দারুচিনি দ্বীপ, রুপালী দ্বীপে
জনম জনম খুঁজেও পাবে না আমায়
এই আমি আজ বহুদুরে কোথাও
হয়ত অচিনপুরে!
অপেক্ষা করে দেখি
কোথাও কেউ নেই!
মহাপুরুষ, কবি সবাই কি তবে নন্দিত নরকে!
তাই বুঝি শঙ্খনীল করাগার থেকে
হিমুর ও ফেরা হয় নি গৌরীপুর জাংশানে!
আমি এবং আমরা জানি
মিসির আলির অমিমাংসিত রহস্যকে-
বৃক্ষমানব, কালোজাদুকর,
ম্যাজিক মুন্সি কিম্বা কুটু মিয়া সকলে ভয় পায়।
মনে পড়ে?
একদিন তুমি আমায় ডেকে ছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে!
তখন পুঞ্জ পুঞ্জ কালিমার মত জমে ছিল
আকাশ ভরা মেঘ
শ্রাবন মেঘের দিনে ভিজতে চাইনি বলে
বলেছিলে তিথির নীল তোয়ালে আছে না!
তবে আর ভয় কি!
মাতাল হাওয়ার সাথে একাকার হয়ে যেন
মেঘ বলেছে যাব যাব
তোমাদেরই সাথে
ময়ূরাক্ষী নদীর ওপারে বসে পারাপার দেখব
গঞ্জে থেকে ফিরে আমা মানুষগুলোর!
সেদিনই আমি প্রথম
কৃষ্ণপক্ষের সাথে নক্ষত্রের রাতের
অদ্ভুত এক মিল খুঁজে পায়
এইসব দিন রাত্রি হয়ত আর ফিরে আসবে না
দরজার ওপাশেই, সাজঘর
সেখানে বাসর সাজাতে ব্যস্ত ইমা
আয়না ঘরে লক্ষী বউ এর মত বসে আছে নিতু
কেননা কেউ একজন আজ সত্যিকরে বলেছে
নিতু তোমাকে ভালবাসি
বোতল ভুতের গল্প আর পড়েনা সৌরভ
ওর ভাললাগে পেন্সিলে আঁকা পরীর গল্প পড়তে
পারুল এবং তিনটি কুকুর ভাবলেহীন!
সবাই নিশ্চুপ কেন?
কি ভাবছে ওরা! কে কথা কয়! কে ওখানে!
শূন্যের মাঝে আমি-
এই আমি!
অমানুষ কিম্বা আঙ্গুল কাটা জগলু নই
আমি বলছি না সম্রাট অথবা দ্বিতীয় মানব আমি!
তবে তোমাদের এই নগরেই আমার বসবাস!
এখনো নক্ষত্রের রাতে ফিরে যাই
বাঘবন্দী মিসির আলির খোঁজে
শহরের কোলাহল থেকে নীরার গ্রামের বাড়ি পর্যন্ত!
চিৎকার করে বলি-
মিসির আলি আপনি কোথায়?
দেবীর ভীষন ভয় করছে কারন-
মিসির আলির চশমা পড়ে আছে মাটিতে।
কথাছিল আজ হিমুর বিয়ে হবে, কিন্তু-
হলুদ হিমু কালো র্যাব নাটকের
অবসান না হতেই হিমু রিমান্ডে
জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়
হিমুর একান্ত সাক্ষাতকার ও অন্যান্য অনেক তথ্য।
অবশেষে নির্দোষ প্রমানিত হয় শুভ্র এবং হিমু।
জোছনা ও জননীর গল্প বলতে বলতে
মুখ খুললেন- আমিই মিসির আলি!
তুলে দিলেন সদ্য কারামুক্ত
হিমুর হাতে কিছু নীল পদ্ম
আজ একটা গল্প লিখব তার নাম হবে
সে আসে ধীরে অথবা
যখনই নামিবে আধার!
প্রচ্ছদটা কেমন হবে ভাবতেই
রঙ পেন্সিল, কাঠ পেন্সিল, ফাউন্টেইন পেন,
বল পয়েন্ট কলম আর এক খন্ড সাদা কাগজ নিয়ে বসলাম
নিউইয়র্কের নীল আকাশে ঝকঝকে রোদ
হাতে অফুরন্ত সময়
এমন ধবধবে সাদা কাগজে কিছুই লিখতে ইচ্ছে করে না
হয়ত এভাবেই চলে যায় বসন্তের দিন!