অভিজিৎকে অপঘাতে মরতে হলো কেন? নাসিম বলছেন এটা মান্না ও খোকার ফোনালাপের ফসল। মেনে নিলাম। আর্থাৎ তিনি ভালকরেই জানেন কারা এসব করছে বা করাছে। দায় সারা গোছের ব্যাবস্থাও নিয়ে রেখেছেন পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব মোতায়েন আছে। যা মুলত কোন কাজেই আসছে না। মানুষকে পশুর মতো কুপিয়ে হত্যা করছে ধর্মিও জঙ্গিগোষ্ঠি কিন্তু যেটা করা দরকার সেটাই করতে পারছে না সরকার। রাষ্ট্রের অবকাঠামোগত দুর্বলতা গুলি চিহ্নিত করে সেগুলিকে কেটেছেটে বাদ দিলেই কিন্তু এদের বারবাড়ন্ত চিৎকারটা একটু কমে, না সেটা করা যাবে না। ভোটাররা বিগরে যেতে পারে। শতকরা নব্বই শতাংশ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ এদের মুল্যায়ন তো করতেই হবে। সেখানে বিশমিল্লাহ, রাষ্ট্রধর্ম বা ধর্মরাজনীতি না থাকলে কি শোভা পায়। মানুষের জন্য পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে এটা কে শেখাল আপনাকে। আদম ( আ : ) মুসলমান ছিলেন, বলেই আল্লাহ মুসলমানদের জন্য পৃথিবী র্নিমাণ করেছিলেন।
দাঙ্গা ফ্যাসাদ ও অপপ্রচার করে হিন্দু, খৃষ্টান ও নাসারারা পৃথিবীর বিরাট অংশ দখলে রাখলেও একদিন না একদিন পুরাবিশ্ব মুসমানদেরই হবে। এটা মুসলমান মাত্রই বিশ্বাস করে, তাই হয়তো বেছে বেছে বার বার মুক্তবুদ্ধির মানুষ গুলিকেই কতোল করা হচ্ছে। কিন্তু কেন? নিরিহ পাবলিক, হিন্দু ও নাস্তিক খেতাবধারীদেরই এই বিপদের মুখোমুখি হতে হয় কেন? এই প্রশ্নের উত্তরটা খুজতে গেলেই বিপদ। ধর্মরাষ্ট্র হি হি করে হেসে বলে উঠে এইগুলি সবই হচ্ছে আমাকে সমুন্নত রাখার জন্য। ধর্মরাজনীতি বলে ধুর বেকুব আমরাই তো তোকে জন্ম দিয়েছি। আমরা না থাকলে কি তোর অস্তিত্ব থাকত। এরশাদকে স্বপ্নটা আমরাই দেখিয়েছিলাম। এরশাদকে আমরাই বুঝিয়েছিলাম পরকালের শান্তি নিশ্চিত করতে হলে তাকে দীনের জন্য কিছু না কিছু করতে হবে। এখন আবার শেখ হাসিনার কাধে ভর করেছি। তিনি ধার্মিক ও সৎ। তিনি তার কথা রেখেছেন ধর্মনিরেপেক্ষতা সংবিধানে যুক্ত করলেও অন্য কিছুতে হাত দেননি। মৃত্যুভয় কার না আছে তাই তারও আছে সেই সুবাদে র্ধমনিরপেক্ষতার মুখে থু থু দিয়ে আমরা বেশ আছি। শেখ হাসিনা পাচওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। বাবার লাগানো চারাগাছটিতে জল না দিলেও অন্য গুলির যত্ন নেন। তার বেহেস্তের টিকিট ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। মৃত্যুর পর জান্নাত একহাজার ভাগ কনফ্রাম। অভিজিৎদের নিয়ে ভাববার সময় কই তার।
অতএব শেখ হাসিনাকে সর্বপ্রথম মানুষ হতে হবে তারপর তিনি উপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহন করতে পারবেন তার আগে নয়।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:২৯