিয়ায় আন্দোলনের শুরু হয়। সেই আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানের রূপ পায় এবং ২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি দেশটির প্রেসিডেন্ট জিনে আল আবিদিন বেন আলির ২২ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।

তিউনিসিয়ার জাতীয় ফুলের নামে যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক এন্ডি কারভিন এই গণআন্দোলনের নাম দেন ‘জেসমিন বিপ্লব’। পশ্চিমা গণমাধ্যমের কল্যাণে দ্রুত ওই নাম বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পায়।  

‘জেসমিন বিপ্লবের’ পথ ধরে উত্তর আফ্রিকা আর মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে শুরু হয় দীর্ঘ দিনের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের দাবিতে গণআন্দোলনের ঝড়, যা ‘আরব বসন্ত’ নাম পায়। তিউনিসিয়ার পর মিশর আর লিবিয়াতেও স্বৈরশাসকের পতন দেখে বিশ্ব।

নোবেল কমিটি বলছে, এসব দেশের অনেকগুলো এখনও ভুগছে; তাদের গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকারের দাবি এখনও থমকে আছে। তবে নাগরিক সমাজের স্বতস্ফূর্ততায় তিউনিসিয়ায় একটি গণতান্ত্রিক পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। 

“এই চতুষ্টয় তিউনিসিয়ার সমাজের বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিত্ব করে; আইনের শাসন ও মানবাধিকারের মৌলিক ধারণা নিয়ে তারা মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে কাজ করে। এর ভিত্তিতেই তারা মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় এগিয়ে আসে এবং তিউনিসিয়াকে শান্তি ও গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নেওয়ার নৈতিক দায়িত্বটি পালন করে।”  

এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়নে ২০৫ জন ব্যক্তি ও ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের নাম আসে, যাদের মধ্যে জার্মানির চ্যান্সেলার আঙ্গেলা মের্কেল, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি, পোপ পোপ ফ্রান্সিস, কঙ্গোর চিকিৎসক ডেনিস মাকোয়েজ ও রাশিয়ার সংবাদপত্র নভোয়া গেজেটাও ছিল।

পুরস্কার বাবদ একটি সোনার মেডেল ও ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার (১২ লাখ ৫০ হাজার ডলার) পাবেন চলতি বছরের বিজয়ীরা। আগামী ১০ ডিসেম্বর অসলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে এ পুরস্কার।

সূত্র;http://www.nobelprize.org/, বিডি নিউজ, বিবিসি।

ইগ নোবেল ২০১৫ : আগে হাসুন, তারপর ভাবুন :থিওরি এর ব্লগ।

নোবেল পুরস্কার-প্রাপ্ত তিউনিসিয়ান কোয়াট্রেট মডেলের গণতান্ত্রিক প্রতিস্ঠান বাংলাদেশে দরকার। চাদগাজীর ব্লগ
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

সবাই যখন ওসমান হাদিকে নিয়ে রিকশাওয়ালাদের মহাকাব্য শেয়ার করছে, তখন ভাবলাম—আমার অভিজ্ঞতাটাও দলিল হিসেবে রেখে যাই। ভবিষ্যতে কেউ যদি জানতে চায়, এই দেশটা কীভাবে চলে—তখন কাজে লাগবে।

রিকশায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×