somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সরকারের এখন বিদ্যুৎ এর বদলে বৃষ্টি উৎপাদনের চেষ্টা করা উচিত

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আপনারা যে বিদ্যুৎ বইলা চিল্লান সেই বিদ্যুৎ কত পার্সেন্ট লোক ব্যবহার করে? বিদ্যুৎ আপনাদের ঠান্ডা করতে পারবে ঘরের মধ্যে, কিন্তু ঘরের বাইরে কে আপনাদের বাঁচাবে! সেইখানে আল্লাহতায়ালা তো বিশাল একখান দোযখ ফিট কইরা রাখছে সাত আসমানে। সেইটা থাইক্কা ভুরভুর কইরা তাপ বাইরাইতে থাকে। আমি সিউর, পনের কোটি মানুষের মধ্যে কমপক্ষে ৭ কোটি মানুষ দিনের বেলায় ঘরের বাইরে থাকে। এবং সবার কোন কাম নাই। চারআনার কামও নাই। রাস্তায় মানুষ দেইখা মনে হয় এই সাত কোটি মানুষই রাস্তায় ভিড় কইরা দাড়াইয়া থাকে। আরও মনে হয় কমপক্ষে ৩কোটি মানুষ তো হইবে সন্ধ্যার পরে শাহবাগ থেকে কাকলী পর্যন্ত রাজপথে গাড়ীতে ঝুইল্লা, শুইয়া ও বইসা পাঠাচোদার মত গাব খাইতে থাকে। মিরপুর দশ নম্বরে রাইত এগারোটা পর্যন্ত কমপক্ষে একশোকোটি মানুষ মনে হয় জ্যামে আইটকা থাকে। গরমের মধ্যে সিদ্ধ হইতে থাকা মানুষগুলার দীর্ঘ অপেক্ষা দেইখা জনসংখ্যা সেইরকম মনে হয়।

যা কইতেছিলাম এই যে বাইরে মানুষগুলা থাকে তাদের কারেন্ট দিয়া কি হইবে? তাদের পাছায় তো একটা কইরা এসি লাগানো নাই যে বিদ্যুৎ পাইলেই সে ঠান্ডা হইয়া যাইবে। কাজেই তাদের জন্য একটা বৃষ্টি দরকার। ধুপাইন্না বৃষ্টি, ঝড়-বৃষ্টি - একদম ফাডাইয়া হালানো বৃষ্টি....।

কিন্তু সরকার কি সেজন্য কিছু করছে? বিদ্যুত নিয়া তারা ব্যস্ত - কিন্তু বৃষ্টির জন্য কোন প্রচেষ্টা দেখতেছি না, কোন মিটিং নাই, সুশীলদের টকশো নাই, পাবলিকের আন্দোলন নাই। অথচ সাধারণ মানুষ যারা ঘরের মধ্যেই থাকে না - তাদের জন্য তো সরকারের বৃষ্টি উৎপাদন বা বর্ষানোর চেষ্টা করা উচিত। আর এটা এমন না যে - এর জন্য কোনো প্লান্ট বসানো লাগবে। আসমানে একজন পুরা মাল রেডি কইরা বইসা আছে। শুধু তার একটু হাত-পা ধরতে হবে। সরকার সৌদি আরব গেল, আরেকটু উপরে গেলে তো বিনাপয়সায় এই সাহায্যটা হস্তগত কইরা আনতে পারতো! আর বৃষ্টি হইল বিদ্যুত এরও দরকার হইবে না ঘরের মধ্যে। বাইরে যদি ঠান্ডা থাকে, ঘরও ঠান্ডা থাকবে - এইটা তো সোজা হিসাব।
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×