একাত্তরে বিতর্কিত 'সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী'- ই কী দেশের ২০তম প্রেসিডেন্ট!!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
বাংলাদেশের ২০ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে এ মুহূর্তে সবচেয়ে জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে বর্তমান সংসদের উপনেতা 'সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী'-এর নাম। এর যৌক্তিক কারণও আছে । গত এক দশকে বাংলাদেশের রাজনীতির ট্রেন্ড হলো উপনেতাই হন রাষ্ট্রপতি। তাছাড়া সাজেদা চৌধুরীকে ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশ পছন্দ করেন। শেখ হাসিনা দেশের বাইরে কোনো সফরে গেলে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকেই দায়িত্ব দিয়ে যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফু হিসেবে পরিচিত সাজেদা চৌধুরী।
রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট প্রাজ্ঞ হলেও একাত্তরে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ভূমিকা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সেকেন্ড ইন কমান্ড সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালেও পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর কাছে একজন আস্থাভাজন কিংবা পাকিস্তানের আস্থা অর্জনকারী নেত্রী ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচিতদের মধ্য থেকে ৮৮ জনকে পাকিস্তানের সামরিক সরকার আস্থাভাজন এমএনএ (মেম্বর অব ন্যাশনাল এসেম্বলী) হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ৭ আগস্ট ১৯৭১ তারিখে পাকিস্তানের তথ্য অধিদফতর থেকে প্রকাশিত ঐ তালিকায় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নামও ছিল। জেনারেল রোয়েদাদ খান ঐদিন ইসলামাবাদে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই তালিকা প্রকাশ করেন। এতে সাজেদা চৌধুরীর স্বাক্ষরও ছিল। যাতে পূর্ব পাকিস্তান থেকে যাওয়া অন্তত ৭/৮ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অভ্যান্তরেও সাজেদা চৌধুরীর একাত্তরের ভূমিকা নিয়ে নানা বিতর্ক আছে। সম্প্রতি ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামটের শ্রীঅঙ্গনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন একাত্তরে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাজিদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত স্বার্থ আদায়ের অভিযোগ করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি আরো বলেন, জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী কী দেশের শীর্ষ স্থানীয় যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদের অপরাধ আড়াল করতে চান? তাই যদি না হবে তাহলে কেন তিনি ফরিদপুরে প্রকাশ্য সভায় যুদ্ধাপরাধ নিয়ে কথা বলার সময় মুজাহিদ প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।
শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলনরত তরুণদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে গেলে জনতার তোপের মুখে পড়েছিলেন। সাজেদা চৌধুরীকে সেদিন বক্তব্য রাখতে দেওয়া হয় নি। বরং তাকে ঘিরে আন্দলনরত জনতা নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। এসময় অনেকে বলতে থাকেন, “উনি (সাজেদা) কি বলতে এসেছেন আমাদের কারোর অজানা নয়। একাত্তরে ইয়াহিয়া-টিক্কা সমর্থন করে তার স্বাক্ষর প্রদানের বিষয়টিও আমাদের জানা আছে।”
যাকে ঘিরে এরকম বিতর্ক তাকে রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তি বানানোটা হয়তো আওয়ামী লীগের জন্য হতে পারে বুমেরাং।
২৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
মা
মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।
অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।
একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প
তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে
ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন
জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।
সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন