somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাজারে আসছে মধুমাসের ফল

০৩ রা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আসছে গ্রীষ্ম । বেড়ে উঠছে তাপদাহ। আর তারই সাথে হাতে হাত ধরে বাজারে আসতে শুরু করেছে মধুমাসের ফল। তরমুজ, বাঙ্গি, কাঁঠাল, আতা, সরিফা এখন ফলের দোকানগুলোতে শোভা পাচ্ছে।

ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত জনসাধারণের প্রাণ জুড়াচ্ছে ফলগুলো।

বিক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য ফলের চেয়ে এসব ফলের বিক্রি এখন বেশি।

দেখা গেছে, স্থায়ী অথবা ভাসমান ফল বিক্রেতারা সাধারণ ফলের সাথে মৌসুমী ফলের পসরা সাজিয়েছেন সবচেয়ে বেশি। প্রায় প্রত্যেক ফলের দোকানে তরমুজ, বেল সাজিয়ে রাখা আছে। বাঙ্গি, কাঁঠাল বাজারে এলেও অতিমূল্যের কারণে স্থানবিশেষে দোকানে এসব ফল দেখা গেছে। তবে তরমুজ, বেল, আতাফল, সরিফা বেশিরভাগ দোকান এবং ভাসমান বিক্রেতাদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে। সাধারণ ক্রেতারা নিজেদের সামর্থ্যানুযায়ী কিনে নিচ্ছেন এসব মৌসুমী ফল।

বাঁশখালী, চন্দনাইশ-সাতকানিয়ার চরাঞ্চল, পটিয়ার চক্রশালা, কেলিশহর, বোয়ালখালীর করলডেঙ্গা পাহাড়ি এলাকা, চকরিয়া, মায়ানী, এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু কিছু পাহাড়ি অঞ্চলে তরমুজের চাষ হয়। এসব এলাকা থেকে পাইকাররা নগরে সরবরাহ করে তরমুজ। আবার বরিশাল, ভোলাসহ বিভিন্ন জেলা থেকেও চট্টগ্রামে তরমুজ আসে। এই মৌসুমে এখনো বৃষ্টি না হওয়ায় এবার তরমুজের ফলনও ভাল হয়েছে। স্টেশন রোডের আড়তগুলোর বেশির ভাগই ব্যস্ত তরমুজ আর বেল বিকিকিনিতে। আড়তদার মো. সাইফুদ্দিন জানান, সারা বছর কিছু কিছু সাধারণ ফলের ব্যবসা চললেও আমাদের ব্যবসা মূলত মৌসুমী ফলভিত্তিক। ফাল্গুন-চৈত্র থেকে শুরু করে ভাদ্র-আশ্বিন পর্যন্ত এ সময়টা আমাদের ব্যবসার মূল মৌসুম। তরমুজ, বাঙ্গি, আম, লিচু, জাম, জাম্বুরা, কাঁঠালসহ বিভিন্ন গ্রীষ্মকালীন ফল দেশের জেলাগুলো থেকে এখানে আসে।

বর্তমানে মৌসুমী ফলের মধ্যে তরমুজ, কাঁঠাল আর বাঙ্গি আসা শুরু হয়েছে। সাধারণত আড়তদারদের কাছ থেকে খুচরা বিক্রেতারা শত হিসাবে কিনে এনে বিক্রি করেন। আকারভেদে একেকটি তরমুজ ২০/৩০ টাকা থেকে শুরু করে ২শ/আড়াইশ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে এমন ভরা মৌসুমে তরমুজের দাম তুলনামূলক বেশি বলে ক্রেতাদের আক্ষেপ রয়েছে।

জনৈক ক্রেতা মো. জাহেদ উল্লাহ বলেন, ৪০/৫০ টাকায় কেনা তরমুজের রঙ আপাত লাল, তবে মিষ্টতা নেই। আর ২’শ/আড়াইশ টাকা মূল্যের তরমুজ এ বাজারে ক’জনে কিনতে পারছে ? জানা গেছে, দু’একটা চাষ এলাকা থেকে বাঙ্গি সবে আসা শুরু হয়েছে। তবে উচ্চমূল্যের কারণে তা এখনো সাধারণের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

তবে বেশ কয়েকটি আড়তে বেলের সংগ্রহ দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি বেল আসে সীতাকুণ্ডের পাহাড়ি এলাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ থেকে। ২০/৩০ টাকা জোড়ায় খুচরো বেল বিক্রি হচ্ছে। বেল বিক্রেতা মো. মতি মিয়া জানান, গরমে সবাই কম বেশি বেলের শরবত খেতে ভালবাসে। তাই বেল বিক্রি করে মোটামুটি লাভ ভাল ।

একটু আগাম হলেও স্টেশন রোডের ফলের আড়তে কাঁঠাল দেখা গেছে। তবে তা সীমিত সংখ্যক। কাঁঠালের আড়তদার মো. সুমনের কাছ থেকে জানা যায়, রাঙামাটি অঞ্চলের কোথাও কোথাও আগাম কাঁঠাল পাকে। পাইকাররা চাষিদের কাছ থেকে কাঁঠাল সংগ্রহ করেন। আগাম ফলনের কারণে দামও বেশ চড়া। আকারভেদে কাঁঠাল ১শ ৫০ টাকা থেকে ৩শ/সাড়ে ৩শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রেয়াজুদ্দিন বাজার, জিইসি মোড়, কাজীর দেউড়ির ফল বিক্রেতারা এসব কাঁঠাল কিনে নেয় বলে জানান আড়তদার শরীফউদ্দিন। তবে কাঁঠাল কাঁচা অবস্থায় সংগ্রহ করে বাগানেই বিষাক্ত ইথিলিন দিয়ে পাকানো হয় বলে অভিযোগ আছে।

তবুও মধু ফল বলে কথা। মধু সময়ের মধু ফলে বাঙালির চিরকালীন দুর্বলতা। তাপদাহের যন্ত্রণায় জনমনে একটুুু শীতলতার পরশ ও প্রশান্তি মধুমাসের এই মধু ফলে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:৪৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×