এই ভুল তথ্যটি বাচ্চাদের পাঠ্যবইতে এখনো শেখানো হয়, বুদ্ধিজীবিরা গর্বভরে এনিয়ে পত্রপত্রিকার সম্পাদকীয় উপসম্পাদকীয়ের পাতা ভরিয়ে ফেলেন এবং এই ব্লগেও কিছু সংখ্যক পোষ্টে এধরনের প্রবনতা লক্ষ করছি। প্রকৃতক্ষে পৃথিবীতে বাংলাদেশের বাঙালীরাই একমাত্র জাতি নয় যারা আপন মাতৃভাষার জন্য জীবন দিয়েছে এবং বুকের রক্ত ঝরিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি -
(১) ১৯৬১ সালের ১৯ মে আসামের শিলচরে বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শহীদ হোন বিশ্বের প্রথম নারী ভাষাশহীদ কমলা ভট্টাচার্যসহ ১১ জন ভাষাবিপ্লবী। আসামে ১৯ মে এখনও ভাষাদিবস পালন করা হয়।
বিস্তারিত দেখুন:
১৯শে মে - সূর্য্য দিবস
আজ ১৯শে মে। ১৯৬১ সালের এই দিনে মাতৃভাষা বাংলার জন্য শহীদ হয়েছিলেন ১১ জন ভাষাবিপ্লবী।
(২) বরাক উপত্যকাতেই বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষার স্বীকৃতির আন্দোলনে ১৯৯৬ সালের ১৬ মার্চ শহীদ হোন বিশ্বের দ্বিতীয় নারী ভাষাশহীদ সুদেষ্ণা সিংহ। ঐদিন পুলিশের গুলিতে আহত হোন সহস্রাধিক বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষাযোদ্ধা। শহীদ সুদেষ্ণার স্মরণে ভারত ও বাংলাদেশের মণিপুরীরা ১৬ মার্চ ভাষাদিবস পালন করে থাকে।
বিস্তারিত দেখুন:
বাংলা উইকিপিডিয়া / সুদেষ্ণা সিংহ
আজ ১৬ই মার্চ । শহীদ সুদেষ্ণা দিবস ।
বাংলাদেশের সকল জনগনের রাষ্ট্রের সংবিধান কেবল বাংলা ভাষাকেই রাষ্ট্রের একমাত্র সাংবিধানিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। উপরন্তু রাষ্ট্র, প্রচারমাধ্যম ও প্রকাশনাগুলো পৃথিবীর ভাষাসংগ্রামের ইতিহাস সম্বন্ধে ভুল এবং খন্ডিত তথ্য ক্রমাগতভাবে প্রচার করে মানুষকে সত্যকে আড়াল করে এবং এর মাধ্যমে অপরাপর জাতিসমুহের ভাষা ও অস্তিত্ত্বের লড়াইকে অগ্রাহ্য করছে । এটি মহান ভাষা আন্দোলনের মনস্তত্ত্বের সাথে কোনক্রমেই সঙ্গতিপুর্ণ নয়। ২১ ফেব্রুয়ারি যদি আজ আন্তর্জাতিকভাবে সকলের মাতৃভাষার অধিকারের দাবী তুলতে পারে তবে যে রাষ্ট্র এই দ্রোহের জন্ম দিয়েছে সেই রাষ্ট্রই কেন আজ অপরাপর জাতির মাতৃভাষাকে মেনে নিতে বা স্বীকৃতি দিতে নারাজ?
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩৬