সা.ইন. ব্লগ ভার্সন ৩ প্রকাশিত হল গতকাল, প্রায় ৩৪ ঘন্টা কাজ করার পর। এই দির্ঘ সময় কাজ করার সময় মিজান ভাই (ব্লগ ডেভলপার টিমের লিড) এবং মোর্শেদ ভাই ছিলেন আমাদের সাথে। এছাড়াও ব্লগ টিমের অন্যান সকল সদ্স্য তাদের সেরা কাজটি দেখিয়েছেন। ব্লগটিমের সবাইকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ তাদের স্ব স্ব আবদানের জন্য।
এবার আসা যাক আমার এই পোস্টটি লেখার মুল কারনে।
এই পোস্টে আমি ঐ ৩৪ ঘন্টা কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।
ব্লগ ভার্সন প্রথমে রিলিজ হওয়ার কথা ছিল ১৬ই ডিসেম্বর রাতে। যা কিনা সম্ভব হয়নি বিদ্যুতের স্পেশাল পারফরমেন্সের কারণে। যার ফলে ১৫ই ডিসেম্বর রাত ৯ টায় সবাই যার যার বাসায় ফিরে যেতে হয় মন খারাপ করে। তারপর ১৭ই ডিসেম্বর সকাল ৮:৩৫ মিনিটে অফিসে পৌছালাম (আমি সাধারনত ১১ টার আগে আসি না)।
তার পর শুরু হয় ব্লগের অন্যান্য সদস্যদের জন্য অপেক্ষা। ঘন্টাখানিকের মধ্যেই মোটামোটি সকলে হাজির। এরপর চলতে থাকে কাজ। কোডের ফাইনাল টাচ (তখনো নতুন ডিজাইন হাতে আসে নি)।
বিকাল ৪টায় ব্লগ সার্ভার ডাউন করার ঘোষনা দেওয়া হল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে শেষ পর্যন্ত ৪:৫০ মিনিটে ব্লগ ডাউন করে শুরু হল মুল কাজ। সাধারনত সার্ভার রিলেটেড কাজ গুলি আমি করে থাকি। তো বসে গেলাম আমি আমার প্রিয় ডেল ল্যাপটপ নিয়ে নতুন সার্ভার + পুরান সার্ভার মধ্যে সকল ডাটা ট্রান্সফারের জন্য। সার্ভারে ডাটা ট্রান্সফারের কাজ চলতে চলতে আমরা ২ গেইম টেবিল টেনিস মেরে আসলাম। রাত ৮টার দিকে আমি , মিজান ভাই, মোর্শেদ ভাই ও রাশেদ ভাই ছাড়া সবাই চলে গেল।
রাত ৯:৩০ এর দিকে রাশেদ ভাই ওনার গাড়ির ড্রাইভারকে দিয়ে পুরান ঢাকা থেকে মামা বিরানি আনতে পাঠালেন। কিন্তু ড্রাইভার তার মিশনে ব্যার্থ হয়ে অন্য মোরগ পোলাও নিয়া আসল। কি আর করা । তবে পেটে প্রচন্ড খিদা থাকায় খেতে বড়ই ভাল লেগেছে , (এমনকি আমি একলাই ২ টা শাবার করেছি)।
এর পর রাত ১২ শুরু হল সব চেয়ে ঝামেলার কাজ, পুরানো ডাটাবেইসের সকল ডাটা ইউনিকোডে কনভার্ট করার। কাজ ভালই চলছিল , রাত ২ টার দিকে মিজান ভাই আবিষ্কার করল আমি ডাটাবেইস ভুলটায় কাজ করছি। এটা হল গত সপ্তাহে ব্যাকাপ নেওয়া ডাটাবেইস, কারেন্টটা না । বুঝেন অবস্থা । আরেকটু হলেই দিত মাইর । কি আর করা ২ টা ঘন্টা পুরা মাটি।
তো ডাটা বেইস চেইন্জ কইর আবার কাজ শুরু হল। এর মধ্যে বাধা সৃষ্টি করল শ্রদ্ধেয় গুগল বট, মামু আর টাইম পায়নাই ইনডেক্সিং কারার জন্য। তার ফলে কনভার্টের গতি গেল কমে। ৩ ঘন্টার কাজ শেষ হল ৫-৬ ঘন্টায়। হইল সকাল , কিন্তু কাজ তখনো অনেক বাকি। আমাদের সবচেয়ে বড় ঝামেলা হল আপনার খুশি হয়ে যে ইমেইজ গুলি আপলোড করেন সেগুলো। তার সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি। নতুন ভার্সনে ইমেইজ হেন্ডলের পদ্ধতি ভিন্ন। সব গুলি ইমেইজের ২ টি করে অন্য সাইজের কপি তৈরি করতে হবে। সেই কাজ চলতে থাকল।
ইমেইজের কাজ শেষ হলে ব্লগ টিম সেটার উপর টেস্টিং শুরু করল। তারপর ১ টা ৪০ মিনিটের দিকে গ্রিন সিগ্যনাল পেলাম। সো আমি ওয়েব সার্ভারের সেটিং চেইন্জ করে দিলাম রিস্টার্ট। ব্লগ আপ সম্পুর্ন অফিস যুরে হুররে বলে চৎকার উঠল। সেই এক মজার অনুভুতি
তারপর জানা ভাবী কেক নিয়ে আসল। এবার কেক খাওয়ার পালা।
কেক খাইয়া ফটোসেশন হইল, মোই পোজ দিলাম । কিছু ছবি শেয়ার করলাম।
আরো ছবি দিমু পরে । আপতত এই দুইটা দেখতে থাকেন।
আলোচিত ব্লগ
মা
মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।
অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।
একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প
তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে
ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন
জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।
সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন