somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিলুপ্তপ্রায় অসাধারণ একটি দেশী শিল্পের কথা.....

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত শীতে গ্রামের বাড়ীতে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের আনন্দ করার একটা ছোট উপলক্ষকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু ছবি তুলে ফেললাম। অনেক অনেক ‍দিন পর এই জিনিসটা দেখলাম। জিনিসটার নাম “হাওয়াই বাজী” এর পর জিনিসটা নিয়ে লেখার প্রয়েজন অনুভব করলাম। এটা হয়তো অনেকেই চেনে না। হাওয়াই বাজী এক প্রকার নয়নাভিরাম দেশী FIRE WORKS । এটার উ্ৎপত্তি খেজুর গাছ প্রধান এলাকায়। প্রথমে খেজুর গাছের পাতার নিচের ছাল গুলি একত্র করা হয়। স্থানীয় ভাষায় এগুলোকে বলা হয় শর্পা। এরপর একটি বড় কচুপাতা সংগ্রহ করে খেজুর গাছের কাটা দিয়ে ছোট ছোট অনেক গুলি ফুটো করা হয়। হাওয়াই বাজী এর সৌন্দর্য নির্ভর করে সুক্ষ সুক্ষ ছিদ্রের উপর, সেই জন্যই খেজুরের কাটার ব্যাবহার। এরপর শর্পাগুলি পুড়িয়ে কচুপাতার মাঝে তোলা হয়।

তারপর পাতার চারপাশ দড়ি দিয়ে বেধে আস্তে আস্তে মাথার চার পাশ দিয়ে ঘোরানো হয়।

কচুপাতার ছিদ্রগুলি দিয়ে আস্তে আস্তে আগুনের ফুলকিগুলি বের হয়। এভাবেই সৃষ্টি হয় সুন্দর নয়নাভিরাম একটি দেশী FIRE WORK যার নাম "হাওয়াই বাজী।" হাওয়াই বাজী আমি নিজে দেখলাম অনেক বছর পর। এখন শেীর ভাগ গাছী আর খেজুর গাছ কাটতে চায় না। তাদের বংশধরেরাও পেশা বদল করে অন্যান্য পেশাকে জীবন ধারনের মাধ্যম হিসাবে নিচ্ছে। শর্পা সংগ্রহ ছোট ছোট শিশুদের জন্য এখন কষ্টসাধ্য ব্যাপার। একারনে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দেশীয় অসাধারন একটা শিল্প হাওয়াই বাজী।

আমার কাছে ক্যামেোটি থাকায় খুব সুন্দর ভাবে ছবিগুলি তোলা সম্ভব হয়। জানিনা অদুর ভবিষ্যতে হয়তো এই শিল্পটা হারিয়ে যাবে। তখন পরবর্তী প্রজন্মের কছে এই লেখাটি পৌছুলে তার হয়তো জানবে আমাদের দেশ একটি অসাধারন শিল্প ছিল যার নাম “হাওয়াই বাজী” এবং সেটি অনেক বিদেশী FIRE WORK থেকেও অনেক সুন্দর।



স্থানঃ মাগুরা।
ক্যামেরাঃ Nikon D 3200
সেটিংসঃ S. Speed : 1.3/s , F. Rate: 3.5, ISO: 3200, Without Flash
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২১
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×