somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

০ সরেজমিনঃ এক টুকরো বন্যার কবলে ০

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আপডেটেড ২৮-০৯-২০১৪
বিশেষভাবে দৃষ্টিআকর্ষণঃ
সম্মানিত ব্লগারদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অবগত করতে চাইছি। বন্যা সম্পর্কিত এই পোস্ট টি স্টিকি হউয়ার পূর্বে আমরা ব্লগার আমিনুর রহমান ভাই এবং ব্লগার মোস্তফা কামাল পলাশ ভাই এর পোস্ট দুটির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দ্বারা বগুড়ায় ত্রাণ বিতরণ সম্পন্ন করেছি। এই ক্ষেত্রে একটু বিশেষ ভাবে বলতে চাই, তখন হয়ত বন্যার্তদের জন্য আর্থিক ত্রাণ সংগ্রহের পোস্ট গুলো সবার দৃষ্টিগোচর হয় নি। বিধায় হাতে গোনা সম্মানিত ব্লগারদের অর্থ সাহায্য নিয়েই আমরা বগুড়ায় ত্রাণ বিতরণ সম্পন্ন করে এসেছি, যা হয়ত আরও বিস্তৃত ভাবে সম্ভব হত; যদি পোস্ট গুলো আমাদের সকল ব্লগারদের দৃষ্টিগোচর হত। এখনও বন্যা পরবর্তী আমাদের কিছু পরিকল্পনা আছে, যা আমরা বিস্তারিত ভাবে জানানোর চেষ্টা করব।
সেক্ষেত্রে যারা প্রথমবার সুযোগ পান নি, তাদের কে সাধ্যমত অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।


আপডেট ৮
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সম্মানিত ব্লগার বিকাশে আমাদের ১০০০ টাকা পাঠিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সম্মানিত ব্লগার বিকাশে আমাদের ১০২০ টাকা পাঠিয়েছেন। ২৮-০৯-২০১৪

আপডেট ৭
আমাদের কার্যক্রম ও সামনে বন্যা পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সম্মানিত ব্লগার আমিনুর রহমান ভাই এর কমেন্ট টি প্রায় হুবহ তুলে ধরছি -
গতকাল আমরা ব্লগাররা সারিয়াকান্দি'র কুতুবপুর ইউনিয়নের ঘুঘুমারী দাসপাড়া গ্রামের ৫০টি পরিবারের মাঝে ৪৭ পরিবারের কাছে ত্রান অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে বিতরন করতে পেরেছি। ত্রান বিতরন হচ্ছে শুনে দূর দূর গ্রাম থেকে অনেকে ত্রান বিতরণ স্থানে এসে বিশৃঙ্খলা তৈরি করায় এবং ফলে যথা দ্রুত ঐ স্থান ত্যাগ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়ার কারনে গ্রামের বাকি তিন পরিবারের হাতে ত্রান পৌঁছে দিতে পারিনি। অবশিষ্ট থাকা অন্য ৩ পরিবারকে বিতরন করে দিয়েছি। আমরা সবাই ভালো আছি ও সুস্থ আছি।
( ২০-০৯-২০১৪)

বিতরণকৃত ত্রানঃ (প্রতি পরিবার হিসেবে)

১। ১০ কেজি চাল
২। ১ কেজি ডাল
৩। ১ কেজি সয়াবিন তেল
৪। ২ কেজি চিড়া
৫। ১ কেজি গুড়
৬। ১ কেজি লবন
৭। ১২ প্যাকেট ওরস্যালাইন
৮। ৫ পাতা হ্যালোটাব
৯। ২ টি মোম
১০। ২৫০ গ্রাম সরিষার তৈল
১১। ৪ টি সাবান
১২। ১২টি ম্যাচ


টাকার পরিমান ছিলো সর্বমোটঃ ৪৭,৭২২.১৯ (সাত চল্লিশ হাজার সাতশ বাইশ টাকা উনিশ পয়সা) যাহার মধ্যে বিকাশে ১১,৭০০ টাকা, প্রবাসী ব্লগার ও ব্লগার মোস্তফা কামাল পলাশ এর নিজস্ব সংগ্রহ সহ পেপাল থেকে পাওয়া টাকার পরিমাণ ছিলো ৩৫.০২২.১৯ টাকা। এবং আমার কাছে পাঠানো এক ব্লগারের ১০০০ টাকা। উল্লেখ্য আমাদের প্রবাসী এক ব্লগার পেপালে ২০৭ কানাডিয়ান ডলার পাঠিয়েছিলেন।

আপডেট ৬
আমাদের বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের অর্থ সাহায্য করতে পারেন।

বিকাশে টাকা পাঠাতেঃ
০১৯১২৮০২৫৮৬ (পার্সোনাল)

ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাতে চাইলেঃ

Ovaidul Haque
A/C: 1711050019505
Dutch Bangla Bank Ltd.

পে-পালের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য নিম্নলিখিত ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করতে পারেন:

Bangladesh Disaster Aid and Rehabilitation
E-mail : [email protected]

আপডেট ৫
আজ রাতে ঢাকা থেকে বগুড়ার উদ্দেশ্যে সামু ব্লগের ব্লগারদের একটি টিম রওয়ানা হচ্ছে। ( ১৮-০৯-২০১৪)

আপডেট ৪
ন্যাড়া আবারও বেল তলায় যেতে আগ্রহী: বন্যা দুর্গত মানুষদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসুন - ব্লগার মোস্তফা কামাল পলাশ
ইসলামপুরের বন্যা দুর্গত মানুষদের পাশে দারানোর আবেদন - ব্লগার আত্তয়াজ
বন্যা কবলীত পরবর্তী বাংলাদেশ ও আমাদের ভাবনা - ব্লগার আফরিন জাহান

আপডেট ৩
বন্যাপীড়িত মানুষের সাহায্যার্থে - রাইচ বাকেট চ্যালেঞ্জ - ব্লগার আমিনুর রহমান

আপডেট ২
রাইচ বাকেট চ্যালেঞ্জঃ হতে পারে বিন্দু থেকে সিন্ধু (আপডেটঃ ০৩) - ব্লগার মৃদুল শ্রাবন

আপডেট ১
ব্লগার বোকা মানুষ বলতে চায় ভাইএর স্মৃতি
চারণ মুলক পোস্ট বন্যা, ত্রান, মানবতা এবং করনীয় বাস্তবতা’র স্মৃতিচারণ। তে নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রান বিতরণের জন্য চমৎকার কিছু দিক নির্দেশনা এসেছে।



বন্যার কড়াল গ্রাসে ডুবে গেছে বিস্তীর্ণ জনপদ......
না; এ ধরণের বর্ণনায় শুরু করব না আজকের পোস্ট টা। আজকে যত টুকু না বলার আছে, তার চেয়ে বেশি আছে কিছু দেখাবার। হয়ত আমরা
মাঝে মাঝেই টিভি বা পত্রিকায় এমন দেখে থাকি, তবু ও।


গত ২ তারিখে শ্রদ্ধেয় ব্লগার আমিনুর রহমান ভাইয়ের ফোন পেলাম। তিনি জানালেন, বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য কিছু করতে হবে। বরাবরের মতই
বিভিন্ন সময়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগ গ্রহণে এগিয়ে এসেছেন আমিনুর ভাই।


সৌভাগ্যবশত আমি বগুড়ায় থাকার কারনে, এর পর দিন চলে গেলাম বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানার বন্যা পরিস্থিতি দেখতে। সহযাত্রী হিসেবে ছিল বন্ধু রিয়াল।


সারিয়াকান্দি থানার কুতুবপর বাজারের উদ্দেশ্যে সিএনজি তে চড়লাম। সিএনজি নামিয়ে দিল কুতুবপুর বাজারের প্রায় আধা কিমি আগে। নেমেই ভ্যাবাচ্যাকা
খেয়ে গেলাম।



পানিতে আমার বেশ ভয়। সামনে এক হাঁটু পানি। আশে পাশের বাড়িগুলো তে মানুষ নেই। রাস্তা কোনটা, আর রাস্তার পাশের জমি কোনটা বুঝতে পারছিলাম না।




ধীরে ধীরে একটু সামনে যাচ্ছিলাম, বেশ ভালই স্রোত ছিল। রাস্তার একটা জায়গায় ভাঙ্গা অংশের ওপর বাঁশের ব্রিজ বানিয়ে জনপ্রতি দুই টাকা করে পারাপারের ভাড়া নিতে দেখলাম এক বৃদ্ধকে।




কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চারপাশে দুই তিন ফুট পানি। পরিষদের সামনে থেকে নৌকা নোঙর করছে।




আমরা এখান থেকে নৌকায় উঠলাম।













আশে পাশের বাড়ি ঘর গুলোর কোমর সমান পানির নিচে।




বাঁধটির নাম চন্দনবাইশা বাঁধ। রহদহ নামক এই জায়গায় বাঁধটি ভেঙ্গে গেছে।




ভাঙ্গা অংশের সামনে একটি বালুর বস্তা বোঝাই নৌকার বস্তা।






বাধের ওপর আশ্রিত দের ঘরবাড়ি।




বাঁধের ওপর আশ্রিত দের একজন রান্না করছেন।




চন্দনবাইশা হাইস্কুল।




এই গাছের সারির মাঝখান দিয়ে ছিল রাস্তা, রাস্তার এক প্রান্তে দাসপাড়া।




ঘুঘুমারি ইউনিয়নের দাশ পাড়া গ্রামের একটি পরিবার কে দেখা যাচ্ছে আশ্রয় নিয়েছেন বাঁশের তৈরি মাচার ওপর।



আমরা বাঁধে আশ্রিত দের সাথে কথা বলে জেনেছি, ব্যক্তিগত অল্প কিছু সাহায্য তারা পেয়েছেন। কিন্তু সেই ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে অনিয়ন্ত্রিতভাবে। বাঁধের কাছে এসে ত্রাণ ছুঁড়ে দেয়া হয়েছে দুর্গত দের মাঝে।

তবে তারা এও জানিয়েছেন, বগুড়া শহর ও গাজীপুর থেকে কিছু ছাত্র এসে ত্রাণ বিতরণ করে গেছেন। তারা খুব সুন্দরভাবে ত্রাণ বিতরণ করে গেছেন বিধায় সবাই সুস্টভাবে পেয়েছেন। তাদের প্রতি এই ব্লগ থেকে জানাই অশেষ শ্রদ্ধা।

বেসরকারি এক ব্যাংকের অল্প কিছু লোক দেখান ত্রাণ বিতরণের কথা ও আমরা জেনেছি। নাম উল্লেখ করতে চাইছি না।
আমরা আমাদের প্রতিবেদনে সরকারি ত্রাণের ব্যাপারে খুব বেশি সন্তোষজনক কিছু পাই নি, এমনকি বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছি বলে আমরা বিষয় টাকে সযতনে এড়িয়ে যাচ্ছি। এখানে অভিযোগকারিরা বাড়িয়ে মিথ্যা বলছেন, নাকি অভিযুক্তরা কোন অনিয়মে জড়িত তা নিয়ে বিতর্কের কোন সুযোগ বা উদ্দেশ্য আমাদের নেই।

আমাদের উদ্দেশ্য কাওকে ছোট বা বড় করা নয়। দেশের নানা প্রান্তে বন্যার্ত মানুষদের মাঝে একটা ক্ষুদ্র জায়গার মানুষদের দুর্ভোগ সম্পর্কে সবাইকে বিস্তারিত অবহিত করার চেষ্টা করছি মাত্র। চাইলে পোস্টে নানা ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তুলে ধরা সম্ভব ছিল, সেই বিষয় টাকে আপাতত মিডিয়ার হাতেই ছেড়ে দিচ্ছি।

বন্যাদুর্গত মানুষ গুলো ভেবেছিলেন, আমরা তাদের জন্য ত্রাণ দিতে এসেছি। তারা অনেক বা পুরোটা সময় আমাদের পাশে জটলা করে ছিলেন। তাদের চোখে খাদ্য, নিরাপদ পানি, শান্তির অনিশ্চয়তা। আমরা তাদের বলেছি, আমরা শুধু আপনাদের অবস্থা কিছু হৃদয়বান
মানুষদের কাছে জানানোর জন্য এসেছি। যদি আল্লাহ সহায় হন, তো দেখা হতে ও পারে।



এই ভিডিও প্রতিবেদনে আমরা তাদের অবস্থা কিছুটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ।

বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ব্লগে এসেছে ব্লগার মৃদুল শ্রাবণ ভাই এর পোস্ট, রাইচ বাকেট চ্যালেঞ্জঃ হতে পারে বিন্দু থেকে সিন্ধু (আপডেটঃ ০৩)

ব্লগার দের প্রতি সাহায্যের আবেদনে জানিয়ে অনলাইন জগতের একটা চমৎকার আইডিয়া নিয়ে সাহায্য সংগ্রহ পোস্ট দিয়েছেন, ব্লগার আমিনুর ভাই- বন্যাপীড়িত মানুষের সাহায্যার্থে - রাইচ বাকেট চ্যালেঞ্জ

সেখানে আমাদের অনেক প্রিয় ব্লগাররা ও যথেষ্ট সমর্থন দিয়ে সাধ্যমত সহায়তা করছেন।



সামু সব সময় দুর্যোগ ও নানা দুর্ভোগ কবলিত অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সেই ধারা এবারও বজায় থাকবে।

ভিডিও প্রতিবেদনে আমার বন্ধু রিয়াল সরকার এবং বিশেষ ভাবে বন্ধু ইস্তি আজিজুল হকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। বিশেষভাবে দৃষ্টিআকর্ষণঃ
সম্মানিত ব্লগারদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অবগত করতে চাইছি। বন্যা সম্পর্কিত এই পোস্ট টি স্টিকি হউয়ার পূর্বে আমরা ব্লগার আমিনুর রহমান ভাই এবং ব্লগার মোস্তফা কামাল পলাশ ভাই এর পোস্ট দুটির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দ্বারা বগুড়ায় ত্রাণ বিতরণ সম্পন্ন করেছি। এই ক্ষেত্রে একটু বিশেষ ভাবে বলতে চাই, তখন হয়ত বন্যার্তদের জন্য আর্থিক ত্রাণ সংগ্রহের পোস্ট গুলো সবার দৃষ্টিগোচর হয় নি। বিধায় হাতে গোনা সম্মানিত ব্লগারদের অর্থ সাহায্য নিয়েই আমরা বগুড়ায় ত্রাণ বিতরণ সম্পন্ন করে এসেছি, যা হয়ত আরও বিস্তৃত ভাবে সম্ভব হত; যদি পোস্ট গুলো আমাদের সকল ব্লগারদের দৃষ্টিগোচর হত। এখনও বন্যা পরবর্তী আমাদের কিছু পরিকল্পনা আছে, যা আমরা বিস্তারিত ভাবে জানানোর চেষ্টা করব।
সেক্ষেত্রে যারা প্রথমবার সুযোগ পান নি, তাদের কে সাধ্যমত অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।


আপডেট ৮
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সম্মানিত ব্লগার বিকাশে আমাদের ১০০০ টাকা পাঠিয়েছেন।

আপডেট ৭
আমাদের কার্যক্রম ও সামনে বন্যা পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সম্মানিত ব্লগার আমিনুর রহমান ভাই এর কমেন্ট টি প্রায় হুবহ তুলে ধরছি -
গতকাল আমরা ব্লগাররা সারিয়াকান্দি'র কুতুবপুর ইউনিয়নের ঘুঘুমারী দাসপাড়া গ্রামের ৫০টি পরিবারের মাঝে ৪৭ পরিবারের কাছে ত্রান অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে বিতরন করতে পেরেছি। ত্রান বিতরন হচ্ছে শুনে দূর দূর গ্রাম থেকে অনেকে ত্রান বিতরণ স্থানে এসে বিশৃঙ্খলা তৈরি করায় এবং ফলে যথা দ্রুত ঐ স্থান ত্যাগ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়ার কারনে গ্রামের বাকি তিন পরিবারের হাতে ত্রান পৌঁছে দিতে পারিনি। অবশিষ্ট থাকা অন্য ৩ পরিবারকে বিতরন করে দিয়েছি। আমরা সবাই ভালো আছি ও সুস্থ আছি।
( ২০-০৯-২০১৪)

বিতরণকৃত ত্রানঃ (প্রতি পরিবার হিসেবে)

১। ১০ কেজি চাল
২। ১ কেজি ডাল
৩। ১ কেজি সয়াবিন তেল
৪। ২ কেজি চিড়া
৫। ১ কেজি গুড়
৬। ১ কেজি লবন
৭। ১২ প্যাকেট ওরস্যালাইন
৮। ৫ পাতা হ্যালোটাব
৯। ২ টি মোম
১০। ২৫০ গ্রাম সরিষার তৈল
১১। ৪ টি সাবান
১২। ১২টি ম্যাচ


টাকার পরিমান ছিলো সর্বমোটঃ ৪৭,৭২২.১৯ (সাত চল্লিশ হাজার সাতশ বাইশ টাকা উনিশ পয়সা) যাহার মধ্যে বিকাশে ১১,৭০০ টাকা, প্রবাসী ব্লগার ও ব্লগার মোস্তফা কামাল পলাশ এর নিজস্ব সংগ্রহ সহ পেপাল থেকে পাওয়া টাকার পরিমাণ ছিলো ৩৫.০২২.১৯ টাকা। এবং আমার কাছে পাঠানো এক ব্লগারের ১০০০ টাকা। উল্লেখ্য আমাদের প্রবাসী এক ব্লগার পেপালে ২০৭ কানাডিয়ান ডলার পাঠিয়েছিলেন।

আপডেট ৬
আমাদের বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের অর্থ সাহায্য করতে পারেন।

বিকাশে টাকা পাঠাতেঃ
০১৯১২৮০২৫৮৬ (পার্সোনাল)

ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাতে চাইলেঃ

Ovaidul Haque
A/C: 1711050019505
Dutch Bangla Bank Ltd.

পে-পালের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য নিম্নলিখিত ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করতে পারেন:

Bangladesh Disaster Aid and Rehabilitation
E-mail : [email protected]

আপডেট ৫
আজ রাতে ঢাকা থেকে বগুড়ার উদ্দেশ্যে সামু ব্লগের ব্লগারদের একটি টিম রওয়ানা হচ্ছে। ( ১৮-০৯-২০১৪)

আপডেট ৪
ন্যাড়া আবারও বেল তলায় যেতে আগ্রহী: বন্যা দুর্গত মানুষদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসুন - ব্লগার মোস্তফা কামাল পলাশ
ইসলামপুরের বন্যা দুর্গত মানুষদের পাশে দারানোর আবেদন - ব্লগার আত্তয়াজ
বন্যা কবলীত পরবর্তী বাংলাদেশ ও আমাদের ভাবনা - ব্লগার আফরিন জাহান

আপডেট ৩
বন্যাপীড়িত মানুষের সাহায্যার্থে - রাইচ বাকেট চ্যালেঞ্জ - ব্লগার আমিনুর রহমান

আপডেট ২
রাইচ বাকেট চ্যালেঞ্জঃ হতে পারে বিন্দু থেকে সিন্ধু (আপডেটঃ ০৩) - ব্লগার মৃদুল শ্রাবন

আপডেট ১
ব্লগার বোকা মানুষ বলতে চায় ভাইএর স্মৃতি
চারণ মুলক পোস্ট বন্যা, ত্রান, মানবতা এবং করনীয় বাস্তবতা’র স্মৃতিচারণ। তে নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রান বিতরণের জন্য চমৎকার কিছু দিক নির্দেশনা এসেছে।



বন্যার কড়াল গ্রাসে ডুবে গেছে বিস্তীর্ণ জনপদ......
না; এ ধরণের বর্ণনায় শুরু করব না আজকের পোস্ট টা। আজকে যত টুকু না বলার আছে, তার চেয়ে বেশি আছে কিছু দেখাবার। হয়ত আমরা
মাঝে মাঝেই টিভি বা পত্রিকায় এমন দেখে থাকি, তবু ও।


গত ২ তারিখে শ্রদ্ধেয় ব্লগার আমিনুর রহমান ভাইয়ের ফোন পেলাম। তিনি জানালেন, বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য কিছু করতে হবে। বরাবরের মতই
বিভিন্ন সময়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগ গ্রহণে এগিয়ে এসেছেন আমিনুর ভাই।


সৌভাগ্যবশত আমি বগুড়ায় থাকার কারনে, এর পর দিন চলে গেলাম বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানার বন্যা পরিস্থিতি দেখতে। সহযাত্রী হিসেবে ছিল বন্ধু রিয়াল।


সারিয়াকান্দি থানার কুতুবপর বাজারের উদ্দেশ্যে সিএনজি তে চড়লাম। সিএনজি নামিয়ে দিল কুতুবপুর বাজারের প্রায় আধা কিমি আগে। নেমেই ভ্যাবাচ্যাকা
খেয়ে গেলাম।



পানিতে আমার বেশ ভয়। সামনে এক হাঁটু পানি। আশে পাশের বাড়িগুলো তে মানুষ নেই। রাস্তা কোনটা, আর রাস্তার পাশের জমি কোনটা বুঝতে পারছিলাম না।




ধীরে ধীরে একটু সামনে যাচ্ছিলাম, বেশ ভালই স্রোত ছিল। রাস্তার একটা জায়গায় ভাঙ্গা অংশের ওপর বাঁশের ব্রিজ বানিয়ে জনপ্রতি দুই টাকা করে পারাপারের ভাড়া নিতে দেখলাম এক বৃদ্ধকে।




কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চারপাশে দুই তিন ফুট পানি। পরিষদের সামনে থেকে নৌকা নোঙর করছে।




আমরা এখান থেকে নৌকায় উঠলাম।













আশে পাশের বাড়ি ঘর গুলোর কোমর সমান পানির নিচে।




বাঁধটির নাম চন্দনবাইশা বাঁধ। রহদহ নামক এই জায়গায় বাঁধটি ভেঙ্গে গেছে।




ভাঙ্গা অংশের সামনে একটি বালুর বস্তা বোঝাই নৌকার বস্তা।






বাধের ওপর আশ্রিত দের ঘরবাড়ি।




বাঁধের ওপর আশ্রিত দের একজন রান্না করছেন।




চন্দনবাইশা হাইস্কুল।




এই গাছের সারির মাঝখান দিয়ে ছিল রাস্তা, রাস্তার এক প্রান্তে দাসপাড়া।




ঘুঘুমারি ইউনিয়নের দাশ পাড়া গ্রামের একটি পরিবার কে দেখা যাচ্ছে আশ্রয় নিয়েছেন বাঁশের তৈরি মাচার ওপর।



আমরা বাঁধে আশ্রিত দের সাথে কথা বলে জেনেছি, ব্যক্তিগত অল্প কিছু সাহায্য তারা পেয়েছেন। কিন্তু সেই ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে অনিয়ন্ত্রিতভাবে। বাঁধের কাছে এসে ত্রাণ ছুঁড়ে দেয়া হয়েছে দুর্গত দের মাঝে।

তবে তারা এও জানিয়েছেন, বগুড়া শহর ও গাজীপুর থেকে কিছু ছাত্র এসে ত্রাণ বিতরণ করে গেছেন। তারা খুব সুন্দরভাবে ত্রাণ বিতরণ করে গেছেন বিধায় সবাই সুস্টভাবে পেয়েছেন। তাদের প্রতি এই ব্লগ থেকে জানাই অশেষ শ্রদ্ধা।

বেসরকারি এক ব্যাংকের অল্প কিছু লোক দেখান ত্রাণ বিতরণের কথা ও আমরা জেনেছি। নাম উল্লেখ করতে চাইছি না।
আমরা আমাদের প্রতিবেদনে সরকারি ত্রাণের ব্যাপারে খুব বেশি সন্তোষজনক কিছু পাই নি, এমনকি বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছি বলে আমরা বিষয় টাকে সযতনে এড়িয়ে যাচ্ছি। এখানে অভিযোগকারিরা বাড়িয়ে মিথ্যা বলছেন, নাকি অভিযুক্তরা কোন অনিয়মে জড়িত তা নিয়ে বিতর্কের কোন সুযোগ বা উদ্দেশ্য আমাদের নেই।

আমাদের উদ্দেশ্য কাওকে ছোট বা বড় করা নয়। দেশের নানা প্রান্তে বন্যার্ত মানুষদের মাঝে একটা ক্ষুদ্র জায়গার মানুষদের দুর্ভোগ সম্পর্কে সবাইকে বিস্তারিত অবহিত করার চেষ্টা করছি মাত্র। চাইলে পোস্টে নানা ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তুলে ধরা সম্ভব ছিল, সেই বিষয় টাকে আপাতত মিডিয়ার হাতেই ছেড়ে দিচ্ছি।

বন্যাদুর্গত মানুষ গুলো ভেবেছিলেন, আমরা তাদের জন্য ত্রাণ দিতে এসেছি। তারা অনেক বা পুরোটা সময় আমাদের পাশে জটলা করে ছিলেন। তাদের চোখে খাদ্য, নিরাপদ পানি, শান্তির অনিশ্চয়তা। আমরা তাদের বলেছি, আমরা শুধু আপনাদের অবস্থা কিছু হৃদয়বান
মানুষদের কাছে জানানোর জন্য এসেছি। যদি আল্লাহ সহায় হন, তো দেখা হতে ও পারে।



এই ভিডিও প্রতিবেদনে আমরা তাদের অবস্থা কিছুটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ।

বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ব্লগে এসেছে ব্লগার মৃদুল শ্রাবণ ভাই এর পোস্ট, রাইচ বাকেট চ্যালেঞ্জঃ হতে পারে বিন্দু থেকে সিন্ধু (আপডেটঃ ০৩)

ব্লগার দের প্রতি সাহায্যের আবেদনে জানিয়ে অনলাইন জগতের একটা চমৎকার আইডিয়া নিয়ে সাহায্য সংগ্রহ পোস্ট দিয়েছেন, ব্লগার আমিনুর ভাই- বন্যাপীড়িত মানুষের সাহায্যার্থে - রাইচ বাকেট চ্যালেঞ্জ

সেখানে আমাদের অনেক প্রিয় ব্লগাররা ও যথেষ্ট সমর্থন দিয়ে সাধ্যমত সহায়তা করছেন।



সামু সব সময় দুর্যোগ ও নানা দুর্ভোগ কবলিত অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সেই ধারা এবারও বজায় থাকবে।

ভিডিও প্রতিবেদনে আমার বন্ধু রিয়াল সরকার এবং বিশেষ ভাবে বন্ধু ইস্তি আজিজুল হকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪২
৭২টি মন্তব্য ৬৯টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজকের ডায়েরী- ১৩৯

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৪১

ছবিঃ আমার তোলা।

আজকে সাত রোজা।
সময় আসলে অনেক দ্রুত যায়। গতকাল সুরভি আর ফারাজাকে নিয়ে গিয়েছিলাম শপিং করতে। কারন আমি জানি, ১৫ রোজার পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্বাসীকে লজিকের কথা বলার দরকার কি?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:১৭




হনুমান দেবতা এবং বোরাকে কি লজিক আছে? ধর্ম প্রচারক বলেছেন, বিশ্বাসী বিশ্বাস করেছেন ঘটনা এ পর্যন্ত। তাহলে সবাই অবিশ্বাসী হচ্ছে না কেন? কারণ অবিশ্বাসী বিশ্বাস করার মত কিছু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভাবছিলাম ২ লক্ষ ব্লগ হিট উপলক্ষে ব্লগে একটু ফান করব আড্ডা দিব, কিন্তু এক কুৎসিত অপব্লগার সেটা হতে দিলোনা।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৫



এটি ব্লগে আমার ২৬০ তম পোস্ট। এবং আজকে আমার ব্লগের মোট হিট ২০০০০০ পূর্ণ হয়েছে। আমি আনন্দিত।এই ছোট ছোট বিষয় গুলো সেলিব্রেট করা হয়তো ছেলে মানুষী। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শয়তান বন্দি থাকলে শয়তানি করে কে?

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২০



রমজানে নাকি শয়তানকে বেধে রাখা হয়,তাহলে শয়তানি করে কে?

বহুদিন পর পর ব্লগে আসি এটা এখন অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। বেশ কিছু বয়স্ক, মুরুব্বি, সম বয়সি,অল্প বয়সি একটিভ কিছু ব্লগার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কট বাঙালি

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২৪



কদিন পরপরই আমাদের দেশে বয়কটের ঢল নামে । অবশ্য তাতে খুব একটা কাজ হয় না । বাঙালির জোশ বেশি দিন থাকে না । কোন কিছু নিয়েই বাঙালি কখনই একমত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×