somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধারাবাহিক উপন্যাস উক্তি --পর্ব—০৫

১৯ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৭০/ যে জোর করিয়া কিছু লইতে জানে, সে তাহা রাখিতেও জানে ।
৭১/ যাহার রূপ আছে , সে দেখাইবেই । যাহার গুণ আছে , সে প্রকাশ করিবেই । যাহার ঋদয়ে ভালবাসা আছে , যে ভালবাসিতে জানে –সে ভালবাসিবেই ।
৭২/ সকলেরই একটা সীমা আছে । স্বর্গীয় ভালবাসারও একটা সীমা নির্দিষ্ট আছে । যদি সীমা ছাড়াইয়া যাও , কষ্ট পাইবে । কেহ রাখিতে পারিবে না ।
৭৩/ শুধু ইচ্ছে এবং ঋদয় থাকিলেই পরের ভালো এবং দেশের কাজ করা যায় না । যাদের ভাল করবে তাদের সঙ্গে থাকার কষ্ট সহ্য করতে পারা চাই , বুদ্ধি-বিবেচনায় ধর্মেকর্মে এত এগিয়ে গেলে তারাও তোমার নাগাল পাবে না , তুমিও তাদের নাগাল পাবে না ।
৭৪/ নিজের কর্তব্য করার আগে পরের কর্তব্য আলোচনা করলে পাপ হয় ।
৭৫/ একটা কথা এই যে মানুষ এমনি দুঃসময়ের মাঝে আশা-নিরাশার কুল-কিনারা যখন দেখিতে পায় না, তখন দুর্বল মন বড় ভয়ে ভয়ে আশার দিকটাই চাপিয়া ধরিয়া থাকে । যেটা হইলে মঙ্গল, সেইটাই আশা করে । ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় সেই দিক পানেই নিতান্ত উৎসুক নয়নে চাহিয়া দেখিতে চাহে ।
৭৬/ শিক্ষা , বিদ্যা, বুদ্ধি, জ্ঞান , উন্নতি যা কিছু সব সুখের জন্য , যেমন করেই দেখনা কেন নিজের সুখ বাড়ানো ছাড়া এ সকল আর কিছুই নয় ।

৭৭/ চাঁদের অত রূপ বলেই তাতে কলঙ্কের কালো দাগ, পদ্ম অত সাদা বলেই তাতে কালো ভোমর বসে থাকে ।
৭৮/ যাহার আশা আছে , সে একরকম করিয়া ভাবে , আর যাহার আশা নাই, সে অন্য রকম ভাবে । পূব্বোর্ক্ত ভাবনার মধ্যে সজীবতা আছে , সুখ আছে, দুঃখ আছে , উৎকন্ঠা আছে, তাই মানুষকে শ্রান্ত করিয়া আনে-বেশীক্ষণ ভাবিতে পারে না । কিন্তু আশাহীনের সুখ নাই, দুঃখ নাই, অথচ তৃপ্তি আছে । চোখ দিয়া জলও পড়ে, গভীরতা আছে- কিন্তু নিত্য নুতন করিয়া মর্ম্মভেদ করে না । হাল্কা মেঘের মত যথাতথা ভাসিয়া চলে । যেখানে বাতাস লাগে না, সেখানে দাড়ায়, আর যেখানে লাগে সেখান হইতে সরিয়া যায় । তন্ময় মন উদ্বেগহীন চিন্তায় একটা সার্থকতা লাভ করে ।
৭৯/ ভালবেসে শুধূ-হাতে ফিরে আসাটাই বড় যাতনা, তার পরে আবার নতুন করে ভালবাসতে যাওয়ার মত বিড়ম্বনা সংসারে আর নাই ।

৮০/ রাজ্য পাইতে চাও তো সহস্র লোকের দুঃখকে আপনার দুঃখ বলিয়া গ্রহণ করো, সহস্র লোকের বিপদকে আপনার বিপদ বলিয়া বরণ করো,সহস্র লোকের দারিদ্র্যকে আপনার দারিদ্র্য বলিয়া স্কন্ধে বহন করো – এ যে করে সে-ই রাজা, সে পর্ণকুটিরেই থাক আর প্রাসাদেই থাক ।


৮১/ যে ব্যক্তি সকল লোককে আপনার বলিয়া মনে করিতে পারে, সকল লোক তো তাহারই ।

৮২/ পৃথিবীর দুঃখ হরণ যে করে সেই পৃথিবীর রাজা ।

৮৩/ রাজাকে বধ করিয়া রাজত্ব মেলে না , পৃথিবীকে বশ করিয়া রাজা হইতে হয় ।
৮৪/ পাপের শেষ কোথায় গিয়া হয় কে জানে , পাপের একটি বীজ যেখানে পড়ে সেখানে দেখিতে দেখিতে গোপনে কেমন করিয়া সহস্র বৃক্ষ জন্মায় , কেমন করিয়া অল্পে অল্পে সুশোভন মানবসমাজ অরণ্যে পরিণত হইয়া যায় , তাহা কেহ জানিতে পারে না ।

৮৫/ দিনরাত প্রখর বুদ্ধিমানের সঙ্গে থাকিলে বুদ্ধি লোপ পায় । ছুরিতে অবিশ্রাম শান পড়িলে ছুরি ক্রমেই সুক্ষ হইয়া অর্ন্তধান করে । একটা মোটা বাট কেবল অবশিষ্ট থাকে ।

৮৬/ সুক্ষ বুদ্ধির একটা লক্ষণ এই যে , তাহা সহজ জিনিসকে শক্ত করিয়া তুলে ।

৮৭/ পৃথিবীতে বিস্তর বুদ্ধিমান না থাকিলে পৃথিবীর কাজ অনেকটা সোজা হইত । নানারূপ সুবিধা করিতে গিয়াই নানারূপ অসুবিধা ঘটে । অধিক বুদ্ধি লইয়া মানুষ কী করিবে ভাবিয়া পায় না ।

৮৮/ পাঁচটা আঙ্গুলেই বেশ কাজ চালিয়া যায় , দুর্ভাগ্যক্রমে সাতটা আঙ্গুল পাইলে ইচ্ছা করিয়া কাজ বাড়াইতে হয় ।

৮৯/ বিবাহ না করিয়া ঠকা ভালো , বিবাহ করিয়া ঠকিলেই মুশকিল ।

৯০/ সংসারে কঠিন কর্তব্য হইতে প্রেমকে ফুলের মতো ছিড়িয়া স্বতন্ত্র করিয়া লইলে, তাহা কেবল আপনার রসে আপনাকে সজীব রাখিতে পারে না, তাহা ক্রমেই বিমর্ষ ও বিকৃত হইয়া আসে ।

৯১/ ভালোবাসার উৎসবও কেবলমাত্র দুটি লোকের দ্বারা সম্পন্ন হয় না – সুখালাপের মিষ্টান্ন বিতরণের জন্য বাজে লোকের দরকার হয় ।

৯২/ সংসারে আপন – পর কেহই নাই । যে আপন মনে করে সেই আপন – যে পর বলিয়া জানে , সে আপন হইলেও পর ।

৯৩/ সোহাগের সঙ্গে রাগ না মিশিলে ভালোবাসার স্বাদ থাকে না – তরকারিতে লঙ্কামরিচের মতো ।





আগের পর্ব গুলো নিচের লিঙ্কে দেখুন ।


Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link


০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×