বিলুপ্ত ছিটমহলের ১০০ র বেশী মানুষ জন্মভূমিকে প্রণাম করে কেঁদে এবং কাঁদিয়ে ভারত চলে গেছেন।
কারণ শৈশব কৈশোর কাটানো এই জন্মভূমিকে তারা পরিবার নিয়ে ভবিষ্যতে থাকার জন্য নিরাপদ ভাবছেন না।
তবে যে দেশে গেলেন সে দেশের সংখ্যালঘুদের কি অবস্থা। আজ পত্রিকায় এসেছে যে সে দেশের জনপ্রিয় তারকা আমির খান সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে পরিবার নিয়ে দেশ ত্যাগ করার কথা ভাবছেন।
ভারতে বর্তমানে জনপ্রিয় তিন নায়কই মুসলমান যাদের পিছনে সেদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে। এই নায়করা ধর্ম কতটুকু পালন করেন জানি না তবে এনারা কেউ ধর্ম ত্যাগ করেন নি। অসহিষ্ণুতা নিয়ে এনারা মন্তব্য করেছেন। প্রখ্যাত অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ বলেছেন যে ধর্মীয়ভাবে আগে কখনো মূল্যায়িত হন নি। মন্তব্য করে খুব একটা শান্তিতে নাই তারা। ক্ষমতাশীন রাজনৈতিক দল দিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন।
আমি জানি না ভারতের এইসব মানুষরা দেশ ত্যাগ করে যেসব দেশে যাওয়ার কথা ভাবছেন সেসব দেশে সংখ্যালঘুর অবস্থা কেমন।
প্যারিসে হামলা হওয়ার পর সংখ্যালঘুদের শরণার্থী শিবিরে আগুন দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এশিয়ান মুসলমানদের অবস্থা শাহরুখ খান 'my name is khan ' ছবিতে অভিনয় করে দেখিয়েছেন।
আমি কুয়োর ব্যাঙ। কোথাও যাওয়া হয় না। জানার জন্য গণমাধ্যমই ভরসা। সেই প্রিন্ট আর ইলেকট্রনিক মিডিয়া আর সিনেমা দেখে মনে হয় - সংখ্যালঘুদের জন্য কোনো দেশই আনন্দের না সংবিধানে যতই গণতন্ত্র লেখা থাকুক।
শৈশবটা ভালই কেটেছে
মাঝেমধ্যে ঝগড়ার তুঙ্গে কেউ কাদা ছুড়েছে
ঘরে ঢুকতেই সব ভুলে যেতাম মমতার আবরণে
নতুন দিনের ভোরে আবার শুরু আনন্দের
কৈশোর ও গেল না মন্দ
কাদা মুছতে হত কষ্ট
তারমাঝেই নানান ভালো লাগার ছোয়া লাগতো মনে
মাঝেমধ্যে দেহ শিউরে উঠতো ভালবাসার নোনা জলে
এখন আর কিছুই লাগে না ভালো
একা ঘরে শুধাই, সৃষ্টিকর্তা বলো
স্বেচ্ছায় তো আর যায় না জন্ম নেওয়া
কর্তার ইচ্ছেতেই কোন এক দেশের বাবা মা র কাছে আসা
আর তাতেই কর্তার সংখ্যাগুরু সৃষ্টিরা নাখোশ
কর্তা তুমিই বল এতে আমার কি দোষ
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৩